আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি জনপ্রিয় সাতটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ সাথে গুগল ড্রাইভ ডাউনলোড লিংক।তো চলুন শুরু করা যাক।
1.Scam 1992
Genre: Drama
Release Date: 9 October 2020
Imdb Ratings: 9.4/10
Personal Ratings : 9.5/0
Number of Episodes: 10 (Season 1
ভারতের বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এ ১৯৯২ সালে একটা বড়সড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। যে দুর্নীতি আর্থিক দিক থেকে মূল্যয়ন করলে প্রায় ৫০০ কোটি রুপির মত হয়। আর এই বড়সড় স্ক্যাম এর নেপথ্যে একটা নাম উঠে আসে…হর্ষদ মেহতা। হর্ষদ মেহতা গুজরাট থেকে উঠে আসা একজন শেয়ার ব্রকারস। যিনি কিনা তার জীবনে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য হয়েছিলেন শেয়ার মার্কেটের অমিতাভ বচ্চন। আবার কিছু পদক্ষেপের জন্য হিরো থেকে জিরো ও হতে হয়েছিল তাকে।
এরকম একটি সত্য ঘটনা নিয়ে ভারতের Sony কোম্পানির ওটিটি প্লাটফর্ম Sonyliv এনেছে Scam 1992 নামের একটি ওয়েব সিরিজ। মুক্তির এক দেড় মাসের মধ্যে Breaking Bad, Cheronobyl এর মত টপ IMdB টিভি সিরিজ কে পিছনে ফেলেছে এই সিরিজটি।
বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত সিরিজগুলার মধ্যে ডার্ক অন্যতম। ডার্কের তিন টা সিজন শেষ করতে আমার খুব একটা সময় লাগেনি। প্রত্যেক এপিসোডই ছিলো টুইস্টে ভরপুর। প্রথম যখন দেখা শুরু করলাম তখন মনে হইছিল কি দেখছি কিছুই বুঝছি না। কিন্তু যখন একটা সিজন শেষ করলাম তখন সব কিছুই ক্লিয়ার হয়ে গেছে। এটার জেনার মিস্ট্রি হলেও আমার কাছে মনে হয়ছে পিওর সায়েন্স ফিকশন। এটা হরর সিরিজ না হলেও এর সাউন্ড আর বিজিএম আপনাকে ভয় পেতে বাধ্য করবে। স্টোরি এবং ক্যারেক্টর গুলোকে যেভাবে বিল্ড আপ করছে তা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।
জুন ২০১৯ সাল, ৪৩ বছর বয়েসী মাইকেল কাহনওয়াল্ড আত্মহত্যা করেছিলেন, তবে অন্য কারও নজরে আসার আগে তার মা ইনেস তার আত্মঘাতী চিঠিটি আড়াল করেছেন। ৪ নভেম্বর, মানসিক রোগে প্রায় দুই মাস চিকিৎসার পরে মাইকেলের কিশোর পুত্র জোনাস স্কুলে ফিরে আসে এবং তার সেরা বন্ধু বার্তোসেজ টিডেম্যানের সাথে পুনরায় মিলিত হয়, যিনি এখন জোনাসের প্রেমের আগ্রহ, মার্থাকে ডেটিং করছেন। পুলিশ অফিসার উলরিচ নিলসন – যে মার্থার বাবা এবং তার ভাই, কিশোর ম্যাগনাস এবং প্রাক- মিকেলে বাবা তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে, জোনাসের মা হান্নার সাথে উলরিচ নিলসন পরকীয়ায় জরিত। শহর থেকে খুব দূরে একটি গুহায় এরিকের সন্ধানের সময় ‘শিগগিরই ক্লোজড হতে যাওয়া ডাউন পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসা অদ্ভুত শব্দ এবং তাদের ঝলকানি ফ্ল্যাশলাইট দেখে জোনাস, মার্থা এবং বাকি সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং মিক্কেল গুহায় পালাতে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। পরের দিন, একটি অল্প বয়স্ক ছেলের লাশ সন্ধান করা হলেও এটি মিক্কেল নয়।। একটি অজানা স্থানে, একটি হুডযুক্ত লোক এরিককে একটি চেয়ারের সাথে স্ট্র্যাপ করে, যখন তার মাথার চারপাশে একটি বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এখান থেকে মূল ঘটনার শুরু।
এটা এমন একটা সিরিজ যেটা একবার শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি পাওয়া যায় না। সর্বশেষ একটা কথা বলব যারা দেখেননি তারা দেখে নিতে পারেন। বোর হওয়ার চান্স নেই।
প্রত্যেকটা মানুষের শৈশব-কৈশোর থাকে মধুর, থাকে বিশাল স্বপ্ন। আস্তে আস্তে বয়স বাড়ে; স্বপ্ন বদলায়, ভাবধারা বদলায়, হয়ে উঠে এক কম্পলিকেটেড বিষয়। মনে হয় জীবন যেন কঠিন বস্তু কিংবা দূর্গম কিছু, প্রতিনিয়ত সংগ্রাম যার সঙ্গী।
কিন্তু শৈশব-কৈশোরে থাকেনা কোনো দুশ্চিন্তা। নিজের মত এক অন্যরকম দুনিয়া।
কে না চায় নিজের শৈশব-কৈশোর টাকে আবার ফিরে পেতে! কিন্তু তা তো আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না, তবে শৈশব-কৈশোর মনে করিয়ে দিবে, আবারও সেই মধুর দিনগুলোর কথা চিন্তা করে মুখে একটানা মুচকি হাসি বহমান থাকবে, আফসোস হবে, কান্না পাবে, ছোটবেলার সেই আমিত্ব কে খুজে পাবার মতো একটা ওয়েব সিরিজের সাথে পরিচয় তো করিয়ে দিতেই পারি।
সিরিজের কাহিনী নিয়ে বলার কিছু নেই। এটা আমার, আপনার, আমাদের শৈশব কৈশোরের গল্প। বাবার আদর, মায়ের শাসন, বড় ভাইয়ের ঘাড় ত্যাড়ামি, ছোট বোনের অবুঝ পাগলামি এগুলো নিয়েই বানানো হয়েছে ওয়েবসিরিজ ইয়ে মেরি ফ্যামিলি। পরিবারের দৈনন্দিন জীবনযাপনের উপর ফোকাস করে এক ছেলের কৈশোরের একটা সময়ের দুরন্তপনা, পাগলামি, দুষ্টুমি,পরিবারের শাসন-ভালোবাসা এত সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে যা দেখে আপনি সিরিজটার প্রেমে পড়তে বাধ্য।
আর অভিনয়ের কথা যদি বলি তাহলে সবাই সবার জায়গা থেকে সেরাটা দিয়েছে। বিশেষ করে পিচ্চিগুলোর অভিনয় ছিল অসাধারণ। তাদের অভিনয়দক্ষতা দেখে আপনার মন প্রশংসা করে উঠবে, তাদের অভিনয় আপনার ভালোবাসা আদায় করে নেবে।
গ্যারান্টি দিয়ে বলে দিতে পারি- আপনার জন্ম যদি নব্বইয়ের দশকে হয়ে থাকে তাহলে সিরিজটা দেখার সময় খেয়াল করবেন, প্রথমে একটা স্মৃতি মনের দরজায় কড়া নাড়বে, যতই রানিং টাইম বাড়বে ততই একটা একটা করে একত্রিত হয়ে অনেক গুলো স্মৃতি এসে আপনার জং ধরে যাওয়া শৈশব-কৈশোরের স্মৃতির এলবামের ধুলোবালি ফু দিয়ে উড়িয়ে দিবে, যেন আলিফ-লায়লার সেই চাদর দিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার শৈশব-কৈশোরে।
পরিবার নিয়ে বলা সিরিজের কয়েকটা কথা আমার মনে দাগ কেটে গেছে; সেই কথাগুলো আমি লিখে আমি লিখাটা শেষ করতে চাই- “পরিবারকে কেউ ভুলতে পারেনা। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পরে আয়নায় নিজেকে চেনার আগে পরিবাররের মানুষকে চিনে নেয়। নিজের নামটা জানেনা কিন্তু পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন নামে ডাকতে শুরু করে। নিজের অস্তিত্ব কে পরে, আগে নিজের পরিবারকে বুঝতে শুরু করে। এজন্যই মানুষ পরিবারের অংশ না, পরিবার মানুষের অংশ। এই এত বড় দুনিয়াতে আমার পরিবার খুবই ছোট মনে হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে আমার পরিবারই আমার দুনিয়া।
ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত এক ব্যাংক ডাকাতি। যার মাস্টারমাইন্ড একজন জিনিয়াস প্রফেসর। প্রফেসর কিছু ছাত্র জোগাড় করেন যাদের প্রত্যেকেই আলাদা কাজে দক্ষ।টানা ৫ মাস ট্রেনিং দেন তাদের।সেটা বড় বিষয় নয় বড় বিষয় হলো প্রফেসর এই ডাকাতির জন্য ২০ বছর ধরে নিজেকে সরকারি সমস্ত ডেটাবেজ থেকে হাইড করে রেখেছেন। তার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট কিছুই তিনি ২০ বছরের মধ্যে নবায়ন করেননি। ছোটবেলা থেকে তার জীবনের একটাই লক্ষ্য শুধু এই ডাকাতি।
এত নিঁখুতভাবে সবকিছু পরিকল্পনা করে যে ডাকাতি সম্ভব তা এই সিরিজ না দেখলে জানতাম না। প্রতিটি সম্ভাব্য সমস্যা সবকিছুর সমাধান তাদের আগে থেকেই করা।
সাধারণত রবারি/ডাকাতি মুভিগুলো দেখা যায় ডাকাতরা ব্যাংকে ঢুকে যে টাকাগুলো থাকে সেই ক্যাশ টাকা নিয়ে ভেগে যায়।
কিন্তু এই সিরিজে ওনারা নিজেদের টাকা নিজেরা মেশিনে ছাপিয়ে নিয়ে যেতে আসে।
প্রত্যেকটা ক্যারেক্টার এতো নিখুঁত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে কোনটাই মন থেকে বাদ যাবে না।এটি এমন একটা সিরিজ যেখানে সব কিছু আছে,রাগ, ভালোবাসা, ইমোশনাল, ধোঁকাবাজি, একশন।
এই সিরিজটা দেখে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ যেটা আমি পেলাম তা হল ঐক্যবদ্ধ থাকা।একটা টিম যখন সব কিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে তখন মরণও তাদেরকে দমাতে পারবে না।
ডাকাতি শুরু হবার পর জিম্মি হয়ে পড়ে অনেক মানুষ। আর এই ডাকাতির কেসের নেতৃত্বে থাকেন ইন্সপেক্টর রাকেল/রাচেল। প্রফেসর বাইরে বসে নেতৃত্ব দেন ডাকাতির। আর ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড প্রফেসর আর ইন্সপেক্টর রাকেলের মধ্যে চলে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো পুলিশ ইন্সপেক্টর না জেনেই মুখোশধারী প্রফেসরের সাথে প্রেমে মেতে থাকেন ওই সময়ে।
এই সেই সিরিজ যার জন্য ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ উভয় দেশেই কন্সটেন্ট হাইপ তৈরি হয়েছে।এ সিরিজটি মূলত দুটি পরিবারের দ্বন্দ-সংঘাত ও ক্রাইম নিয়ে বানানো হয়েছে।একদিকে রয়েছে ত্রিপাঠি পরিবার যেখানে রাজ করেন কালিন ভাইয়া,তার ছেলে মুন্না। অন্যদিকে তাদের জন্য কাজ করতে থাকা গুড্ডু,বাবলু ধীরে ধীরে অনেক ঘটনার পর হয়ে যায় তাদের শত্রু।এভাবেই ধীরে ধীরে বিশ্বাসঘাতকতা, ঠকানো, খুন, গুম ইত্যাদি অপরাধের মাধ্যমনে আগাতে থাকে সিরিজটি। কখন যে কি হয়ে যায় তা কেউই বলতে পারবে না ।
আর নতুন নতুন টুইস্ট দিয়ে দর্শকদের মন জয় করা হয়েছে প্রতিটি এপিসোডে।তাই এটি এত জনপ্রিয়।অভিনয়ের কথা বলতে গেলে সবাই পারফেক্ট নিখুত অভিনয় করেছেন। মুন্না থ্রিপাঠি এর ভায়োলেন্স ও ডার্ক কমেডি এক্টিং সবার মন ছুয়ে গেছে।
গুড্ডু এর বুদ্ধিহীনতা এবং না ভেবেই সব কাজ করা,কালিন ভাইয়া এর সুস্থ মস্তিস্কে কাজ করা মোট কথা পুরো সিরিজটিই আপনাকে বোরিং লাগতে দেবেনা এক মুহূর্ত ও।
গল্পের কনসেপ্ট টা কিন্তু বাস্তবতাই, এরকম বাস্তব নিয়ে চলচ্চিত্র অথবা সিরিজ বাংলাদেশে হয় না বললেই চলে।একজন নেতার তার নিজের এলাকায় প্রভাব বিস্তার, আর এলাকার মানুষের মুখে তালাবদ্ধ করে রাখা এটা অনেক এলাকারই চিত্র।গল্পের কনসেপ্ট ভালো হলেও ছিল না আহামরি টুইস্ট আহামরি থ্রিল, ছিল না আহামরি ভিলেন ক্যারেকটার।কিন্তু আপনি একটার পর একটা পর্ব দেখতেই থাকবেন, না দেখে পারবেন না। টানা বসেই দেখবেন।কেন জানেন?তাকদীর আর মন্টু মনে গেঁথে যাবে আপনার।এত্ত ভালো এবং ন্যাচারাল অভিনয় ছিল, এত সুন্দর ছিল সিনেমাটোগ্রাফি জাস্ট মুগ্ধ এই দেশী কনটেন্টে ।চঞ্চল চৌধুরী জাত অভিনেতা আমরা সবাই জানি, কিন্তু মন্টু চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় সিরিয়াস মুহূর্তেও কিঞ্চিৎ হাসি ফুটাবে আপনার মুখে।মনে হবে যতক্ষণ মন্টু আছে ততক্ষণ ভাইসার কিছু হবে না।দুর্বল ভিলেন আর শেষদিকে গল্প বলার দুর্বল ধরন ছাড়া এই সিরিজ আমাদের সোনায় সোহাগা।এই পরিচালকের অন্য কাজ আছে কিনা খুজতেছি, মেধাবী পরিচালক।কোনো অশ্লীল দৃশ্য নেই দেখতে পারেন পরিবারসহ।আমার দেখা বেস্ট বাংলাদেশী সিরিজ।প্ল্যাটফর্ম ইন্ডিয়ান কিন্তু সকল কলাকুশলী কিন্তু আমাদেরই।
Asur ওয়েব সিরিজ আমায় রাত ২ টা থেকে সকাল ১০ টা অব্দি টানা জাগিয়ে রেখেছে,মোবাইল ধরে রাখতে গিয়ে প্রচুর হাত ব্যাথা ও চোখ এ ট্রাবল দেয়ার পর যখনি আমি ঘুমাতে গেসি,Asur আমায় ঘুমাতে দেয়নি।
উফফ! জাস্ট কি বলব? বিশেষণ নেই আমার কাছে।
ধর্মীয় জ্ঞান ভালো ব্যাপার,কিন্তু ধর্মীয় জ্ঞানে খুব উদ্ভুদ্ধ হয়ে মানুষ এর ব্রেইন যখন এই জ্ঞান এর উল্টো অর্থ বুঝতে গিয়ে কিভাবে অসুরে পরিনত হয়,তাই আছে মুভিটিতে।
গল্পটি শুরু হয় নৃশংসভাবে খুনের মাধ্যমে যার তদন্ত করতে গিয়েই গোয়েন্দা টিম আস্তে আস্তে ক্লু পেতে থাকবে মানুষরূপি অসুরের। কে এই অসুর? তাকে খুঁজতে গিয়ে পুরো গোয়েন্দা টিমের অবস্থা ১২ টা বাজতে থাকবে। বাল্যকালে অন্যরকম ট্যালেন্টেড একজন শিশু সঠিকভাবে পরিচর্যার অভাবে কিভাবে তার মেধাকে বড় হয়ে নেগেটিভভাবে কাজে লাগাতে থাকে এবং একটি পুরো গোয়েন্দা টিমকে নাড়িয়ে দেয়,তার গল্প হলো Asur।আসলে অসুর কে? এই সমাজ কি দায়ী নয় অসুর জন্ম দিতে?
All are Asur in this world. আমাদের সবার মাঝেই অসুর বিরাজমান, ‘স্বার্থের প্রশ্নে আমরা সবাই পাপ করি’
এইগুলা প্রমাণ করাতেই খোদ গোয়েন্দা বাহিনীর চৌকস একজনকে কিডন্যাপ করে নিয়ে তাকে দিয়েই করানো হয় প্ল্যান মাফিক কিছু সিরিয়াল খুন,তার বউ বাচ্চাকে মেরে ফেলবে এই হুমকিতে,এতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, পরিস্থিতির শিকার হলে,বা নিজ স্বার্থে অন্যায় বা পাপ যে কেও করতে পারে।
শেষ সিনে দেশের কিছু বিখ্যাত মানুষদের বন্দী করে শর্ত চাপিয়ে দেয়া হয়- নিজের মেয়ে নাকি বন্দী মানুষগুলোর জীবন?
নায়ক কোনটা বাছাই করবে? মেয়ের জীবন বাছাই করলে ভিলেন জিতে যাবে,জিতে যাবে ভিলেনের বিলিফ-(আমরা সবাই স্বার্থপর,বৃহত্তর মানবতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করিনা),আর যদি মানুষগুলাকে বাঁচায়,নিজের মেয়েকে বলিদান দিতে হবে, অসুরের বিলিভ হেরে যাবে এবং অসুররূপি ভিলেনের সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারের কিছুটা হলেও আঘাত আসবে। কারণ, সবাই অসুর,সবাই,এইটা প্রমাণ করতেই সে মরিয়া।
সিরিজটির গল্পের বুনন সাজানো হয়েছে অতীত ও বর্তমানে বারবার ক্যামেরা তাক করার মাধ্যমে, শেষে এসে অতীত ও বর্তমানের গল্প এসে মিল যাবে অংকের জ্যামিতিক চিত্রের মত। আসলে এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ লেখা সম্ভবও নয়,এত এত সুন্দর সুন্দর ডাইমেনশন,আছে কমিক রিলিফ, অতীত প্রেমের ছোঁয়া,কর্মক্ষেত্রে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, ফরেন্সিক এলিমেন্ট,খুবি উইটি ইনফরমেশন সাইন্স ও রিলিজিয়ন নিয়ে,আরও অনেক কিছু। খুবি ট্যালেন্টেড পরিচালক, অথবা পড়াশুনা করে নিতে হয়েছে পরিচালক কে। দুম করে এই গল্প বানানো সহজ না।
সিরিজের কাস্টিং,এ্যাকটিং,গল্পের বুনন,ডিরেকশন, ইভেন স্টার্টিং ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটাও দারুন হিপনোটাইজিং। লাস্টের টুইস্টটা অসাধারণ, আপনি এই টুইস্ট এর জন্যই অপেক্ষা করতে থাকবেন এর ২য় সিজন এর জন্য।
পরিশেষে একটা কথাই বলব- খুব স্লো টাইপ মুভি, সিরিজ এসব দেখার ধৈর্য আমার নেই বললেই চলে,আমাকে রাত ২ টা থেকে সকাল ১০ টা অব্দি জাগিয়ে রাখা Asur web series টি কিভাবে জাগিয়ে রাখলো,তার উত্তর আপনারা নিজেরাই পেয়ে যাবেন Asur দেখা শুরু করলেই।
নোটঃ ডাউনলোড করার জন্য লিংকে ক্লিক করে গুগল ড্রাইভে লগিন করে ডাউনলোড করে নিলেই হবে।এবং এপিসোডগুলো একত্রে Zip File আকারে ডাউনলোড হবে।তা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার দিয়ে Unzip করে নিলেই হবে।
তো আজকে এই পর্যন্তই।কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।আর আমি নতুন নতুন পোস্ট শুরু করেছি।তাই কিছু ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে।ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।