Site icon Trickbd.com

অনলাইনে আউট সোর্সিং এর “বাজি ধরা” – আপনার রব কি বলেন আপনি তা জানেন কি?

বাজী ধরা বা জুয়া খেলা কি ?
——
সবাইকে # শেয়ার করার অনুরোধ
রইলো .  অনেক সময় দেখবেন অনলাইনে আউট সোর্সিং এর নামে চলছে বাজি ধরা, তার ভেতর একটা সাইট            বেট৩৬৫

আসুন জেনে নিই এর ফলাফল

****জুয়া শব্দটির অর্থ হলো,
ধোঁকাবাজি,
প্রবঞ্চনা, প্রতারণা, শঠতা,
ঠকামি ইত্যাদি। পরিভাষায়
জুয়া হলো,
এমন খেলা বা কর্ম
যাতে বাজি রাখা হয়
অথবা বাজি ধরা হয়।
(বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক
বাংলা অভিধান)।
জুয়াকে আরবিতে ‘কিমার’ ও
‘মাইসার’
বলা হয়। (লিসানুল আরব,
ইবনে মানজুর)।
ইসলামী পরিভাষায়
জুয়া (কিমার ও
মাইসার) এমনসব কাজকে বলা হয়,
যাতে এক পক্ষের প্রভূত ক্ষতির
সমূহ
সম্ভাবনা বিদ্যমান
থাকে এবং অপর পক্ষ
অযাচিতভাবে লাভবান হওয়ার
সুযোগ
সৃষ্টি হয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, ২য়
খ-, পৃষ্ঠা : ৩৩৬, ৩৩৮, ৩৩৯; দৈন্দিন
জীবনে ইসলাম, পৃষ্ঠা : ৫১৬;
ফাতাওয়ায়ে শামী- দুররুল
মুখতার, রদ্দুল
মুহতার, ৫ম খ-, পৃষ্ঠা : ৩৫৫)।
“হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া/
বাজী,প্রতিমা এবং ভাগ্য

গণণার (লটারি) এসব শয়তানের অপবিত্র
কাজ। অতএব এসব থেকে বেঁচে থাক-
যাতে তোমরা সাফল্য লাভ
করতে পার। শয়তান তো মদ জুয়ার
মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ
সৃষ্টি করতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও
নামায থেকে তোমাদের বিরত
রাখতে চায়, তোমরা কি নিবৃত্ত হবে?
(সুরা আল মায়েদা- ৯০, ৯১)”
“তোমরা অন্যায়
ভাবে একে অপরের
সম্পদ ভোগ করো না।
(সুরা বাকারা- ১৮৮)”
পবিত্র হাদিস এর দলিলঃ
কিছু লোক
আছে যারা অবৈধভাবে আল্লাহর
(আল্লাহর বান্দাদের)
সম্পদে হস্তক্ষেপ
করে, কেয়ামতের দিন তাদের
জন্য
জাহান্নাম সুনির্ধারিত।
(বোখারী)
যে লোক তার সাথীকে আহবান
করে-
এস তোমার সাথে জুয়া/
বাজী খেলবো,
তবে তার (কাফফারা সরূপ)
সদকা দেয়া উচিত। (বোখারী)
এবার আসুন হারাম
খাওয়া সম্পর্কে কি নির্দেশ
দেখি :—
***কোন ব্যক্তি যদি এক
লোকমা হারাম
খাবার তার মুখে তুলে নেয়
তাহলে চল্লিশ দিন তার
দোয়া কবুল হয়
না।
*** কোন ব্যক্তি যদি হারাম মাল
উপার্জন করে তা হতে ব্যয়
করে এবং দান-
সাদকা করে আল্লাহ
তাতে বরকত দান করেন
না এবং কবুল ও
করেন না।
***
যে ব্যক্তি বেপরোয়া ভাবে অর্থ
উপার্জন করে আল্লাহ
তায়ালা তাকে জাহান্নামের
যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ
করাতে পরোয়া করবেন না।
*** হারাম উপায়ে উপার্জিত
খাদ্য
মুখে দেওয়ার
চেয়ে মাটি দিয়ে মুখ
পুরে দেওয়া উত্তম।
*** যে ব্যক্তির পেটে হারাম
যায়
আল্লাহ তা’য়ালা তা নামায
কবুল
করেন না যতক্ষন না সে আল্লাহর
কাছে এ কাজ
থেকে তওবা করে।
তাই আমরা চেষ্টা করব এসব
থেকে বেচেঁ থাকতে।
আল্লাহপাক কবুল করুকত)

(সংগৃহীত পোস্ট)

————-ফ্রী বেসিক এ আমার ব্লগ—————–