প্রথমে প্রতিদিনের মত এই নিচে দেয়া লিঙ্কগুলও থেকে ফাইভারের কিছু গিগ এর উদাহরণ দেখে নিন।
অনেকে আমার কাছে (ফেসবুক ও মোবাইল) জানতে চেয়েছেন যে ফাইভারে কি কি কাজ পাওয়া যায়। তো আমি আমার আজকের টিউন টি আলোচনা করব আপনি ফাইভারে এর কাজ সম্পর্কে।
তো চলুন শুরু করি।
আমি আমার আগের আলোচনায় বলেছি যে ফাইভার একটা বাজারের মত। এখানে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে এবং কিনতে পাওয়া যায়।
বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তাহলে সহজেই বুঝতে পারছেন যে কি কাজ পাওয়া যেতে পারে ফাইভারে।
ফাইভারে সবচেয়ে বেশি কাজ পাওয়া যায় ওয়েভ ডিজাইন/ গ্রাফিক্স ডিজাইন/এস ই ও। তার মানে এই নয় যে অন্য কোন কাজ ফাইভারে নেই তা কিন্তু নয়। অন্য সব কাজের মদ্ধ্যে এই ধরনের কাজ ফাইভারে সব থেকে বেশি সেল হয়।
আপনি আপনার যে কোন ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে গিগ তৈরি করে ফাইভারে সেল করতে পারবেন। আপনি যদি লেখার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে একটা গিগ তৈরি করুন এটার উপর। যদি থাকে ফেসবুক তৈরির অভিজ্ঞতা তাহলে এটা নিয়ে গিগ করে ফেলতে পারেন।
আসল কথা আপনি কি পারেন সেটাই হল মুখ্য বিষয়। গিগ সেল হবে কি হবে না সেটা পরের বিষয়। গিগ তৈরি করে আপনার গিগ এর ভিজিটর বাড়ান সেটা এমনি সার্চ লিস্টের উপরে উঠে আসবে।
তবে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন আপনি যে কাজ নিয়ে গিগ তৈরি করবেন সেই কাজ সম্পর্কে আপনার খুব ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। হয়তো আপনি আপনার একটা গিগের অর্ডার পেয়ে গেলেন কিন্তু সেই কাজটা ঠিক মত কমপ্লিট করতে পারলেন না তখন কি হবে, বায়ার আপনাকে নেগেটিভ ফিডব্যাক দিয়ে চলে যাবে এবং আপনি আপনার অই একাউন্ট থেকে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। সুতরাং গিগ তৈরি করার আগে কাজ শিখুন এবং ভালো ভাবে কাজ শিখার পর গিগ তৈরি করুন।
অনেকে এমন আছেন যারা অল্প শিখে মনে করে যে সব ই তো পারি এর ফল হয় যখন মাসের পর মাস গিগ তৈরি করার পর কোন অর্ডার পায়না। আবার অনেকে একমাসের মদ্ধ্যে ২০-৫০ টা সেল দিয়ে থাকে। আপনার কাজ পেয়ে যদি বায়ার খুশি হয় তাহলে সে হয়তো অন্য বায়ার কে রিকমেন্ডেড করতে পারে আপনার গিগ টি অর্ডার করার জন্য।
আপনি যে কাজটি পারেন সেটা পুরোপুরি ই পারবেন। ১% বাদ থাকলেই আপনার কাজ না পাবার সম্ভাবনে ১০০% হয়ে যাবে।
যারা এতদিন একাউন্ট খুলেন নি তারা এখন একাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারেন এবং কোন ধরনের সাহায্যের জন্য টিউমেন্টে অথবা আমার ফেসবুক একাউন্টে মেসেজ দিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
আর যারা চান তারা তাদের ইমেইল টিউমেন্টে অথবা ফেসবুকে দিতে পারেন যেটা দিয়ে আপনি আপনার একাউন্ট তৈরি করতে চান।
যে কোন সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
অনেক কথা বলে ফেললাম আজ আর নয়।
আগামী পর্বে আমি ফাইভারের পেমেন্ট মেথড নিয়ে আলোচনা করব।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সাথে থাকের জন্য