- আসসালামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।
চোখ আমাদের একটি মুল্যবান সম্পদ। কারন আপনি অন্ধ হলে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার চোখের কত মুল্য।আমাদের অবহেলার কারনে আমাদের মুল্যবান চোখকে আমরা হারাই। শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে চোখকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। চোখ অন্ধ হলে পুরো দুনিয়া অন্ধকার। যে কাজ করি না কেন, মনে রাখতে হবে চোখ আমাদের মুল্যবান অঙ্গ।আজকে আপনাদের জানাব,আপনাদের মুল্যবান চোখকে সমস্যার হাত থেকে যেভাবে রক্ষা করবেন। আশা করি সম্পন্ন আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আমাদের ভিতর অনেক লোক আছে বা আমাদের বন্ধু বান্ধব আছে, যাদের চোখে সমস্যা।এবং চোখে কম দেখে থাকে। আমাদের কিছু ভুলের কারনে আমরা আমাদের মুল্যবান চোখ এর বিপদ ডেকে এনে থাকি। আমাদের চোখ আপনা আপনি এত সহজে নস্ট হয়ে যায় না। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করবেন,অনেক বৃদ্ধ দাদা-দাদি আছে যাদের চোখ অনেক ভাল এখনো কোনো সমস্যা হয় নি। আসল সমস্যা হলো আমাদের জেনারেশন এ স্মার্টফোন,ল্যাপটপ এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করার কারনে অল্প বয়সে চোখের সমস্যা বেশি হচ্ছে। তারপর ও শুধু যে এসব প্রযুক্তি ব্যাবহার করার কারনে আমাদের চোখের সমস্যা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। খাবার খাওয়ার সমস্যার কারনেও আমাদের চোখের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।এখন রাসায়নিক সার প্রয়োগ এ অনেক শাক-সবজি ফলানো হয়। এসব শাক-সবজি আমাদের চোখের ক্ষতির কারন। শুধু চোখে না, রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা শাক-সবজি আমাদের অল্প বয়সে অনেক রোগ ডেকে আনছে।এছাড়াও আমাদের কিছু অসাবধানতার কারনেও আমাদের চোখে সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের মাঝে অনেকে আছে, একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনের স্কীনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এবং বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলে থাকেন।এসব কারনে দেখা যায়, এদের ভিতর প্রায় লোকের ই চোখে সমস্যা দেখা দেয়। ডাঃ এসব চোখের সমস্যা লোকদের চশমা ব্যাবহার করতে দেয়।এছাড়াও অনেকে রঙিন টিভি বা ল্যাপটপ, কম্পিউটার এর দিকে অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকেন। এসব কারনেও চোখের সমস্যা হয়ে থাকে।এছাড়া ও যাদের বয়স ৪০ বছরের উপর হয়ে থাকে,তাদের চোখে এমনি সমস্যা দেখা দেয়। যুবকদের চোখে বেশিরভাগ মাইনাস(-) পাওয়ার এর সমস্যা দেখা দেয়। এবং যাদের বয়স ৪০ তাদের চোখে প্লাস( ) পাওয়ার এর সমস্যা দেখা দেয়।চোখের মাইনাস পাওয়ার যাদের, তারা কাছের জিনিস ভাল স্পষ্ট দেখতে পায়।কিন্তু,যাদের চোখে প্লাস( ) পাওয়ার,তারা কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না। আমরা যারা ফেসবুক,বা ইউটিউব,টিকটিক বেশি ব্যাবহার করে থাকি,তারা ইচ্ছা করলে বাজারে প্রটেক্টর গ্লাস যুক্ত চশমা পাওয়া যায়,যে চশমা ব্যাবহার করলে চোখে কোনো সমস্যা হয় না। যতক্ষন এসব ব্যাবহার করবেন,ততক্ষন চশমা ব্যাবহার করবেন,যখন এসব ব্যাবহার করবেন না, তখন চশমা ব্যাবহার করবেন না। এছাড়াও আমাদের চোখ এর যত্ন সব সময় নেয়া উচিৎ।আমরা যখন বের হব রাস্তায়,তারপর বাড়ীতে আসার পর পরিস্কার পানি দিয়ে চোখ ধোয়া উচিৎ।সব সময় খেয়াল রাখতে হবে,আমাদের চোখে যেন কোনো আঘাত না লাগে।কারন, অনেক সময় দেখা যায় চোখে আঘাত লাগলে চোখের সমস্যা হতে পারে। গাড়ীতে চলতে বা রাস্তায় বের হলে চেস্টা করা উচিৎ,শুন্য পাওয়ার এর চশমা ব্যাবহার করা,এতে চোখে ধুলাবালি পড়ে না এবং চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অনেকে আছে,চোখ অপারেশন করে চোখের ক্ষতি করে থাকেন।আসলে চোখ অপারেশন করার আগে ডাঃ এম বি বি এস ছাড়া হাতুড়ি ডাঃ দ্বারা কখনো চোখ অপারেশন করা উচিৎ নয়। এতে দেখা যায়,ভাল চোখ আরো নস্ট হয়ে যায়। চোখে কোনো সমস্যা দেখা দিলে,যত তাড়াতাড়ি ভাল কোনো চোখের ডাঃ এর সাথে পরামর্শ করতে হবে।কোনো হাতুড়ি ডাঃ এর সাথে পরামর্শ করে কোনো ড্রুপ ও ওষুধ না খাওয়াই উত্তম।চোখে সমস্যা হয়, এমন জায়গা থেকে দূরে থাকা উচিৎ। চোখে যত্ন নিলে এত তাড়াতাড়ি কারো চোখে কোনো সমস্যা হবে না।চোখ আমাদের মুল্যবান সম্পদ, তাই আমাদের উচিৎ সব সময় আমাদের চোখের যত্ন নেয়া,এবং ডাঃ কে ১ বছর পর পর চোখ দেখানো।এবং চোখ পরিক্ষা করা উচিৎ।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-
- ধন্যবাদ।