আসসালামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।
স্মার্টফোন ছোট্ট শিশুদের অনেক বেশি ক্ষতি করে থাকে। যা আমাদের অজানা রয়ে গেছে এখনো। আমরা অনেক সময় আমাদের শিশুদের কান্না,দুষ্টামি বা খাবার খাওয়ার জন্য স্মার্ট ফোন দিয়ে থাকি। যেটা শিশুদের একটা নেশা হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে শিশুদের স্মার্ট ফোন না দিলে খাইতে চায় না, এবং দুষ্টামি আরো বেশি করে। স্মার্টফোন যে শিশুদের কতটা ক্ষতি করে তা অনেকের অজানা।
অনেকের মা-বাবা আছে তাদের সন্তান স্মাটফোন চালাতে পারে, এর জন্য অনেক গর্ব করে থাকে। কিন্তু এটা ভাবেনা যে তাদের শিশু অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
সকল মা-বাবার অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিৎ। এই স্মার্টফোন একদিন শিশুদের কাল হয়ে দাঁড়াবে।
বলতে গেলে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন, বর্তমান খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রয়োজনীয় ডিভাইস। আগের দিনের স্মার্টফোন শুধু ধনী ব্যক্তিরা ব্যাবহার করত। কিন্তু বর্তমানে, এখন প্রায় সব পেশার লোক এই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে।
প্রযুক্তি অগ্রযাত্রার ফলে,এখন শিশুদেরকেও তার মা-বাবা ইস্মার্ট ফোন দিয়ে থাকে।কতটা ক্ষতি করতেছে তাদের শিশুদের মা-বাবাকে কি খোঁজ রাখে। আজকে আপনাদের কিছুটা ধারণা দেবো, স্মার্টফোন শিশুদের কতটা ক্ষতি করে থাকে।
বর্তমানে স্মার্ট ফোন ছাড়া ছেলে মেয়ে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। প্রযুক্তি যেমন আমাদেরকে সহজ করে দিয়েছে,তেমনি প্রযুক্তি অনেক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। তাই আমাদের নিয়ম অনুযায়ী যে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিৎ। কখনো প্রযুক্তি নিয়ে অবহেলা করা উচিৎ নয়। আগের দিনে শুধু মোবাইল ফোন ব্যবহার হতো। এখন যুগ পরিবর্তনের ফলে, স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সহ সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
স্মার্টফোন গুলোর দাম কম হাওয়াই প্রায় লোকজনই এটি কিনতে পারে। যার ফলে স্মার্টফোন সকল লোকের মাঝে দেখা যায়।আমরা সবসময় প্রযুক্তির ভালো দিকটা দেখি, কিন্তু কখনো খারাপ দিক দেখি না।আমাদের কখনও প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করা যাবে না।
কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাকঃ-
স্মার্টফোন শিশুদের যেভাবে ক্ষতি করে থাকেঃ-
১) চোখের ক্ষতিঃ-
স্মার্টফোন গুলোতে রয়েছে,ক্ষতিকর আলো। যা চোখের অনেক বেশি ক্ষতি করে থাকে।ছোট শিশুদের চোখ অনেক স্বচ্ছ হয়ে থাকে, স্মাটফোন ব্যাবহার করলে ছোট শিশুদের চোখে ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। স্মার্টফোন ব্যবহার করতে করতে, অনেক শিশুর দেখা যায়, দুরের জিনিস স্পষ্ট আকারে দেখতে পায়না। এবং তারা চশমা ব্যবহার করে থাকে। এই অল্প বয়সে চোখের ক্ষতির জন্য দায়ী এই স্মার্টফোন। তাই আমাদের উচিৎ অল্প বয়সের শিশুদের স্মার্টফোন ব্যাবহার করতে না দেয়া।
২) টিউমার ও ক্যান্সারঃ-
শিশুরা স্মার্টফোন ব্যবহার করলে,মোবাইলের ভিতরে একধরনের ক্ষতিকর জিনিস রয়েছে, যে গুলোর কারনে অনেক শিশুর টিউমার বা ক্যান্সার ও হতে পারে।অনেক গবেষণা করে দেখা গেছে,স্মার্টফোনে যে রেডিয়েশন আছে, যে রেডুয়েশন ছোট শিশুদের টিউমার বা ক্যান্সার হতে সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষন ধরে শিশুরাই স্মার্টফোন ব্যবহার করলে এ টিউমার বা ক্যন্সার হওয়ার ঝুকি থাকে। তাই সকলের উচিৎ কোনো শিশুকে দীর্ঘক্ষন স্মার্টফোন ব্যাবহার করতে না দেয়া। স্মার্টফোন থেকে শিশুদের দূরে রাখাই ভালো।
শিশুরা যখন ছোট থাকে, তখন তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গগুলো অপরিনত অবস্থায় থাকে। এ সময় স্মার্টফোন এর রেডিয়েশন একজন বড় মানুষ এর থেকে শিশুদের অনেক বেশি ক্ষতি করে থাকে।স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়টি নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। তাই আমাদের উচিৎ শিশুদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখা।
৩) মস্তিস্কের ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাত ঘটায়ঃ–
শিশুদের অল্প বয়সে স্মার্টফোন ব্যাবহার করতে দিলে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যো এই সমস্যাটি ও ঘটে থাকে। ছোট অবস্থায় শিশুদের স্মার্টফোন বেশি ব্যাবহার করতে দিলে তারা বড় হয়ে বদমেজাজি বা পাগল এর মতো ব্যাবহার এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সবার উচিৎ শিশুদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখা।
৪) পড়াশোনার অমনোযোগীঃ-
পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক শিশুদের স্মার্টফোন দেওয়া হচ্ছে।যার ফলে শিশুদের একটা নেশা হয়ে যাচ্ছে এই স্মার্টফোন এর প্রতি। এবং তারা পড়াশোনায় অনেক বেশি অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিশু লুকিয়ে ফোন ব্যাবহার করে থাকে। শিশুরা স্মার্টফোন এর প্রতি এমন আসক্তি হয়ে যায় যে,তাদের রাত দিন স্মার্টফোন ছাড়া কিছু ভাল লাগে না। এসব শিশুদের জীবন অন্ধকার। তাই মা-বাবা এদের উচিৎ যার যার শিশুদের দিকে খেয়াল রাখা।
৫) অনুপযোগী মিডিয়াঃ-
স্মার্টফোনে আসক্তি হয়ে অনেক শিশু তারা গ্রুপে বিভিন্ন অনুপযোগী ভিডিও বা বিভিন্ন বাজে ভিডিও নিয়ে ছড়াছড়ি করে। এক সময় এসব অনুপযোগী ভিডিও দেখে শিশুরা পর্নোগ্রাফি এর দিকে ঢলে পড়ে। পর্নোগ্রাফিতে কোনো শিশু আসক্ত হলে তাকে ফেরানো অসম্ভব হয়ে যায়।
এছাড়াও আরো অনেক সমস্যায় পড়তে হয় শিশুদের এই স্মার্টফোন থেকে৷ আমাদের সকলের অভিবাবকদের সতর্ক হওয়া উচিৎ। যাতে আমাদের শিশুরা এই স্মার্টফোন ব্যাবহার না করে এবং আসক্তি না হয়।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
- যেকোন প্রয়োজনে,
- ফেসবুকে আমিঃ-
ধন্যবাদ।