লেখা লেখি করেও ফ্রিল্যান্সিং করা যায় । বর্তমানে সবাই সব বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছে কেউ ই বসে নেই । কেউ ওয়েব ডেভেলপেমেন্ট নিয়ে কাজ করছে, কেউ বা গ্রাফিক্স ডিজাইন । মূল কথা কেউ ই বসে নেই । আপনি কেন বসে থাকবেন?আপনি চাইলে আপ্নিও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছাত্র হোন বা ছাত্রী, কর্মজীবী হোন বা গৃহিণী, কেউ কেউ শখের বশে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। কিন্তু, লেখার মান, লেখার স্টাইল ভালো হলে এই শখের কাজ থেকেই আর্ন করা সম্ভব। এছাড়া আপনার লেখা যদি প্রিন্ট মাধ্যম বা অনলাইনে প্রকাশিত হয় তাহলে তো আপনি সবার কাছ থেকে পাবেন বাড়তি সুনাম। অফলাইন এবং অনলাইন দুইভাবেই কনটেন্ট লিখার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। দেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখে অফলাইনে আর্ন করা যায়। আর অনলাইনে আর্ন করতে চাইলে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সারসহ অন্যান্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আর্টিকেল রাইটিং এর জব খুঁজে নিতে হবে নিজের পছন্দমত । কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে, “কনটেন্ট রাইটার হতে হলে কী কী যোগ্যতা লাগে?” চলুন এর উত্তর খুঁজে দেখা যাক।
কনটেন্ট রাইটার হতে হলে কী কী যোগ্যতা লাগে?
কেউ চাইলেই কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন । তবে যদি কেউ কোনো কর্পোরেট অফিসে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে চাকরি করতে চায় তাহলে তার অবশ্যই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্ণকালীন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাগবে যদি সেই কপানি চায় । তবে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে বা অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। যদি আপনার লেখার হাত ভালো থাকে, তাহলে আপনি যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই ভালো কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন। ভাষাগত দক্ষতা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে যে কেউই স্বাধীন আর্নিং এর উৎস হিসেবে বিভিন্ন কনটেন্ট লিখতে পারেন। আপনার নিজের যদি কোনো ব্লগ সাইট থাকে তাহলে আপনিও লেখা লেখি করে আর্ণ করতে পারনে । চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে নিজের ব্লগ কে কাজে লাগিয়ে আর্ন করা যায় ।
নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখে আয়
আপনি যদি খুব ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে আপনি নিজের নামে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে ভালো ভালো আর্টিকেল পোস্ট করে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে ভিজিটর বা ট্রাফিককে আকৃষ্ট করে আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারেন এবং যখনই আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমানে ভিজিটর আসবে তখন সেখান থেকে আপনি বিভিন্ন মাধ্যম অবলম্বন করে খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যখনই নিজের ব্লগে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করবেন সে আর্টিকেলটি আপনার ওয়েবসাইটের যতদিন থাকবে ততদিন সেই আর্টিকেল থেকে আপনার ইনকাম আসতে থাকবে। যদি আপনি ভাল আর্টিকেল লিখেন তাহলে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। আর যদি আপনি অন্য মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন আপনি যখনই মার্কেটপ্লেসে একটি কাজ সাবমিট করবেন এবং সেটা পেমেন্ট পাবেন এবং সেখান থেকে আপনার কাজ শেষ এবং আপনার ইনকামও শেষ সেজন্য মার্কেটপ্লেসে কাজ করার চেয়ে নিজের ব্লগ আর্টিকেল লিখে কাজ করা সবচেয়ে উত্তম।
আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সতর্কতা
একটি আর্টিকেল লিখে জমা দিলেই তো আর আপনাকে টাকা দিবেনা, তারা যদি আপনার আর্টিকেলটি থেকে ইনকাম করতে না পারে, তাহলে শুধু শুধু pay করবে কেন?
তাই আর্টিকেল লেখার সময় এমনভাবে লিখতে হবে যেন রিভিউ বোর্ডে আটকে না যায়, ইডিটর যেন লেখাটি পছন্দ করে এবং পাবলিশ করতে আগ্রহী হয়। এজন্য একটি লেখায় যা যা থাকতে হবে:
- আকর্ষনীয় টপিক
- সুন্দর উপস্থাপনা
- লেখাটির মর্মার্থ পাঠককে সহজে বুঝানোর সক্ষমতা
- ইংরেজিতে দক্ষতা
- যথার্থ শব্দের ব্যবহার
- কপি পেস্ট মুক্ত কনটেন্ট
শেষ কথাঃ
বিশ্বস্ত যে ৫টি বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার সাইট ( Bangla article writing sites ) নিয়ে আলোচনা করলাম, প্রতিটি সাইট আলাদা এবং ভিন্নধর্মী। প্রত্যেকটি সাইটে বাংলায় আর্টিকেল লিখে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
আপনাকে পেমেন্ট নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই, বরং এবার আপনি ঠিক করুন কোন সাইটে বাংলায় আর্টিকেল লিখে আয় করবেন।
রিসার্চ এবং লেখাঃ এম এইচ মামুন
প্রথম প্রকাশিতঃ Mamunsblog.