আসসালামু আলাইকুম ট্রিক বিডিতে সবাইকে স্বাগতম আমি অভি আছি আপনাদের সাথে।
সবাইকে জানাই রমজানুল মোবারক, রমজানের শুভেচ্ছা সবাইকে ?
আমাদের নিত্য নতুন জীবনকে সুন্দর করে উপভোগ করার জন্য এবং জীবন অতিবাহিত করার জন্য টাকার কোনো বিকল্প নেই।
টাকা দিয়ে হয়তো মানসিক শান্তি কিনতে পাওয়া সম্ভব না কিন্তু চাইলে মন কে প্রশান্তি দেওয়ার মত সক্ষমতা আছে এই টাকায়।
যদি আপনার কাছে টাকা থাকে সমাজের যেখানে যাবেন সেইখানেই আলাদা এক সম্মান পাবেন, যদি টাকা না থাকে আপনার কেউই সঠিক মূল্যায়ন করবে না আপনার।
এই দুনিয়ায় তে বর্তমানে সব কিছু আসল নকল রয়েছে,,আপনার কাছে যে টাকা আছে এর মধ্যে আসল নকল ও আছে।
তো কিভাবে বুঝবেন আপনার হাতে থাকা টাকাগুলো আসল নাকি নকল টাকা।
বিশেষ করে বাংলাদেশের রমজান ঈদ এবং কোরবানী ঈদ এর সময় মানুষ জন তাদের প্রিয় মানুষদের জন্য কেনাকাটা করা সহ অন্যান্য কাজে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন করেন।
এই সময় অনেক ক্ষেত্রে জাল টাকা চলে আসে গ্রাহকের কাছে যা, গ্রাহক বুঝতেই পারেন না,, যা নিয়ে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
জাল টাকার কারবারিরা এই সময় অনেক জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেন, বিশেষ করে চকচকে নতুন নোট এর মধ্যে জাল টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
জাল টাকার নোট সম্পর্কে অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই তাই প্রতারিত হয়েও অনেকে টের পান না।
বিশেষ করে ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা, এবং ১০০০ টাকার নোট গুলোর মধ্যে জাল নোট পাওয়া যায়। যদি মনে হয় টাকার মধ্যে কোনো সমস্যা আছে তবে টাকার নিরাপত্তা সুতা, লোগো, ছাপ ইত্যাদি এর দিকে লক্ষ্য রাখা।
টাকার মধ্যে ২ পাশে ২ প্রকার ডিজাইন থাকে মাঝখানে লিখা, মূল্যমান ইত্যাদি থাকে।
প্রত্যেকটি নোট এর সাথে আলাদা আলাদা কিছু বর্ন বা অক্ষর থাকে যদি দেখা যায় প্রায় সব গুলোতে একই লিখা তাহলে বুঝে নিতে হবে সেটি নকল টাকা।
বাংলাদেশী টাকার সব গুলোর দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুর ছাপ আছে সেটি যদি কোনো নোট এ না পাওয়া যায় সেটি নকল টাকা বলে গণ্য হবে।
টাকা এর পরিমাণ যদি বেশি হয় টাকা পরীক্ষা এর জন্য মেশিন আছে সেটিতে টাকা পরীক্ষা করতে হবে। তাহলে যদি আসল টাকা হয় টাকা বের হয়ে আসবে,,
আর যদি নকল টাকা হয় তাহলে টাকাটি আটকে যাবে এবং বিপ সাউন্ড হবে।
জাল নোট গুলোর ছাপ গুলো বেশ নিম্ন মানের হয়ে থাকে, আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ আছে। যা ভালো করে খেয়াল করলে আলোর বিপরীতে দেখা যায়।
প্রত্যেক মূল্যমানের নোটেই বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তা সুতা থাকে। নোটের মূল্যমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে মুদ্রিত থাকে।
এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত যা নোটের কাগজের সঙ্গে এমনভাবে সেঁটে দেওয়া থাকে যে নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সুতা কোনোভাবেই উঠানো সম্ভব নয়। নকল নোটে এতো নিখুঁত ভাবে সুতাটি দিতে পারেনা
এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে নকল টাকা কে চেনার জন্য, এই ঈদ এর সময় সবার অনেক টাকা পয়সা লেনদেন হবে, সবাই সচেতনতা বজায় রেখে দেখে শুনে টাকা লেনদেন করবেন।
যার ফলে জাল নোট এর বিস্তার হবে না, এবং প্রতারিত হবেন না এই সময়।
তো এই ছিল বিস্তারিত ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।