বিয়ের মতো সামাজিক বন্ধনও এখন
হরহামেশাই ভেঙে যাচ্ছে। অথচ বিয়েকেই
একজোড়া নারী-পুরুষের সারা জীবনের বন্ধন
হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভেঙে যাওয়ার
পেছনে অবশ্য নানা কারণ রয়েছে।
সেইসঙ্গে সম্পর্কের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বা
সম্পর্ক বজায় রাখা নিয়ে জ্ঞানের ঘাটতি
এক্ষেত্রে বড় সর্বনাশ ডেকে আনে। তাই
দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে সম্পর্ককে কিভাবে
দীর্ঘস্থায়ী করা যায় তা নিয়েই নিচে
আলোচনা করা হলো :
যোগাযোগ : বিবাহিত জীবন টিকিয়ে
রাখার জন্য বড় একটি পয়েন্টকে বিগ সি
নামে অভিহিত করা হয়। এটি হলো
কমিউনিকেশন (C- Communication) বা
যোগাযোগ। দম্পতিদের একে অন্যের সঙ্গে
ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকতে হবে যেটি বিয়ে
সফলভাবে টিকিয়ে রাখার অন্যতম বড় শর্ত।
নিজেই যদি নিজের মতো করে চলেন আর
অন্যের ধার না ধারেন তাহলে এ
যোগাযোগে ঘাটতি তৈরি হবে। তাই নিজের
প্রত্যেকটি কাজের বেলায় সঙ্গীর সঙ্গে
না কেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে
না।
মর্যাদা ও সম্মান : জীবনসঙ্গীকে যথাযথ
মর্যাদা ও সম্মান দিন। এতে আপনিও সম্মান
পাবেন। আর উভয়ে উভয়কে সম্মান করলে
বিবাহিত জীবনও হয়ে উঠবে মর্যাদাপূর্ণ।
একজনকে বিয়ে করেছেন মানে এটা নয় যে,
আপনি তার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবেন। তার
একটি স্বাধীন মতামত রয়েছে, যা সব সময়
বিবেচনা করতে হবে।
ছাড় দেওয়া : বিয়ে মানেই একে অপরকে
ছাড় দেওয়া। বিবাহিত জীবন দু’জন মানুষের
একত্রে সামাজিকভাবে থাকার জন্য। আর
দু’জন মানুষ কখনোই একে অপরকে ছাড় না
দিয়ে একত্রে থাকতে পারে না। ছাড় না
দিয়ে আপনি যদি কোনো সিদ্ধান্ত একাই
নিতে চান তাহলে বিবাহিত জীবন দুর্বিষহ
হয়ে উঠবে।
অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা : টাকা-পয়সা অত্যন্ত
সংবেদনশীল বিষয়। এক্ষেত্রে যে কোনো
লুকোলুকি সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। তাই
আর্থিক বিষয় সম্পর্কে জীবনসঙ্গীকে
জানিয়ে রাখুন।
শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক : শ্বশুরবাড়ির
আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা
টিকিয়ে রাখার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
তাদের অসম্মান করা মানে জীবনসঙ্গীকেই
অসম্মান করা।
রোমান্স : বিবাহিত জীবনে একে অন্যের
সঙ্গে রোমান্সের কথাটি ভুলে গেলে চলবে
না। সন্তান, কাজ কিংবা অন্য যে কোনো
ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, সঙ্গীর
মানসিকতার দিকটিও মনে রাখতে হবে।
সঙ্গীকে ঘরে ও বাইরে সময় দিতে ভুলে
গেলে চলবে না।
জিপি , রবি, ইত্যাদি সকল
সিমের ফ্রী ইন্টারনেট
অফার জানতে এখানে দেখুন