Site icon Trickbd.com

ডিপ্রেশনে যাওয়ার কারণ কী? কিভাবে বুঝবেন যে আপনি মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত! ?

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমরা সবাই কোনো না কোনো ভাবে দুশ্চিন্তা করি,একসময় ডিপ্রেশন হয়ে যায়, এটা থেকে মুক্তি পাওয়া অত্যন্ত কঠিন একটা ব্যাপার,, চলুন জেনে আসি কি কি কারণে এমন হয় এবং কেন হয়?

ডিপ্রেশনঃ
আমাদের চারপাশের লোকজন দ্বারা আমরা বিভিন্ন ভবে প্রভাবিত হই, অনেকে এমনও আছে_ তাদের মুখে যখন যা আসে তাই বলতে থাকে, একটি বার ভাবে না যে, আমি যাকে আবলতাবল কথা বলে মানসিক আঘাত করছি দুঃখ দিচ্ছি সেটা কি আমি ঠিক করছি? আজকাল এমন এক জামানা দেখছি যেটাতে বলতে গেলে অনেক মানুষেরই ভয়,লজ্জা উঠে গেছে, একেবারে নেই বললেই চলে।
আল্লাহ আপনাকে সুন্দর একটি চেহারা দিয়েছে, শুুকরিয়া আদায় করুন মহান আল্লাহর নিকট। তা না করে আপনি বাহাদুরি দেখাচ্ছেন লোকেদের। শুধু চেহারা সুন্দর হলে হয়না, ভেতরের মনটাও সুন্দর হতে হয়, আপনি আপনার মুখকে হেফাজত করুন।
কথাগুলো এজন্যই বলছি যে, মানষিক সমস্যা এমনি এমনি হয়না,অন্যের মুখের কথার আঘাতে হতে পারে,পারিবারিক কহলের জেরে হতে পারে, প্রিয় মানুষটিকে না পেয়ে গভীর ডিপ্রেশনে চলে গিয়েও হতে পারে,,

জীবনের মূল্যঃ

আমাদেরকে এটা মনে রাখতে হবে যে, প্রাণ একবার চলে গেলে দ্বিতীয় বার ফিরে আসবেনা,তবে প্রিয় মানুষ জীবন থেকে হারিয়ে গেলে পরে আবারো পাবো। এক কথায় একটা হারালে আবার আরেকটা পেয়ে যাবো।

একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন, আপনাকে সবাই প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করবে। কারো প্রিয়জন হওয়া তো অনেক কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার। পরিবারের কাছেও তাই, যতদিন কাজ করে যাবেন ততদিন ভালো থাকতে পারবেন, নাহয় গালাগালি তো একদম ফ্রি থাকবে + লাথি-উষ্ঠা খাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। আপনার পরিবার যখন আপনার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব তখন বুঝবেন দুনিয়াটা কতোটা অন্ধকার, বেঁচে থাকার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাবে,

শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনঃ
১. প্রচন্ড দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়, আজেবাজে চিন্তা মাথায় চলে আসে।
২. সবসময় অন্যমনষ্ক থাকা এবং ঘরের কোনে বসে থাকা, একাএকা সময় কাটানো।
৩. মানুষের ছোট একটা কথা নিয়ে ঘাটাঘাটি করা এবং নিজে নিজে কষ্ট পাওয়া।
৪. নিজেকে তুচ্ছ মনে করা, এমনও মনে হতে পারে যে দুনিয়াতে আপনার আপন কেও নেই, আল্লাহ আপনাকে সাহায্যও করছেন না,,
৫. খাওয়ার রুচি একেবারেই চলে যাবে, ফলে কোনোকিছু খেতে ইচ্ছে করবেনা, সারাদিন শুধু পানি খেয়েই পেট ভরাবেন। আবার অনেক সময় দেখবেন খাওয়ার রুচি এতটাই বৃদ্ধি পয়েছে যে_ শুধু খেতেই থাকবেন।
৬. সময় মতো ঘুম হবেনা, ১০-১২ ঘন্টা ঘুম হবে যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
৭. শরীরের ওজন খুব দ্রুত কমে যেতে থাকবে, দিন দিন শুকিয়ে গিয়ে রোগা হয়ে যেতে থাকবেন।

৮. কোনো বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে, অথবা কোথাও ঘুরতে গেলেও আপনার ভালো লাগবেনা,কোনো আনন্দ পাবেন না।
৯. নিজেই নিজের মৃত্যু কামনা করবে।
এই মানষিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া অর্থাৎ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা অসম্ভব বলা যায়না,তবে অনেক সময়ের ব্যাপার আছে। তবে চেষ্টা করবেন নিয়ম মাফিক চলাফেরা করার এবং খাওয়াদাওয়া করার, সময়মতো ঘুমানো আর বিকেল বলায় খোলা হাওয়া খেয়ে মন পরিষ্কার করার।

আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে শীঘ্রই, সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ…!