বর্তমানে অনেক মানুষই চায় অনলাইনে ইনকাম করতে। কিন্তু অনলাইনে বেশিভাগ প্রতারক থাকায়, বেশিরভাগ মানুষ এখান থেকে হতাশ হয়ে বের হয়ে যায়। আপনারা হয়তো জানেন না, অনলাইনে অনেক সুন্দর ভাবে এবং সঠিকভাবে ইনকাম করা যায়, কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া। তাহলে চলুন সেগুলো আমরা জেনে নেই…
• ফরম পোস্টিং করা:
ফরম পোস্টিংয়ে আপনাকে বেশি কিছু জানতে হবে না, আপনাকে শুধুমাত্র সঠিকভাবে প্রশ্ন করা জানলেই চলবে। অনলাইনের অনেক প্লাটফর্মে (কোরা, রেডডিট, স্টাকওভার ফ্লো ইত্যাদি) আপনাকে এর জন্য হায়ার করবে। আপনার প্রশ্ন করা অবশ্যই মান সম্মত হতে হবে, আবার এমন না যে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করবেন।
• কনটেন্ট/আর্টিকেল রাইটার:
অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনার আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে ভালো পরিমাণ রিভিনিউ দিবে। আবার অনেকে আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে হায়ার ও করতে পারে। যার ফলে আপনি একটি ভালো রিভিনিউ ইনকাম করতে পারবেন।
• নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করে:
আপনি চাইলে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে, সেখানে লিখা লিখি করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে সেখানে গুগল এডসেন্স বা পেইড এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
• ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে:
বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। আপনি চাইলে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে, সেখানে আপনার পছন্দের ভিডিও দিয়ে, এ্যাডভার্টাইজিং এবং স্পন্সরশীপের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ভিডিও গুলো যদি মানসম্মত হয় সেক্ষেত্রে আপনি খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে যাবেন।
• ভার্চুয়াল সহকারি:
অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজের জন্য সহকারি হিসেবে আপনাকে হায়ার করতে পারে। এর জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো হতে হবে। এবং যে কাজের জন্য আপনাকে হায়ার করবে, ওই কাজে আপনার যোগ্যতা থাকতে হবে। এই কাজ আপনি বাসায় বসেই করতে পারবেন।
• ভিডিও এডিটিং:
আপনি যদি ভালো ভিডিও এডিটিং করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট অথবা প্রতিষ্ঠান সাথে কাজ করতে পারেন। অনলাইনে কিন্তু ভিডিও এডিটরদের চাহিদা অনেক। আপনি চাইলে এই কাজটি অনলাইনে বসেই করতে পারবেন।
• ইমেইল মার্কেটিং:
আপনি চাইলে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে একটি টেমপ্লেট দিবে, ওই টেমপ্লেটটি আপনি বিভিন্ন ইমেইল এর মধ্যে মার্কেটিং করবেন, এর বিনিময় কোম্পানিরা আপনাকে টাকা দিবে।
এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ইমেইল সংগ্রহ করতে হবে।
• অ্যাপ্লিকেশন তৈরি:
আপনি যদি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ জানেন, সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ তৈরি করে, সেটা প্লে স্টোরে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।
আপনার অ্যাপটি যদি একটু জনপ্রিয় করতে পারেন সেক্ষেত্রে সেখানে গুগল এবং ফেসবুকের এডভেটাইজিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন।
• এফিলিয়েট মার্কেটিং:
আপনি চাইলেই বিভিন্ন কোম্পানিতে (যেমন: অ্যামাজন, আলীএক্সপ্রেস, বিডি শপ, টেন মিনিট স্কুল ইত্যাদি) এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে ভালো পরিমাণ কমিশন ইনকাম করতে পারবেন।
• এস ই ও স্পেশালিস্ট:
আপনি যদি এস ই ও সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটগুলো বা বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে SEO স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে কিন্তু এই কাজটির ডিমান্ড অনেক বেশি।
• ডিজিটাল মার্কেটিং:
ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে বর্তমানের সবচেয়ে সফল জনক অনলাইন ইনকামের একটি উপায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি মার্কেটিং উল্লেখযোগ্য।
তবে এর জন্য আপনাকে এই বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে।আপনি চাইলে ইউটিউব থেকেও কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে পারেন।
• ওয়েব ডিজাইনার:
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ভাল জানেন সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে কাজ করতে পারেন। অথবা নিজের একটি ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট খুলে সেটার এডভার্টাইজিং করে ভালো পরিমাণে কাজ পেতে পারেন। আপনি চাইলে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতেও কাজ করতে পারেন।
• গ্রাফিক্স ডিজাইনার:
আপনার যদি গ্রাফিক ডিজাইন (লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, কভার ফটো ডিজাইন ইত্যাদি) সম্পর্কে ধারনা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হতে পারেন।
অথবা আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মার্কেটিং করেও ভালো কাজ পেয়ে যাবেন।
• অনুবাদক:
আপনি যদি বিভিন্ন দেশের ভাষা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন এবং বলতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি অথবা ব্যক্তির হয়ে অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে ভাষার অনুবাদক হিসেবে যুক্ত হবেন, ওই ভাষাটা ভালোভাবে জানতে হবে।
• গেমার:
আপনার যদি গেম খেলতে ভালো লাগে এবং গেম খেলে ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজ তৈরি করে, সেখানে বিভিন্ন ধরনের এডভারটাইজিং বা ফিচার (সুপার্চাট) ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন।
বিভিন্ন গেমিং কোম্পানিগুলোও আপনাকে গেমার হিসেবে হায়ার করতে পারে। যার ফলে ও আপনি ভালো পরিমাণ রেভিনিউ ইনকাম করতে পারবেন।
• গেম ডেভেলপমেন্ট:
আপনার যদি অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট এবং গেম ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি নিজের একটি গেম তৈরি করে বা কোম্পানির গেম তৈরি করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
• হ্যাকার হিসেবে:
হ্যাকিং বিষয়টা অনেকেই ভালো চোখে নেয় না। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে একজন হ্যাকারের গুরুত্ব অনেক বেশি। আপনার যদি হ্যাকিং বিষয়ে ভালো ধারনা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু অনেক বড় বড় কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারেন।
প্রতিটি বড় বড় কোম্পানিতে কিন্তু হ্যাকার থাকে, সেই হ্যাকাররা সেই বড় বড় কোম্পানির সিস্টেম হ্যাক হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়া সরকারি অনেক কাজেও হ্যাকারদের গুরুত্ব অপরিসীম।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।