একটি বহুল প্রতীকৃত সিনেমা যাকে বলা হচ্ছে সুন্দরবন নিয়ে বাংলাদেশের নির্মিত প্রথম রোমাঞ্চকর কাহিনী চিত্র। পাশের দেশ ভারতে তো আমরা এরকম সিনেমা বহু দেখেছি।
কিন্তু আমাদের দেশে আমাদের মৌলিক গল্প নিয়ে সিনেমা সম্ভবত সে জায়গা থেকে আমাদের ইন্টারেস্টেকটেড একটু বেশিই ছিল। এবং পোস্টারে আসা জাগিয়েছে এবং সেখান থেকে ট্রেলারের আগ্রহ বেশি ছিল। অবশ্য শেষে এসে গেছে অপারেশন সুন্দরবনের ট্রেলার।
তো আজকে আমরা কথা বলব *অপারেশন সুন্দরবন* মুভি ট্রেলার নিয়ে।
শুরুতেই এক অবিনাশ সুরে সুন্দরবনের কিছু ফুটেজ দিয়ে রহস্যময় এক জঙ্গল ক্রাইম থ্রিলার এর আভাস দেয়া হয়। বলা হয় যে সুন্দরবনের জলদস্যুদের নিয়ে নির্মিত প্রথম গল্প।
সেখান থেকেই আগ্রহটা সবথেকে বেশি বেড়ে যায় এবং এরপরে বন্যপ্রাণী ,এবং আরো কিছু ভৌতিক ফুটেজ দিয়ে এক ধরনের আবহাওয়া তৈরি করা হয় যা যেকোনো ভালো ক্রাইম থ্রিলার এর পূর্ব শর্ত হতে পারে।
এবং স্ক্রিনে আসে চিত্রনায়ক রিয়াজ যিনি সিনেমার একজন রেবের কর্মকর্তা, তিনি এসে একটি ডায়লগ দেন !এই ডায়লগ একটু খটকা লাগে এটা নিয়ে পরে কথা বলছি।
চিত্রনায়ক রিয়াজকে নিয়ে বলতে চাই , আমরা যানি তিনি অনেক বছর ধরে অনেক সিনেমা দিয়ে আমাদের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন।রোমান্টিক এই নায়ক এখন নিজেকে ভেঙে এই কঠিন পাওয়ারফুল চরিচে কতটা উপরে আসতে পারেন এটাই এখন দেখার বিষয়।
কারণ শুনতে যে ঘটনার কথা বলছিলাম সেই ঘটনাটা আসলে ছিল একটি ডায়লগ এর তার যে উচ্চারণ যেটা শুরুতেই দেখাই সেটা আর উচ্চারণটা নিয়ে।
এরপরে স্ক্রিনে আসেন নায়ক
জিয়ারুল রশান
তিনিও একজন রেব কর্মকর্তা তাকে স্ক্রিনে ভালো লেগেছে। তবে আসলে একজন ডিউটিতে থাকা কর্মরত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে তার মেকআপ টা খুব একটা মানানসই আমার কাছে মনে হয়নি। যেটা রিয়াজের ক্ষেত্রেও ছিলো ইনফেক্ট।এরপরে সিয়াম কে নিয়ে যদি বলতে চাই….
সিয়াম ও একজন অফিসার।সিয়ামকেও নিয়ে একই কথা বলবো যেটা রিয়াজকে নিয়ে বলেছি।
এই পাওয়ার ফুল চরিত্রে সাহসী একজন অফিসার চরিত্রে কতটা নিজেকে তৈরি করতে পারলেন? মানে নিজেকে সৃষ্টি করতে পারলেন সেটাই এখন সেটাই এখন সিয়ামের সামনে চ্যালেঞ্জ।
কারণ তিনি এর আগে পোড়ামন টু এবং দহনে খুবই ভালো কাজ করেছেন। তিনি নিজের লেভেল নিজেই হাই করেছেন।
তাই এখন তার কম্পিটিশনটা আসলে তার সঙ্গেই।
যদি বলেন *শানে* তো এরকম সিমিলার ক্যারেক্টার করেছে তাহলে সেটি নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না কারণ*সান* সিনেমাটি আমার মনে খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি.।।
তো আশা করছি সিয়াম এই সিনেমাতে আমাদেরকে আসাহত করবেন না।
এরপর নুসরাত ফারিয়ার দৃশ্যে এসে একটা টুইস্টের আভাস দেন যা অনেকটাই আগ্রহের সৃষ্টি করে।সাথে ছিলেন রোশান এবং দর্শনা বণিকও।
তবে নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই কারণ তাকে বেশ গতানুগতিক ই লেগেছে। তাই এখন তাকে পুরো সিনেমায় কেমন লাগে সেটাই দেখার বিষয়।
পুরো ট্রেলারে যে ভয়েজ অভার আর অ্যাকশন দেখা গেছে। তাতে জমজমাট থ্রিল অনুভূত হয় তবে পুরো ব্যাপারটা আরেকটু গোছানো হলে পারত।
বিশেষ করে চরিত্রগুলো আরো ফুটে ওঠার জন্য আরো শক্তিশালী আর একটু পাওয়ারফুল এক্সপ্রেশন আশা করেছিলাম।
আলাদা করে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আর কালার ব্লেডিং খুব একটা বেশি নজর কাটতে পারেনি। যদিও দীপঙ্কর দীপনের আগের সিনেমা আমরা দেখেছি।
ঢাকা এটাক অ্যাকশন সিনেমায় তার নমুনা দেখিয়েছেন।
তবে এখন তার কাছে এবং অভিনয় শিল্পীদের কাছেও আসাটা আমাদের কয়েক গুণ বেশি কারণ এটা ২০২২ অ্যান্ড হাই টাইম।
এখন এই সিনেমার বাজারে টেক্কা দিতে হলে আসলে যথাযথ দক্ষতা ছাড়া সম্ভব নয়।
বিশাল বড় বাজেট র্যাবের প্রজেক্ট সেই সাথে তারকা বহুল কাস্ট, ইন্টারেস্ট ইন্টারেস্টিং গল্পের টপিং সবমিলিয়ে এক্সপেকটেসান অনেক হাই অপারেশন সুন্দরবন থেকে। ট্রেলারের সেই আশা একশভাগ না রাখতে পারলেও আশা করছি মূল সিনেমায় দাগ কাটবে অপারেশন সুন্দরবন।
এখানে একটা কথা বলে রাখতে চাই , যে একটা সিনেমার ট্রেলার কিন্তু সেই সিনেমার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে এখন কোন সিনেমা ট্রেলার দেখি না কারণ অধিকাংশ ট্রেলার যেটা হয় যে কিছু স্পয়লার দিয়ে দেওয়া হয় ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র স্পয়লার আসলে এভয়েড করে চলার চেষ্টা করি।
যদিও এখন হলে দর্শক থাকতে গেলে একটা সিনেমার ট্রেলারের কোন বিকল্প নেই। সে দিক থেকে আমার মনে হয় আমাদের বাংলাদেশে নির্মাতাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত। যখন তার একটি সিনেমার ট্রেলার বানাচ্ছেন বা টিজার বানাচ্ছেন।
তো যারা এখনো ট্রেলার টা দেখেনি তারা লাইভটি দেখে নিন।
এই ছিল আমার অপারেশন সুন্দরবন ট্রেলার নিয়ে আমার রিভিউ আপনাদের কেমন লেগেছে আপনারা জানাতে পারেন। এবং আমরা আশা করছি আমরা হলে গিয়ে সবাই সিনেমাটি দেখব এবং সবাই অনেক বেশি এনজয় করব।
আজকের মত এখানে ই শেষ করছি আশা করছি খুব শিগগিরই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছি সেই পর্যন্ত সাথেই থাকুন ট্রিকবিডির ধন্যবাদ।❤️