বরং আপনার একটি প্রতিষ্ঠান থাকবে সেখানে অন্যরা কাজ করার সুযোগ পাবে।
তবে সেটা মনে মনে ভাবলে বা কল্পনা করলেই তো হবে না এর জন্য আপনাকে কিছু পদক্ষেপ ও নিতে হবে এর পিছনে শ্রম দিতে হবে। এবং আপনার বিজনেস আইডিয়া কে উপস্থাপন করতে হবে, সঠিক অডিয়েন্স তো অবশ্যই দরকার কারন
” ফার্মেসীতে গিয়ে তো আর হার্ডওয়্যার এর জিনিস খুজলে পাওয়া যাবেনা তাইনা”
যার মানে হলো এটা আপনি যে সার্ভিস কিংবা প্রোডাক্ট দেন না কেন তার জন্য দরকার সঠিক টার্গেটিং।
কি হ-য-ব-র-ল মনে হচ্ছে টেনশন নেই এই সিরিজের শেষ অংশ পর্যন্ত যদি দেখতে পারেন আশা করি সব পরিস্কার হয়ে যাবেন এবং এছাড়াও অনেক কাজ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা পেয়ে যাবেন।
আমি চেষ্টা করবো পুরো সিরিজে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় গুলো উপস্থাপন করার যা আপনাকে অনলাইনে কিভাবে শুরু করতে হয় তার ধারনা সহ প্লান পরিকল্পনা এসকল বিষয় গুলো নিয়ে।
বিজনেস = ব্যবসা
ব্যবসা = টাকা
ব্যবসা + টাকা = আইডিয়া
আইডিয়া + মার্কেটিং = ব্রান্ডিং
ব্রান্ডিং = প্লাটফর্ম / প্রোডাক্ট / সার্ভিস ইত্যাদি
বিজনেসঃ-
বিজনেস বলতে আপনি কি জানেন আমি জানিনা তবে আমার কাছে এর সহজ সংজ্ঞা হলো ব্যবসা। তা ভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন ধরুনঃ- সেটা Virtual কিংবা Physical.
Virtual যেটা আপনি শুধু মাত্র আপনার পিসি সামনে বসেও পরিচালনা করতে পারবেন সেটাই Virtual। যেখানে আপনি হবেন সার্ভিস প্রদানকারী অথবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রেতা কিংবা একজন উদ্যোক্তা।
যেখানে আপনার কোন প্রকার অফিস কিংবা দোকান যদি থাকে তবে তা ভার্চুয়ালী হবে যা আপনি চাইলে বাসায় বসেই নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।
Physical টা হলো আপনার একটা ল্যান্ড মার্ক থাকতে হবে বা সহজে ধরে নিন আপনার একটি অফিস কিংবা দোকান থাকতে হবে। যেখানে ক্রেতারা তাদের পন্য ক্রয় থেকে শুরু করে অনেক ধরনের সার্ভিস পেতে পারে এমন।
যদিও এর সঠিক উদাহরন আরো বিস্তারিত বাই দা ওয়ে আপনারা আশা করি আস্তে আস্তে তা নিজেরাই ধারনা পেয়ে যাবেন।
টাকাঃ-
আপনি ভার্চুয়াল কিংবা ফিজিক্যাল যেভাবেই শুরু টা করেন না কেন আপনার দরকার হবে মানি আই মিন টাকা।
কারন আপনিও জানেন মানি = হানি ( জাস্ট জোক ছিলো ফরগেট ইট)
শুরু করতে হলে কম হোক আর বেশী আপনার পকেট থেকে টাকা খসাতেই হবে।
কি একমত নন আপনি ?
আসুন উদাহরন দিচ্ছি ছোট করে
“ফিজিক্যালী আপনার কার্যক্রম চালু করতে চান তাহলে ধরে নিন আপনার দোকান লাগবে আর দোকান হলে ডেকোরেশন এর সাথে দোকানে যা বিক্রি করবেন তার সামগ্রী ইত্যাদি”
“ভার্চুয়ালী যদি করতে চান তাহলে নিশ্চিত আপনার ওয়েবসাইট থাকাটা অনেক জরুরী তার জন্য দরকার হবে হোস্টিং ডোমেইন ছাড়াও ইত্যাদি জিনিস গুলো”
কি খরচ শুরু হলো তো।
তাহলে বুঝতেই পারছেন যে টাকা থাকাটাও জরুরী কারন আপনি যদি আরো ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনার আরো ভালো ভাবে খরচ করাটাকেও রপ্ত করতে হবে।
রপ্ত করতে বলছি এই কারনে যদি আপনি প্রথমে আপনার ব্রান্ডিং ঠিক ভাবে করতে না পারেন সাথে সঠিক টার্গেটিং তাহলে জনাব সব খতম। আর এসব কিছু করার জন্য শুধু টাকা থাকলেই চলবেনা দরকার হবে টাকা টা সঠিক ভাবে খরচ করার আইডিয়া।
আইডিয়াঃ-
আইডিয়া না থাকলে আপনি ফিজিক্যাল হোক আর ভার্চুয়াল কোন টাতেই ভালো ফলাফল পাবেন না। আইডিয়া এটা হচ্ছে আপনি কোন জিনিস সম্পর্কে ভালো জানেন সেটা।
“ধরে নিন আপনি ভালো বুঝেন কিংবা শিক্ষকতা করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার জন্য বেটার হবে শিক্ষকতা দিয়েই শুরু করা অথবা ধরে নিন আপনি ফিটনেস সম্পর্কে ভালো বুঝেন তাহলে আপনার দরকার ফিটনেস নিয়ে কিছু করা হতে পারে সেটা অনলাইন ট্রেনিং কিংবা ভার্চুয়াল পরামর্শকারী”
কি উপরের দুইটা পছন্দ হলো না ঠিক আছে আরো কিছু উদাহরন দিচ্ছি দেখুন ভালো লাগে কিনা।
“আপনি গেমস খেলতে ভালোবাসেন কিংবা এই কাজটা করতে ভালো লাগে তবে শুরু করে দিন টুর্নামেন্ট আয়োজন এন্টি ফি রাখুন আর পুরস্কার আকর্ষনীয় কিছু রাখুন আর আস্তে আস্তে এটাকেই মার্কেটিং করে এগিয়ে নিয়ে চলে যান অথবা চাইলে নিজেই একটা গেমিং চ্যানেল খুলেও এক্টিভ আয় বজায় রাখতে সক্ষম হবেন।”
আপনার স্কিল আছে তবে যে বিষয়ে স্কিল আছে তাকেই আপন মনে করে নিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে।
আবার দেখবেন আপনি নাটক বানাতে ভালোবাসেন কিংবা গল্প লিখতে ভালোবাসেন তবে সেদিকেই সময় দিন লটারী একদিন লাগবেই কিন্তু লটারী লাগবে বলে বসে থাকলে চলবেনা দরকার হলে লটারীর টিকেট ১ টার জায়গার ৪-৫ টা কিনে নিবো বুঝতে পারেন নি তো ব্যাপারা না সময় হলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন লটারীর টিকেট কয়টা দরকার আপনার আর আপনি পকেটে কয়টা রাখতে পারবেন।
আর যখন আপনার সকল আইডিয়া গুছিয়ে ফেলবেন তখন দরকার হবে ব্রান্ডিং ।
ব্রান্ডিংঃ
নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রতি সবাইকে আকর্ষন করানো। ধরে নিন আপনি চাদে গিয়েছেন এবং আপনার কাছে জায়গাটা অনেক ভালো লেগেছে কিন্তু আপনি সেখানে একা কতদিন টিকতে পারবেন?
আপনার যার জন্য দরকার হবে আপনার সাথী ( সাথী মেরী হাতি এটা ভাবলে চলবেনা )
সাথী কি চাইবে এত ভালো আর সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে আপনার সাথে চাদের বুড়ি হতে ?
তাহলে এখন উপায় কি?
আপনার সাথীকে বুঝাতে হবে চাদের ভালো দিক গুলো যা পৃথিবীতে মিলবেনা শুধু এখানেই মিলবে তার আকর্ষন বাড়াতে হবে। এমন কিছু করতে হবে যাতে সে সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে আপনার সাথে চাদে বসবাস করতে চলে আসে।
আর আপনি যদি এটা করতে পারেন আপনি ব্রান্ডিং শিখে ফেলেছেন।
জি মিথ্যা বলছিনা আপনি শিখে গিয়েছেন এখন এটাকে আরো গভীর ভাবে আপনাকে জানতে হবে এবং আরো ভালো ভাবে চর্চা করতে হবে শুধু।
আর সকল কিছু করার জন্য আপনার দরকার হবে হট কেক এর মত প্লাটফর্ম এবং সাথে নিজের ব্রান্ডিং এর জন্য নিজের একটি ওয়েব এড্রেস।
হতে পারে সেটা ফেসবুক , ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, লিংকডন ছাড়াও নামী দামী মার্কেটপ্লেস। আর তার সাথে নিজের পার্সোনাল ওয়েবসাইট বানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
তাহলে আজকের মত বিজনেস আইডিয়ার ভূমিকা এখানেই শেষ করছি দেখা হচ্ছে পরবর্তী পর্বে।
তাহলে আজকের মত বিদায় দেখা হবে অন্য কোন দিন নতুন কিছু নিয়ে।