Site icon Trickbd.com

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে যে নিয়মগুলো সকলের মেনে চলা অত্যান্ত জরুরি, জেনে নিন।

Unnamed

  • আসসালামুআলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।

সুস্থ থাকলে আমাদের মন ভাল থাকে। এবং আমাদের সকল কাজে মন বসে। আমাদের শরীরে কোনো রোগ বাসা বাধলে বোঝা যায়, সুস্থ কত বড় একটি নিয়ামত।শরীর সুস্থ থাকতে হলে আমাদের ও কিছু নিয়ম আছে।আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে চলি তাহলে আমাদের শরীরে রোগ সহজে বাসা বাধতে পারবে না। আমরা আমাদের শরীর নিয়ে অবহেলা করে থাকি এবং আমাদের শরীরের যত্ন নিই না,যে কারনে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।আজকে আপনাদের কিছু উপদেশ দিব, মেনে চললে আপনি সুস্থ থাকবেন।এবং কোনো বড় রোগ আপনার শরীরে বাসা বাধতে পারবে না।আশা করি সম্পন্ন আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

আমাদের মাঝে অনেকে আছে দেখবেন নানা রোগ্র আক্রান্ত। তবে যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের শরীর কিন্তু অনেক ভাল থাকে। এবং তাদের শরীরে কোনো রোগ বাসা বাধতে পারে না।বিশেষ করে দেখবেন যারা সারাদিনে কোনো কাজ করে না তাদের অসুস্থ হবার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। আমাদের শরীর সব সময় ফিট রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে সকল কিছু বেশি ভাল কিন্তু অতিরিক্ত বেশি ভাল না। অনেকে মনে করেন মোটা লোক সুস্থ এবং চিকন লোক অসুস্থ। এই ধারনাটা ভুল,কারন সুস্থ হলো সে ব্যাক্তি যার শরীরে কোনো রোগ নেই। খাবার,কিছু নিয়ম, বাজে অভ্যাস এই গুলোর কারনে আমরা আমাদের শরীরে ভয়াবহ রোগ টেনে আনছি। আমরা যদি এখন থেকে সতর্ক না হই,তাহলে পরবর্তীতে আমরা অনেক বড় রোগে আক্রান্ত হয়ে যাব। আমাদের মনে রাখতে হবে শরীরটাই আগে, কারন শরীর ভাল না থাকলে কোনো কাজে মন বসবে না। অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করেই ঠান্ডা,জ্বর আসে। আসলে আমাদের অবহেলার কারনে এই ছোট অসুখ গুলো হয়ে থাকে। শুধু যে আমাদের কারন তা কিন্তু না। আসলে বর্তমানে বাজারে কীটনাশক ব্যাবহার এর শাক-সবজি বেশি পাওয়া যায়।কারন আপনি নিজেই ভাবেন কীটনাশক প্রয়গকৃত শাক-সবজি দেখতে ঝলমল। এবং যে শাক-সবজিতে কীটনাশক ব্যাবহার করা হয় না,সে সকল শাক-সবজি দেখতে একদম খারাপ দেখায়।এবং ফলন ও বেশি ভাল হয় না। কিন্তু দেখা যায় আমরা কীটনাশক দেয়া সেই ঝলমল শাক-সবজি কিনে থাকি। এই সব কীটনাশক দেয়া শাক-সবজি খেলে নানা রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাধছে। এরকম অনেক ভেজাল পন্য আমরা খেয়ে থাকি, যার কারনে আজকাল এর মানুষের আয়ু অনেক গুন কমে গেছে। এবং আমাদের সাবধানের অভাবে অনেক কঠিন রোগ আমাদের শরীরে আমরা ডেকে আনছি। স্বাস্থ সবল সুখের মুল,এই বাক্যটি আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা যদি সাবধানের সহিত চলি, এবং সাবধানতা অবলম্বন করি তাহলে আমাদের শরীরে এত সমস্যা হত না। এবার জেনে নেয়া যাক,শারীরিক সুস্থ থাকতে হলে,যে নিয়মগুলো মেনে চলা উচিৎঃ-

১) খাবার এর সঠিক নিয়মঃ-

আমরা যখন যা পাই তাই খেয়ে থাকি। এই অস্বাস্থ্যকর খাবার যে আমাদের দেহের জন্য কতটা ঝুকিপূর্ণ আমরা কল্পনা করতে পারি না। যে খাবার গুলো ক্ষতিকর যে সকল খাবার আমাদের পরিহার করা উচিৎ। ভেজাল খাবার, বা অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, এগুলো আমাদের সকলের পরিহার করা উচিৎ। এছাড়া ও অনেক খাবার রয়েছে, যে খাবার গুলো খেলে অনেক ক্ষতি হয় এগুলো এড়িয়ে চলে। যেমন চিনি জাতীয় ও মিস্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়। এরকম অনেক কোয়ালিটি খাবার আছে যেগুলোতে রোগ বেশি হয়। এই সকল খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।এবং চেস্টা করতে হবে কীটনাশকযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার।ক্যান্সার এর মতো আরো অনেক ভয়ানক রোগ হয়,এই ভেজাল খাবার এর কারনে। এছাড়া ও ভেজাল খাবার এর কারনে অনেক রোগ আমাদের এই সুস্থ শরীরে বাসা বাধে। অনেকে আছে বিড়ি,সিগারেট, পান সহ নানা নেশা করে থাকে। এই গুলো নেশা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ। কারন এই নেশা গুলো আমাদের বিপদ ডেকে আনছে।এবং কোনো প্রকার মাদক আমাদের শরীরর প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে হলে খাবার এর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। অনেকে আছে অনেক বেশি পরিমানে খেয়ে থাকে। আসলে খাবার বেশি পরিমানে খাওয়া উচিৎ নয়। স্বাভাবিক যতটুকু দরকার তত টুকু খাবার খাওয়া উচিৎ। খাবার এর দিকে আমাদের সচেতন হলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ আমাদের শরীরে সহজে বাসা বাধবে না।

২) হাটাহাটি ও ব্যায়ামঃ-

হাটাহাটি ও ব্যায়াম আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। অনেকে আছে যে হাটাহাটি করার সময় হয় না এবং ব্যায়াম করে না। দেখবেন তার শরীরে নানা অসুখ বাসা বেধেছে।আমরা যদি অন্তত প্রতিদিন ৩-৪ কিঃমিঃ হাটি ও ব্যায়াম করে থাকি, তাহলে আমাদের শরীরে এত সহজে অসুখ বাসা বাধতে পারবে না। আমাদের সকলের উচিৎ সকালে উঠে হাটাহাটি করা ও ব্যায়াম করা। সকালে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য ও অনেক ভাল। আমরা যত ব্যাস্ত থাকি না কেন,আমাদের হাটাহাটি বা ব্যায়াম টা করা উচিৎ। কারন,আমাদের শরীর ও স্বাস্থ টাই আগে। আমাদের শরীর ভাল না থাকলে আমাদের কোনো কাজেই মন বসবে না। এছাড়া ও রাতে খাবার পর রাতে ও ইচ্ছা করলে আপনি হাটাহাটি করতে পারেন। ছোট ছেলেদের ফুটবল বা খেলাধুলা করতে দেয়া উচিৎ। কারন খেলাধুলা করলে শরীর ভাল থাকে।এবং সকল কাজে মন বসে,পড়াশুনা ও অনেক ভাল হয়। বেশি হাটাহাটি ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস এর মতো কঠিন রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাধতে পারে না।আপনি লক্ষ করে দেখবেন যারা ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত তারা বেশির ভাগ ই পরিশ্রম করে না, হাটাহাটি করে না ও ব্যায়াম করে না। আমাদের শরীর ও স্বাস্থ ভাল রাখার জন্য আমাদের ব্যায়াম ও হাটাহাটি করা উচিৎ। 

৩) শারীরিক পরিশ্রম করার অভ্যাসঃ-

আমাদের পরিশ্রম করার অভ্যাস করতে হবে। কারন দেখবেন যারা পরিশ্রম করে তাদের শরীরে রোগ ব্যাধি কম।কিন্তু যারা শুয়ে,বসে খায় তাদের শরীরে রোগ এর অভাব নাই।আমরা যারা গ্রামে থাকি, তারা নানা কাজে ব্যাস্ত থাকতে হবে,তাহলে আমাদের শরীর অনেক ভাল থাকবে। এবং আমাদের শরীরে কোনো ভয়ানক রোগ বাসা বাধতে পারবে না। আপনি লক্ষ করবেন যারা বসে, শুয়ে খায়, কোনো প্রকার কাজ করে না তাদের শরীরে অসুখ ও রোগ বেশি হয়ে থাকে। পরিশ্রম করলে শরীর অনেক ভাল থাকে। আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন, গ্রামে যদি বসবাস করে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার বাড়ীতে নানা কাজ আছে যেটা অনেক পরিশ্রম এর। আপনি সে সকল কাজ করতে পারেন। এতে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে। কোনো ভয়ানক রোগ এর সহজে আপনার শরীরে বাসা বাধতে পারবে না। তাই আমাদের শরীরকে সুস্থ ও নিরোগ রাখতে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।

৪) বদ অভ্যাস ত্যাগ করাঃ-

আমাদের অনেক বদ অভ্যাস রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমরা রাতে খাবার পর পর ই ঘুমাইতে যাই,সকাল ১১ টার আগে ঘুম থেকে উঠি না। এরকম অনেক বদ অভ্যাস আমাদের রয়েছে। এই রকম আরো অনেক বদ অভ্যাস আমাদের মাঝে রয়েছে, যে কারনে অনেক রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাধে। তাই আমাদের উচিৎ এরকম বদ অভ্যাস ত্যাগ করা। আমাদের মনে রাখতে হবে, শরীর আমার নিজের। তাই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেসকল করনীয় আছে, আমাদের মেনে চলা।কারন অসুস্থ হলে, বোঝা যাবে আমাদের শরীর সুস্থটা কত টা মুল্যবান। আমাদের যদি কোনো বদ অভ্যাস থাকে, তাহলে সে বদ অভ্যাস ত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি।

এই রকম আরো অনেক নিয়ম আছে,এরকম আরো সকল নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। কারন সুস্থ থাকতে হলে আমাদের সবার সতর্ক থাকা উচিৎ। এবং সকল নিয়ম আমাদের মেনে চলা উচিৎ। তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে ও রোগ সহজে আমাদের শরীরে বাসা বাধতে পারবে না।

আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-

Sk Shipon