সিম নিবন্ধনের ভুল তথ্য দেওয়া বা কোনো রকম
জালিয়াতির জন্য অপারেটরগুলোকে জরিমানার
মুখোমুখি পড়তে হবে-এমন হুঁশিয়ারির কথা
আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান
মাহমুদ।
এক্ষেত্রে বাংলালিংক প্রথম জরিমানার
মুখোমুখি হতে পারে। তবে তার আগে তারা কারণ
দর্শানো নোটিশ পাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ
থেকে।
গত বৃহস্পতিবার সিম নিবন্ধনে জালিয়াতির
অভিযোগে রাজধানীর পল্লবীতে একটি
চাইনিজ রেস্ট্রুরেন্টের সাত তলা থেকে
বাংলালিংকের ৬১ কর্মীকে আটক করে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং ব্যাব-৪
এর এক যৌথ অভিযানে তাদের হাতেনাতে আটক
রিটেইলার এবং ডিলার।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলছেন, এই পরিস্থিতি
হলে জরিমানা করা হবে এটা তো আগেই বলে
দেওয়া হয়েছে।
“আমরা দেখি বৃহস্পতিবার কি ঘটেছিল। তার পর
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তারও
আগে তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া
হবে। দেখি তারা কি উত্তর দেয়।”
তবে বাংলালিংক জড়িত প্রমাণিত হলেই
জরিমানা গুনতে হবে তাদেরকে। সেক্ষেত্রে
প্রতি সিমের জন্যে ৫০ ডলার বা অন্য কোনো
হিসেব আমলে নিয়ে তাদের জরিমানা হতে
পারে।
এর আগে গত বছর মোবাইল সিমের বায়োমেট্টিক
নিবন্ধনের সময়ও বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা
বিতর্ক হয়। তখন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ৩০০
কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার হুঁশিয়ারি দেন।
বৃহস্পতিবার আটককৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে
১৩২টি ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন, প্যাকেটজাত
২৩টি, ছয়টি ল্যাপটপ, তিনটি সিপিইউ,
প্রিন্টার, ৬৩০টি ভুয়া সিম নিবন্ধনের জন্য রাখা
গ্রাহক ফরম, ১৮৬টি ভুয়া এনআইডির প্রিন্ট কপি
এবং নগদ এক লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৩ টাকা জব্দ
করেছে।
বিষয়টি নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনা
তদন্তে বাংলালিংক সহযোগিতা করবে
জানিয়ে সম্ভাব্য জরিমানার বিষয়ে তারা
কোনো মন্তব্য করেনি।