শুধু নিজদের নেটওয়ার্কের মধ্যেকার কলড্রপ হলে ক্ষতিপূরণ দেবে মোবাইল ফোন অপারেটররা। তবে সেটিও কবে থেকে কার্যকর হবে এখনও পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত হয়নি।
কলড্রপ বিষয়ে এটিই সর্বশেষ খবর বলে জানা গেছে। এর আগে দু’দফায় কলড্রপের ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের বিষয়টি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসিতে গত সোমবার এক বৈঠকে অপারেটরগুলো সব কলের ড্রপে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, নানা কারণে কলড্রপ হতে পারে। সব ক্ষেত্রে যে অপারেটর থেকে কল করা হয়েছে সেটিই এককভাবে দায়ি তা বলা যাবে না।
সর্বশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দিনে একটি কলড্রপ সহনীয়। তবে দ্বিতীয়টি থেকে যতবার ড্রপ হবে ততবার এক মিনিট করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এর কড়া প্রতিবাদ করে অপারেটরগুলো। তাদের যুক্তি, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বলছে রেডিও নেটওয়ার্কে ৩ শতাংশ ড্রপ সহনীয়। বাংলাদেশে সব অপারেটরেরই কল ড্রপের হার এর চেয়ে কম আছে।
তাছাড়া ক্ষতিপূরণ বিষয়ে তাদের যুক্তি হলো, ১০ সেকেন্ডের পালস চালু থাকায় ক্ষতিপূরণ এক মিনিট হবে কেন ?
বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদসহ সব অপারেটরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
↓↓
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম কলড্রপ ইস্যুতে বেশে কিছুদিন ধরে সোচ্চার। তার কড়াকড়ির কারণেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রতিটি ড্রপের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে একবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
অপারেটরগুলোর মধ্যে বাংলালিংক গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রথম ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছিল। তবে এখন কোনো অপারেটরই তা বজায় রাখেনি।