Site icon Trickbd.com

খুলনায় বাংলালিংকের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত!

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক কর্মকর্তাদের বৈরী আচরণের প্রতিবাদসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনায় বাংলালিংকের রিচার্জসহ সব পণ্য বিক্রয় ও সেবা কার্যক্রম আগামী ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি বন্ধ থাকবে। খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার সব টেলিকম ব্যবসায়ীর সংগঠন খুলনা মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট অ্যান্ড রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।  বাংলালিংকের রেজিষ্ট্রেশন কমিশন বৃদ্ধি, থার্ডপার্টি দিয়ে রি-রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ, অসাধু ও অনিয়মকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ৫ দফা দাবি আদায় এর প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুজন আহম্মেদ। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন ও সভায় উপস্থাপনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সিরাজুল ইসলাম নয়ন। এছাড়া বক্তৃতা প্রদান করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সহিদুল ইসলাম, মেয়াজ্জেম হোসেন, সহ-সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন, হাবিবুর রহমান, মোঃ শরিফুজ্জামান, শেখ ফোরকান হোসেন, মোঃ মাসুদ, খালিদ হোসান রাজন, সুপ্রিয় দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান সুমন, মোঃ ফরহাদ, আবু আল মিরাজ, মোঃ খাইরুল ইসলাম, আবু শাহাদাৎ বাবুল, মোঃ হোসেন মুন্না, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাহমুদ বাবু, দপ্তর সম্পাদক উজুল কুমার দাস, কোষাধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান, নির্বাহী সদস্য মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ মির্জা আশফাকুর জামান, মোঃ নজরুল ইসলাম, একরামুল ইসলাম টুটুল, ড: মোঃ আসাদুজ্জামান রাজু, মোঃ মাহবুব বিল্লাহসহ প্রমুখ।  এসময় বক্তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলন চলবে এবং এতে কর্তৃপক্ষ টনক না নড়লে সামনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।  প্রসঙ্গত, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের সবচেয়ে বেশি গ্রাহক খুলনা বিভাগে। এ জন্য থ্রিজি সেবা চালুর পরপরেই খুলনাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর বাংলালিংক থ্রিজি সেবা চালু করে। এছাড়া নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম এই এলাকাতে বেশি পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কর্মঠ কর্মীদের প্রাপ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলালিংক গড়িমসি করে বলে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হচ্ছে বলে সংস্লিটরা জানিয়েছেন।

সুত্রঃ টেকপ্রিয়