পরীক্ষামূলকভাবে সিম নিবন্ধন শুরু হচ্ছে আজ (আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন)
.
সিম নিবন্ধনে আঙুলের
ছাপ (বায়োমেট্রিক)
পদ্ধতি
পরীক্ষামূলকভাবে শুরু
হচ্ছে আজ রোববার। এ
প্রক্রিয়ায় সিম নিবন্ধন করতে জাতীয়
পরিচয়পত্র ছাড়াও
অনুমোদিত কয়েকটি
পরিচয়পত্র ব্যবহার
করতে পারবেন
গ্রাহক। সিম নিবন্ধনে
বায়োমেট্রিক পদ্ধতি
চালু উপলক্ষে জারি
করা এক নির্দেশনায় এ
তথ্য জানিয়েছে
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি)।
বিটিআরসির জারি
করা নির্দেশনায় বলা
হয়েছে, শুধু সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের
নির্দিষ্ট কাস্টমার
কেয়ারে জাতীয়
পরিচয়পত্র ছাড়া
ড্রাইভিং লাইসেন্স,
জন্ম সনদ, পাসপোর্টের মতো অনুমোদিত
পরিচয়পত্র দিয়ে সিম
নিবন্ধন করা যাবে।
অনুমোদিত পরিবেশক ও
খুচরা বিক্রেতার
মাধ্যমে সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে
জাতীয় পরিচয়পত্র
ব্যবহার করতে হবে।
আজ যিনি নতুন সিম
কিনবেন, তাঁকে যেমন এ
পদ্ধতি অনুসরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া
সম্পন্ন করতে হবে।
আবার যে গ্রাহক আগেই
সিম কিনেছেন, সেটি
যদি ঠিকভাবে
নিবন্ধিত হয়ে না থাকে, তাহলে তাঁর
জন্যও এ পদ্ধতি
প্রযোজ্য হবে। আবার
হারিয়ে যাওয়া
সিমটি প্রতিস্থাপন
করতে হলেও এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।
বর্তমানে আগে কেনা
দুইভাবে করা হচ্ছে।
২০১২ সালের আগে
কেনা মুঠোফোন সিমের নিবন্ধন করতে গত ১৫
অক্টোবর থেকে
সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে
খুদে বার্তা পাঠানো
শুরু করেছে মোবাইল
অপারেটররা। আর ২০১২ সালের পরে
কেনা সিমের জন্য
গ্রাহকেরা নিজেরাই
নিবন্ধনের সঠিকতা
অনলাইনে যাচাই
করতে পারছেন। একটি সিম সঠিকভাবে
নিবন্ধিত কি না, এর
জন্য মুঠোফোনের খুদে
বার্তায় ইংরেজিতে
জাতীয় পরিচয়পত্রের
নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী
জন্ম তারিখ, পূর্ণ নাম
লিখে ১৬০০ নম্বরে
পাঠিয়ে দিতে হবে।
মোবাইল অপারেটরদের
জন্য এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয়
পরিচয়পত্র ছাড়া
অন্যান্য পরিচয়পত্রের
মাধ্যমে সিম
নিবন্ধনের তথ্য
যাচাইয়ে বিক্রেতার পরিচিতি কোড,
অনুমোদিত
পরিচয়পত্রের ধরন ও
নম্বর, গ্রাহকের জন্ম
তারিখ, গ্রাহকের
আঙুলের ছাপ ও একটি যাচাইযোগ্য মোবাইল
নম্বরের তথ্য সংগ্রহ
করতে হবে।
সংগ্রহ করা
পরিচয়পত্র ও মোবাইল
নম্বরের তথ্য যাচাইয়ের জন্য
মোবাইল অপারেটরকে
বিটিআরসিতে স্থাপিত
কেন্দ্রীয়
‘বায়োমেট্রিক্স
ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’
থেকে অনলাইন
ছাড়পত্র নিতে হবে।
বায়োমেট্রিক্স
ভেরিফিকেশন
মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম হলো আঙুলের ছাপ
পদ্ধতি কার্যক্রম
তত্ত্বাবধানে সব
মোবাইল অপারেটর
নিয়ে গঠিত একটি
গ্রাহক যাচাইয়ের
তথ্য দুইভাবে সম্পন্ন
হবে। প্রথমে
গ্রাহকের নিবন্ধন-
সম্পর্কিত তথ্য সংশ্লিষ্ট মোবাইল
অপারেটরের মাধ্যমে
বিটিআরসির
তথ্যভান্ডারে আসবে।
পাঠানো তথ্য
বিটিআরসির ছাড়পত্র পেলে তা যাচাইয়ের
জন্য নির্বাচন
কমিশনের জাতীয়
পরিচয়পত্র
তথ্যভান্ডারে পাঠানো
হবে। বিটিআরসির
নির্দেশনায় আরও বলা
হয়েছে, খুচরা পর্যায়ে
এক অপারেটরের কেনা
বায়োমেট্রিক
নিবন্ধনযন্ত্র অন্য অপারেটরও ব্যবহার
করতে পারবে। এ জন্য
ব্যবহারকারী মোবাইল
অপারেটরকে একটি
নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ
দিতে হবে। সিম নিবন্ধনে
গ্রাহকের দেওয়া তথ্য
যাচাইয়ে নির্বাচন
কমিশনের জাতীয়
পরিচয় নিবন্ধন
বিভাগের (এনআইডি) সঙ্গে চলতি নভেম্বরে
দেশের ছয় মোবাইল
অপারেটরের চুক্তি
হয়েছে। জাতীয়
পরিচয়পত্রের
তথ্যভান্ডার ব্যবহারের সুযোগ
পাওয়ায় মোবাইল
অপারেটররা এখন
একজন গ্রাহকের
এনআইডি নম্বর, জন্ম
তারিখ ও আঙুলের ছাপ ঠিক আছে কি না, তা
যাচাই করতে পারবে।