আসসালামু আলাইকুম পাঠকগন,সকলে আশা করি ভালো আছেন। আজকাল এতটাই গরম পড়ছে যে আমাদের শরীরের পক্ষে তা সহ্য করা সম্ভব হচ্ছেনা। উচ্চ তাপমাত্রায় নিজের শরীরকে ভালো রাখার জন্য আমরা অনেকেই অনেক উপায় অবলম্বন করছি। কিন্তু ফলাফল শুন্য আসছে, গরমে খুব বেশি কষ্ট হয় খাবার খাওয়া নিয়ে। একটু এদিক-সেদিক হলেই পেটে সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদেরকে সর্বপ্রথম আমাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কারণ গরমের তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে পানি খেলেও শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়।
আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে “কিভাবে আমরা আমাদের খাবারের রুটিন ঠিক রাখবো এবং শরীরের যত্ন নেবো”,,। প্রথমত বলতে গেলে আমাদের ভাবতে হবে কি কারণে ডিহাইড্রেশন হয়! মূলত ভুল সময়ে ভুল খাবার গ্রহণ করলে এমন হয়ে থাকে। আবার মাত্রাতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলেও সমস্যাটা দেখা দেবে।
তীব্র গরমের ফলে আমাদের শরীরের উত্তাপ অনেকটা বেশিই থাকে। এই কারণে শরীর ঘামাতে থাকে,অনবরত ঘাম বেরোতে থাকায় শরীর থেকে অনেক পুষ্টিউপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর দূর্বল হয়ে যায়,এই দূর্বলতা কাটানোর জন্য আপনাকে পানীয় পান করতে হবে। সেক্ষেত্রে শুধু পানি খেলে চলনেনা, অন্যান্য আরো পানীয় রয়েছে যেগুলো শরীরের দূর্বলতা কাটিয়ে পুষ্টির অভাব পূরণ করবে। তো চলুন কিছু পানিয় নিয়ে আলোচনা করা যাক,
★ লেবুর শরবতঃ এক গ্লাস পনিতে লেবুর রস দিয়ে শুধু লবন দিয়ে মিশিয়ে খেতে পারবেন। মন চাইলে চিনিনিসহ মিক্স করে দিতে পারেন।
★ ডাবের পানিঃ আপনার পেটকে ঠান্ডা রাখতে ডাবের পানি ভালোভাবে কাজ করবে। তাই ডাবের পানি পান করুন, কিডনি রোগীরা এই পানি পান করবেন না।
★ বেলের শরবতঃ পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এই ফলের রস দিয়ে শরবত বানিয়ে খেলে পেট ভালো থাকবে। বেলের রস এমনিতেই ঠান্ডা থাকে, তাই নরমাল পানি দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায়।
★ বাঙ্গি ফলঃএটি অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফল খেলে শরীরে অনেক ধরনের উন্নতি দেখতে পাবেন। তাছাড়া বাঙ্গি ফল অনেক মজাদার ও সস্তা দামের হওয়ায় আপনারা সহজেই কিনে নিতে পারবেন।
★ তরমুজ ফলঃ তরমুজ একটি মৌসুমি ফল। গ্রীষ্মকালে এটার ফলন হয় ও তীব্র গরমে সস্তির আরেক উৎস। তরমুজ খেলে পেট ভালো থাকবে,ঠান্ডা থাকবে। শরীর ভালো রাখার জন্য তরমুজের বিকল্প নেই।
[ খুব বেশি গরম পড়লে আগে গাছের নীচে ছায়ায় বসে ঠান্ডা হয়ে নিন। শরীর গরম হয়ে গেলে জিরিয়ে নেবেন তবেই খাবার খেয়ে নেবেন। খুব বেশি ঠান্ডা জাতিয় কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন]
খাবারঃ
★ আমঃ আম খাওয়া শরীরের পক্ষে অনেক উপকারী হয়। আপনার শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রীষ্মের মৌসুমে আম প্রচুর হয়, তাই খুব সহজেই হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন।
★ অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
★ দুপুরের খাবার ঠান্ডা করে খাবেন।
★ দিনে অন্তত ৫-৬ বার হাত-পা ও মুখ ধুুয়ে নেবেন।
★ চা-কপি খাওয়া কমিয়ে ফেলুন।
★ খাবারের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খান।
★ খাবার খাওয়ার সময় ভালোমতো চিবিয়ে খাবেন।
★ দুপুরের খাবার একটু দেরি করে খাবেন
★ খাবার খেয়ে সাথে সাথে পানি পান করবেন না, তাহলে কিন্তু পেট খারাপ করবে।
★ জাঙ্ক ফুড ও অতিরিক্ত তৈল জাতিয় খাবার বর্জন করুন
★ শরীরে ঘাম নিয়ে গোসল করবেন না, সরাসরি রোদ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকলে আমার কথার মর্ম বুঝবেন। উপরোক্ত কথাগুলো মানতে পারলে গরমের তাপেও সুস্থ থাকতে পারবেন,শরীর খারাপ করবেনা।
ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য, পরে আবার দেখা হবে।
বিদায় সবাইকে,ভালো থাকবেন সবাই,
আল্লাহ হাফেজ!