Site icon Trickbd.com

অ্যাকশনে ভরপুর “কার্টার” সিনেমা, পুরো সিনেমার রিভিউ দেখে নিন।

আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি, আপনি কি একজন ননস্টপ অ্যাকশন সিনেমার অনুরাগী? আর আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য আমার আজকের এই টপিক। কারণ আজকের এই টপিকে আমি একটি ননস্টপ অ্যাকশন সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা অনেকেই বিনোদনের জন্য মুভি, নাটক, কৌতুক সহ ইত্যাদি উপভোগ করে থাকি। এর মধ্যে এক একজনের আবার এক এক রকম পছন্দ। যেমন আমার কাছে অ্যাকশন, ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা এইসব ধরনের মুভি দেখতে ভালো লাগে। আমরা যারা অ্যাকশন টাইপের মুভি দেখে থাকি হয়তো তারা সকলেই জন উইক মুভির সিরিজটি দেখে থাকবো। ঐ মুভিটিতে যেরকম অ্যাকশন রয়েছে ঠিক তেমনি একটি মুভি হচ্ছে আমার আজকের এই টপিকের “কার্টার” নামক মুভিটি।

মুভির বিবরণঃ
নামঃ কার্টার
অরিজিনঃ দক্ষিণ কোরিয়া
ধরনঃ অ্যাকশন, থ্রিলার
সময়কালঃ ২ ঘণ্টা ১২ মিনিট
ভাষাঃ কোরিয়ান, ইংরেজি ও হিন্দি
রিলিজঃ ৫ আগস্ট ২০২২

মুভিটি মূলত একটি কোরিয়ান মুভি। নেটফ্লিক্সে গত ০৫ই আগস্ট ২০২২ইং তারিখে রিলিজ হয়। ছবিটি মূলত ভাইরাস নিয়ে যার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি এমন একটি অ্যাকশন মুভি যার মধ্যে আপনি ০২ ঘণ্টা ১২ মিনিট পুরো ছবির সময়কাল জুড়ে আপনি শুধু মারামারি বা অ্যাকশনই দেখতে পারবেন। ছবি দেখার সময় আপনার মনোযোগ আর অন্যদিকে যাবেই না। আমি এইরকম ছবি কমই দেখেছি একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু মারামারি। ?আমার মনে হয় মাঝেমধ্যে একটু অন্যকিছু দেখালেও পারতো কি বলেন।? বিশেষ করে এর ক্যামেরা শুটের ব্যাপারটা অন্যরকম হয়েছে। ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে শুট করা হয়েছে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে। হয়তো এর কারণে আপনার মাথা ব্যাথা করতে পারে বা ঘুরাতেও পারে। আমি নিশ্চিত আপনি যখন বিমান এবং আকাশপথের অ্যাকশন বা মারামারি দেখবেন তখন আপনার মাথা ব্যাথা করবে বা ঘুরাবে।

মুভিটির শুরুর দিকে যে অ্যাকশনটি ব্যবহার করা হয়েছে তা অকল্পনীয়। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ঐ অংশের অ্যাকশন ফাইটটি ভালো লেগেছে। মার্শাল আর্টের সমন্বয়ে ছুরি দিয়ে কাটাকাটি বা মারামারির কারসাজি দেখানো হয়েছে অন্যরকমভাবে। যেখানে পানির মতো রক্ত ​​ঝরানো হয়েছে অন্তত ৫ ডজন মার্শাল আর্টিস্টয়ের বাথ-হাউসের মধ্যে। কারো মাথা ভেঙ্গেছে, কারো হাত ভেঙ্গেছে এবং ছুরি দিয়ে ঘাড় কেটেছে। আপনি যদি একবার দেখেন এই দৃশ্যটা পুরো থ খেয়ে যাবেন। দেশি ভাষায় বলতে গেলে কচুকাটার মতো।

যদিও পুরো ছবি জুড়ে অ্যাকশনে ভরপুর তবুও শেষের অ্যাকশন ফাইট আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগেনি। হয়তো ঐদিক দিয়ে আপনার কাছে কোনো কোনো গেমসের মতো মনে হবে। প্রথম আর মাঝের অ্যাকশনগুলিই অসাধারণ মনে হয়েছে আমার কাছে।

কাহিনী সংক্ষেপঃ

যদিও এতোক্ষণ মুভি নিয়েই বকবক করেছি কিন্তু মুভির কাহিনী কী তা কিন্তু বলেনি। তাই চলুন এইবার মুভির কাহিনী সম্পর্কে একটু জানা যাক। মুভির মূল চরিত্র অর্থাৎ নায়েকের নাম কার্টার যা আমরা জানি মুভির নামও। মুভিতে কার্টার আসলে মাইকেল বেন যিনি একজন নিখোঁজ সিআইএ এজেন্ট। মুভির শুরুতে কার্টার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি হোটেলে চোখ খোলেন, তখন তিনি কিছুই মনে করতে পারেন না, তবে তিনি তার কানে একটি মেয়ের কন্ঠ শুনতে পান যে তাকে ডাক্তার জংকে খুঁজে বের করতে বলছে। অথচ তার কিছুই মনে নেই। সে আসলে কে? তাকে কেন ডাক্তারকে খুঁজে বের করতে বলা হচ্ছে। ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন যে একটি ভয়ঙ্কর ভাইরাস আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপর হানা দিয়েছে। আর এভ ভাইরাসের প্রতিশোধক ডাক্তার জং এর কাছে। ডাক্তার জং সেই অ্যান্টিভাইরাসটি তার মেয়ের উপর ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু সে মেয়েটি কিডনাপ হয়ে যায় আর তাকে বাঁচানোর দায়িত্ব পড়ে কার্টারের উপর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকার, সিআইএ এবং উত্তর কোরিয়া সহ কার্টার তার এই কাজের পথে অনেক বাধার সম্মুখীন হন। সব বাঁধা পেরিয়ে কার্টার কোনভাবে ডাক্তার জং এর মেয়েকে বাঁচানোর পদক্ষেপ পরিচালনা করেন এবং যখন তিনি তাকে তার গন্তব্যে নিয়ে যান তখন তার মস্তিষ্ক থেকে একটি ফিট ট্রান্সমিটার সরানো হয় যা তার স্মৃতি পুনরুদ্ধার করে। তারপর তিনি জানতে পারেন যে তার মেয়েও এই বিপজ্জনক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তার জীবন বাঁচাতে তাকে ডাক্তার জংকে খুঁজে বের করতে হবে এবং অ্যান্টিভাইরাস নিতে হবে। তারপরে উত্তর কোরিয়ার একজন জেনারেলের সাথে তার লড়াই হয় যে আসলে কার্টারকে অপব্যবহার করছে। প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর কার্টার তার স্ত্রী, তার মেয়ে, ডাক্তার জং এবং তাদের মেয়ের সাথে চীনের ট্রেনে উঠে। কার্টার চূড়ান্ত যুদ্ধে তার সমস্ত শত্রুদের শেষ করার পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললে, সামনের সেতুটি ভেঙে পড়ে এবং ট্রেনটি এতে পড়ে যায়।

আর এইভাবে ছবিটির কাহিনীর সমাপ্তি ঘটে। মনে রাখবেন আপনি কিন্তু প্রথম দিকে ছবির কাহিনীর আগাগোড়া খুঁজে পাবেন না। তার জন্য পুরো ছবিটি আপনাকে দেখতে হবে। তাহলেই আপনি আস্তে আস্তে পুরো মুভির বিষয়বস্তু বুঝতে পারবেন। এখন কথা হলো মুভি সম্পর্কে এতোকিছু জানলাম। জানার পর তো আর তর সইছে না ডাউনলোড করে দেখার জন্য। এখন আপনি যদি মুভিটি ডাউনলোড করে দেখতে চান তাহলে আপনাকে আমার সাইটে ভিজিট করতে হবে। তার জন্য এই https://tutorialbd71.blogspot.com/2022/08/carter-action-movie-review.html লিংকে ভিজিট করুন এবং মুভিটি ডাউনলোড করে দেখতে থাকুন। কারণ ট্রিকবিডির নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনো মুভির ডাউনলোড লিংক দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র মুভির রিভিউ দেওয়া যাবে।

শেষ কিছু কথা……

অনেকে হয়তো বলতে পারেন যে, গতকাল তো এই বিষয় নিয়ে পোস্ট করা হইছে। হ্যাঁ, আমিও লক্ষ্য করলাম হয়েছে। তবে সেটি থেকে আমার করা পোস্টটি আমি মনে করি একদম ব্যাতিক্রম। কারণ মুভি নিয়ে যদি পোস্ট করতে হয় তাহলে তার সম্পর্কে বিভিন্ন বিচার-বিশ্লেষণ তুলে ধরতে হয়। কিন্তু আগের পোস্টটি তা করা হয়নি। যদিও বলা ঠিক না বা আমার বলার রাইটস নেই যিনি এই বিষয়ের উপর ইতিমধ্যে পোস্ট করেছেন তিনি সম্ভবত আমার সাইটে দেখার পর এই নিয়ে এখানে পোস্ট করেছেন। উনার উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে থাকেন কিছু মনে করবেন না এটা শুধুমাত্র আমার সন্দেহ প্রকাশ করলাম আরকি, এর জন্য দুঃখিত।

আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।

সৌজন্যে : বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক টিউটোরিয়াল সাইট – www.TutorialBD71.blogspot.com নিত্যনতুন বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পেতে সাইটটিতে সবসময় ভিজিট করুন।

Exit mobile version