Movie:- The Battleship Island (2017)
Genre:- History, Drama, War
IMDb:- 7.1/10
Personal Rating:- 7.5/10
Rotten Tomatoes:- 55%
Director:- Ryoo Seung-wan
Cast:- Hwang Jung min, Suji Sub, Song Jong ki…Other’s
RunTime:-
Budget: 21 million USD
Box office: 46.1 million USD
Language:- South Korea
Screenshot
Movie based on true story
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন প্রায় শেষের দিকে। জাপানী ঔপনিবেশিক দ্বীপ হাশিমা(Hashima) তে জোরপূর্বক আটকে পড়া ৪০০কোরিয়ান শ্রমিক ও দাসের সংগ্রাম ও পালানোর নির্মমতার সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হয় ছবিটি।
সময়টা ১৯৪৫,
স্থান, শিমোনশিকি, হাসিমা কয়লা খনি, নাগাসাকি। যেটা একটি আইল্যান্ডে অবস্থিত। জাপানের একটি দ্বীপ, যেখানে মাটির নিচ থেকে কয়লা তুলা হয়। যুদ্ধ প্রায় শেষের দিকে।ভুলক্রমে এই দ্বীপে আটকা পড়ে একটি ব্যান্ডদলের সর্দার Lee Kang ও তার মেয়ে So Hee।
তাদের পাশাপাশি কোরিয়ার নামী গ্যাংস্টার Choi Chil ও এক দাসী Mal Nyeonসহ ৪০০ কোরিয়ান নাগরিক হাশিমা দ্বীপে আটকা পড়ে। জাপানি সৈনিকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই দ্বীপে তারা আসে ভালো কাজ ও বেতনের আশায়। কিন্তু তাদের জোরপূর্বক খনিতে কাজের জন্য নিয়োজিত করা হয়। ৪০০কোরিয়ান কর্মী (পুরুষ, মহিলা, বাচ্চাসহ)।
তাদেরকে প্রতারনার জালে আটকিয়ে কাজ করায়ে নিচ্ছে ওই এলাকার নেতা। কিছু হলেই বেদম প্রহার। কাজ করার সময় ভুলক্রমে পান থেকে চুন খসলে পুরুষদের বেধড় মারধর করা হয়।
আর মেয়েদের দিনের বেলা বাসাবাড়ির কাজের লোকের মতো খাটানো হয় এবং রাতের বেলা পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। এভাবে তাদের জীবন চলতে থাকে। তাদের লিড করে এক বয়স্ক কোরিয়ান লিডার। এমতাবস্থায় তারা সেখান থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আমেরিকা নাগাসাকিতে হামলার পরিকল্পনা করে কারন জাপান বহু আমেরিকানদের বন্দী করে ছিল। মাটির নিচে মাইনিং করানো হয়, প্রচুর অত্যাচার করা হয়, সেখানে আমেরিকান এক লোককে জাপানিরা বন্দী করে রাখে, নায়ককে পাঠানো হয় তাকে সেখান থেকে বের করে আনতে।
িন্তু সেখানে নায়ক বুঝতে পারে এটা আলাদা একটা জগৎ, কেমন যেনো মায়ায় পরে যায়। সেখান থেকে কোরিয়ানদের মুক্তির শপথ গ্রহণ করে যেনো সবাইকে নিয়ে এই দুর্ভেদ্য দেয়াল বের হতে পারে।
নায়কের আগমনে খুলতে থাকে একের পর এক রহস্য। ঘটতে থাকে নানান কাহিনী।
কোরিয়ানদের লিডারের এতদিনের লুকানো চাঞ্চল্যকর তথ্যঃ- মিথ্যা, লোভ, ধোঁকাবাজী, দেশদ্রোহীতা ধীরে ধীরে সবার সামনে আসে।
এসব প্রকাশেও একটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিগ্রাফ পাঠাতে Moo Young(নায়ক) কে সাহায্য করে ব্যান্ডদলের সেই সর্দার। দুজনে মিলে সব কোরিয়ানদের একত্রিত করে দ্বীপ থেকে পালানোর জন্য। সেখান থেকে ৪০০কর্মীকে নিয়ে পালানোর একটা করুন দৃশ্য যা আপনার মনকে নাড়িয়ে তুলবে।
তারা কি শেষপর্যন্ত দ্বীপ ছাড়তে পারে?
টেলিগ্রাফ কি পৌঁছায়?
কোরিয়ানদের মাঝেও কি বিভক্তির সৃষ্টি হয়?
জাপানিদের কি চোখ এড়াতে পারে নাকি সংঘর্ষে জড়ায় কোরিয়ানরা?
জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে সত্য ঘটনা ও ইতিহাস নির্ভর লোমহর্ষক,টানটান উত্তেজনার সিনেমা The Battleship Island। মুভিটা দেখার সময় অনেক রাগ হচ্ছিল জাপানি সৈন্যদের উপর।
বাঁচার জন্য যেখানে মানুষ শেষ চেষ্টাটুকু করছিল ঠিক ওইমুহুত্যে তারা নির্বিচারে তাদেরকে খুন করতে লেগে যায়।
হয়তো তারই খেসারত জাপান আজও গুনতেছে হিরোশিমা এবং নাগাসাকির বোমা হামলা।
যা একটা উদাহরণ হিসেবে আছে। ছোট্ট মেয়ে ও বাবার সীনগুলো মন ছুঁয়ে গেছে।