১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট ০২
আজকালের দিনে ছেলে-বুড়ো সবাই ফেসবুকের সাথে পরিচিত। এই ফেসবুককে ব্যবহার করে পণ্যের মার্কেটিং করে পরিচিতি ও প্রসার লাভ করা যায় খুব সহজেই। ফেসবুক ব্যবহার করে গড়ে ওঠা বাণিজ্যকে এফ কমার্স বলা হয়।
এখানে একটা কথা বলে রাখি। অনেকেই মার্কেটিং বলতে বোঝেন কেনাকাটা করা। আসলে মার্কেটিং মামনে কেনাকাটা করা নয়। তাহলে মার্কেটিং মানে কী? সহজ বাংলায় মার্কেটিং মানে হলো প্রচারণা। আরো বুঝিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় মার্কেটিং হলো কোনো পণ্যকে তার গুণাগুণ বিবরণ করে ক্রেতাদেরকে তা কিনতে আগ্রহী করে তোলা।
ফেসবুক মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং। আগে থেকেই এই মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও করোনা মহামারির কারণে এটি আগের চেয়ে অনেক অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। কারণ মহামারির কারণে সবাই ঘরে বসেই পণ্য বেচাকেনার জন্য ফেসবুককে ব্যবহার করছেন এবং এটি তুলনামূলক সহজ ও সহজলভ্য হওয়াতে অনেকেই ফেসবুক মার্কেটিংয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর ফলাফল হিসেবে অনেকেই ফেসবুক মার্কেটিংকে অবলম্বন করে নতুন করে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠছেন।
দুইরকম ভাবে মার্কেটিং করা যায় এই ফেসবুকে: পেইড ও আনপেইড। যারা পেইজ বা গ্রুপ চালান, তারা ইতিমধ্যেই এর সাথে পরিচিত আর যারা পরিচিত নন তাদের জন্য বিশদে বলছি। ফেসবুকের পেইজে বুস্ট বলে একটা অপশন আছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের বিপরীতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনার পেইজের পণ্যের প্রচারণা পৌঁছে যাবে আপনার অভীষ্ট বা কাংখিত টার্গেট কাস্টমারের কাছে। বিভিন্ন পেইজ আর গ্রুপে আড্ডার মাধ্যমে, নিজের ওয়াল আর স্টোরিতে পণ্যের ছবি দিয়ে আনপেইড মার্কেটিং করা সম্ভব। আনপেইড মার্কেটিং করার জন্য আমাদের উইয়ের চেয়ে ভালো গ্রুপ আর নেই। সুযোগ কাজে লাগাবেন নাকি লাগাবেন না সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার।