Site icon Trickbd.com

মনপুরা মুভি রিভিউ + লিংক । যারা এখনো এই লিজেন্ডারী মুভি টি দেখেন নি তারা দেখে নিতে পারেন!

Unnamed

Monpura (2009)
Director & Writers: Giasuddin Selim
Genre: Crime, Drama, Musical
IMDB: 8.6 /10 (5,025)

Screenshot







আত্মস্পর্শী এক প্রেমের গল্প!
স্বর্গীয় সংগীত!
গল্পের পরতে পরতে লোকজ আবহ!
একটি নিজস্ব বাংলার জল ছায়ার চলচ্চিত্র!

” আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
তুমি হইবা পর,
ছাড়িতাম কি বাড়ি আমার
ছাড়িতাম না ঘর”

মুখবন্ধঃ

মমতাজের গাওয়া গানটি শুনলে ভিতরে কোথায় যেন নাড়া দেয়। চোখ ছলছল করে উঠে। পরীর নিঃসৃত অসহায় মুখটার কথা মনে পড়ে। কেঁদে উঠে ভেতরে।
এই গানটাই যেন এই মুভির আদ্যোপান্ত কাহিনি সংক্ষেপ। এক না চাওয়া পরিণতি।

পটভূমিঃ

হ্যাঁ বলছিলাম মনপুরা মুভির কথা। যার গল্প গিয়াস উদ্দিন সেলিমের। লিখেছিলেন ১৯৯৭ সালে। নাটকের মানুষ তিনি। নাটকই বানাতে চেয়েছিলেন। তৎকালীন সুঅভিনেত্রী আফসানা মিমিকে গল্পটি শোনানোর পর, মিমিই গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে গল্পটা নিয়ে মুভি বানাতে আইডিয়া দেন। কিন্তু তিনি তো নাটকের মানুষ। জীবনে কখনো মুভি বানান নি। তাইতো একাধিকবার শুরু করেও এই মুভির শুটিং এগুয়নি। তারপর অনেক চড়াই-উৎরাই পেড়িয়ে অবশেষে ২০০৯ সালে মুক্তি পায় এই ইতিহাস সৃষ্টিকারী মুভিটি।

এই মুভি মুক্তির আগে বাংলার খেটে-খাওয়া মানুষ এ দেশের সিনেমা হলে শেষ কবে ঢল নামিয়েছিল? সহজে বলা কঠিন।

উমম.. সালাউদ্দিন লাভলুর “মোল্লাবাড়ির বউ” মুভিটাই বোধহয় শেষ দাবার দান ছিলো।
তারপর আর কোনো মুভি উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে একযোগে সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষকে আর টানতে পারেনি।

তাই এই মুভিটিকে বাংলা চলচ্চিত্রের এক দিক বদল বলা হয়।

মধ্যভাগঃ

কী আছে এই মুভিতে যা এতোটাই প্রভাব ফেলেছিল?

এই মুভির প্রতিটি গান ছিলো ক্লাস থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে। একটি অচলায়তন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে গান কতটা সাড়া ফেলতে পারে, তা মনপুরা মুভি থেকে বুঝা যায়।

আর ছিলো গিয়াসউদ্দিন সেলিমের অদ্ভুত রকম সহজ সরল গল্প। ধার করা গল্প নয়। বাংলার মানুষের গল্প। আমাদের নিজস্ব গল্প।

সেইসাথে ছিলো প্রতিটি ক্যারেক্টারের সর্বোচ্চ পার্ফেক্ট অভিনয়।

অভিনয়েঃ

চঞ্চল চৌধুরী – সোনাই
ফারহানা মিলি – পরী
মামুনুর রশীদ -গাজী
ফজলুর রহমান বাবু – হাকিম মাঝি
মনির খান শিমুল – হালিম

মিলি ছাড়া প্রত্যেকেই পরিক্ষিত অভিনেতা অভিনেত্রী। অসংখ্য পুরুস্কারের মধ্যে চঞ্চল চৌধুরী প্রথম জাতীয় পুরুস্কার লুফে নেয় সোনাই চরিত্রের জন্য।

সংগীতায়োজনেঃ

এই এক মুভিতেই অর্ণব কিভাবে এতো চমৎকার চমৎকার গান ডিরেক্ট করেছে ভেবে অবাক হই। মমতাজকে “আগে যদি জানতাম” গানের আগে এভাবে কেউ তাকে ইউজ করেছে বলে মনে পড়েনা। ফজলুর রহমান বাবুকে দিয়ে গান গাওয়ানোও ছিলো ম্যাজিকের মত। বাবুর কণ্ঠ সারা দেশকে চমকে দিয়েছিল। “নিথুয়া পাথারে” সোনাই হায় হায়” দুইটা গানই অসম্ভব হ্নদয়স্পর্শী।

অর্ণবের নিজের গলায় গাওয়া “সোনার ময়না পাখি” এক নতুন মাত্রা পেয়েছিল গানটি।

সত্যিকার অর্থে এই মুভির সাফল্যের পেছনে নয়, সামনেই থাকবে প্রতিটি স্বর্গীয় গান। যার পুরো কৃতিত্ব অর্ণবের।

কাহিনি সংক্ষেপঃ

গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি গাজীর মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে হালিম একটা খুন করে ফেলে। স্বাভাবিক অর্থেই গাজী তার ছেলেকে রক্ষা করতে চায়। তাইতো স্ত্রীর পরামর্শে বাড়ির এতিম কাজের ছেলেকে কাজে লাগায়। এতিম ছেলেটির নাম সোনাই। তাকে মনপুরা নামক দ্বীপে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। যাতে সবাই সোনাইকে দোষী সাব্যস্ত করে।

মনপুরা চরে সোনাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় পরীর। পরী মাঝির মেয়ে, চরের দিকে মাছ ধরতে আসে বাবার সঙ্গে। আস্তে আস্তে সোনাইয়ের সাথে পরীর দেখা সাক্ষাৎ বেড়ে যায়। দুজন দুজনের প্রতি এক সুগভীর টান অনুভব করে। ভালোবেসে একে অপরকে।

এরমধ্যে একদিন চরে এসে গাজী দেখে ফেলে পরীকে। ঠিক করে পাগল ছেলে হালিমের সঙ্গে পরীর বিয়ে দেবে….

কি-পয়েন্টঃ

গাজি কি পরীকে তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে বিয়ে করাতে পারে?

সোনাই কি তার উপর দায়ের করা মিথ্যে খুনের আসামি থেকে রক্ষা পায়?

নাকি অন্য কোনো ভয়ানক কিছু

সোনাইয়ের কিছু হলে পরীর কি হবে?

Link: Monpura Full Movie

Exit mobile version