আমরা অনেকে জানি যে অনলাইন থেকে আয় করা যায়, আসলে এটা হয়তো
জানেন না যে এটা আসলে কিভাবে হয়। অনলাইন থেকে আয় করার অনেক
উপায় আছে। তার মধ্যে সব চেয়ে সহজ ও লাভজনক হচ্ছে ব্লগিং
করে আয় করা। এটা আমরা খুব কম সময়ে ঘরে বসেই করতে পারি।
ব্লগিং বা ওয়েবসাইট আসলে কি?
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটানো কোন ঘটনা বা যে কোন একটি
নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে অনলাইনে লেখালেখির মাধমে প্রকাশ করা হয় তাকেই
সাধারণত ব্লগিং বলা হয়ে থাকে। আর এই কাজ আমরা যে সাইটে করে থাকি
তাকে ব্লগ সাইট বা কোন ওয়েবসাইটও বলা যেতে পারে। এখানে আমারা
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারি। আপনাকে প্রথমে ঠিক করতে
হবে যে আপনি কি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন। আপনি কোন খবরের
সাইট বানাতে পারেন। টেকনোলজি, শিক্ষা, হেল্থ, সাহিত্য ইত্যাদি নিয়ে লিখতে
পারেন। তবে আমার কাছে সব চেয়ে মনে হয় একটা চাকরির সাইট নিয়ে ব্লগিং
করা। বর্তমান প্রেক্ষাপেটে এর চাহিদা অনেক বেশি।
ব্লগিং করতে হয়ে যা প্রয়োজন এবং যে বিষয়গুলো জানা খুবই দরকার
আশা করি ব্লগিং কি এটা বুঝতে পেরেছেন। ব্লগিং করার জন্য আমাদের
প্রয়োজন হবে প্রথমে একটি ব্লগ সাইট বা ওযেবসাইটের। এখানে আপনি
যে বিষয়ে লিখতে চান তা লিখে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দেবেন।
এর জন্য আপনাকে একটা ফেসবুকে ফেনপেজ খুলতে পারেন। তাহলে
আপনার সাইটটির পরিচিতি খুব তাড়াতাড়ি বাড়াতে বাড়বেন। একটা কথা বলে রাখি, একটা
ব্লগ সাইট থেকে ভাল ইনকাম পেতে হলে আপনাকে কমপক্ষে 6 মাস
থেকে 10 মাস সময় পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরতে হবে। আর একটা কথা যে কোন
কপি পেস্ট করা যাবে না। আপনার ব্লগে যা থাকবে তা আপনাকে টাইপ করেই
এতে কোন সন্দেহ নাই। আপনি অন্য পোস্ট দেখে সেটা নিজে টাইপ
করে লিখতে পারেন একটু অন্যরকম ভাবে।
কি কি ভাবে আয় করা যায়?
ব্লগিং করে আপনি অনেক ভাবেই আয় করতে পারেন। তার মধ্যে কয়েকটা-
* এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
বর্তমান সারা বিশ্বে এটি একটি পরিচিত বিষয়। এ্যােফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে
কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা করাকে সাধারণত
বোঝায়। যেমন কোন কোম্পানীর কোন প্রোডাক্ট সেল করে
দিলেন তার বিনিময়ে আপনার সেলের উপর 10% কমিশন দিবে। এই বিষয়টিই
হচ্ছে এ্যাফিলিয়েট মার্কেট। এখন অনেকের মনে হয়তো এই প্রশ্ন
জাগতে পারে যে, ব্লগিং এর সাথে এ্যাফিলিয়েট মার্কেট এর সম্পর্ক
কোথায়? আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের
বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন বা তা নিয়ে কোন পোস্ট করে থাকেন, তারপর যদি
কোন ভিজিটর আপনার সাইটের মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বা কোম্পানীর
নিকট গিয়ে পন্য ক্রয় করে থাকলে সেটা তাহলে আপনার আয়। যা কিনা আপনি
আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন বা কাস্টমার ধরে দিয়েছেন। আশা
করি বুঝতে পেরেছেন।
বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে:
বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় সবচাইতে সহজ পদ্ধতি। গুগল এ্যাডসেন্স নামটা
যারা শুনেছেন তারা হয়তো এটা জেনে থাকবেন। আপননারা হয়তো দেখে
থাকবেন বিভিন্ন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান তাদের বিজ্ঞাপন ব্লগ সাইটে দিয়ে
থাকেন। এই বিজ্ঞাপন গুলো তারা গুগলকে দিয়ে থাকেন এবং গুগল কমিশন
দিয়ে সেই বিজ্ঞাপন গুলো কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে দিয়ে থাকেন।
উপরে দেখতে পাচ্ছি যে, বিজ্ঞাপন এবং নিচে লক্ষ করুন ভালভাবে এডস বাই
গুগল মানে এই বিজ্ঞাপন গুলো গুগল আপনাকে দিয়েছে। একটা ব্লগে
40-50 টা পোস্ট করলেই গুগল আপনাকে বিজ্ঞাপন দেবে। এই বিজ্ঞাপন
গুগুল এ্যাডসেন্স হয়তো এই নামটা অনেকে শুনেও থাকবেন।
নিচের প্রডাক্ট বিক্রি করে:
আপনি আপনার ব্লগ সাইটের মাধ্যমে আপনার যে কোন পন্য বিক্রি করতে
পারবেন। এতে করে আপনি আপনার প্রোডাক্টের সেলের পরিমান ও
ভোক্তার পরিমান খুব সহজেই বাড়াতে পারবেন।
কাজ তো করলাম টাকা কিভাবে তুলব?
অনলাইন থেকে ইনকামের টাকা তোলার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে।
যেমন- পেইপাল, মানি বুকার্স, পেজা, ব্যাংক চেক, পারফেক্ট মানি ইত্যাদি। আমার
কাছে সবথেকে ভাল মনে হয় সরাসরি ব্যাংক থেকে টাকা তোলা। গুগল
এ্যাডসেন্সে আপনার ব্যাংক একাউন্ট এ্যাড করে দিতে হবে। তার আপনার
অর্জীত ডলার আপনি আপনার ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকার মাধ্যমে ট্রান্সফার
করতে পারবেন। যার জন্য অবশ্যই আপনার একটা ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে
হবে। পরিচিত কার হলেও চলবে।
যে কোন ডিজাইনের WordPress অথবা Wapka সাইট সল্প মূল্যে বানাতে যোগাযোগ করুন 01758143289 নাম্বারে। এবং সাইট থেকে আয় করুন প্রতিদিন 150-200 টাকা ইনকামের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে ইনশাল্লাহ। আমার সাইট:- SomaiBD.Com