দিকেই দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক যাত্রা শুরু
করবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
.
.
.
লাইসেন্স প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে এরইধ্যে খসড়া
নীতিমালা নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ
কমিশন (বিটিআরসি) বৈঠক করেছে বলেও
জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
চলতি মাসেই কমিশনের বৈঠকে নীতিমালা অনুমোদন
পাবার কথা। ফোর-জি বা এলটিই প্রযুক্তি চালু করতে
প্রস্তুতি শেষ করেছে সব অপারেটর।
.
.
তবে লাইসেন্সের আগে স্পেকট্রাম বরাদ্দ ও
প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা চায় বাংলালিংক এবং রবি-এয়ারটেল।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেছেন, আগে লাইলেন্স;
এরপর অপারেটররা সক্ষমতা অনুযায়ী স্পেকট্রাম
বরাদ্দ পাবে।
.
চালু হতে যাওয়া ফোর-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে রবি-
এয়ারটেল কতটুকু প্রস্তুত? তাদের মুখপাত্র ইকরাম
কবীর বলেন: ‘ফোর-জির জন্য প্রয়োজনীয়
অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা বিনিয়োগ করে যাচ্ছি।
.
.
ফোর-জি বা এলটিই প্রযুক্তির মেরুদণ্ড ফাইবার।
অপারেটররা নিজে যেন এই ফাইবার স্থাপন করতে
পারে এমন নীতি প্রবর্তন করা উচিৎ।’
গ্রাহকদের হাতে ফোর-জি চালাতে সক্ষম
মোবাইলফোন আছে কিনা তাও দেখা উচিৎ বলে
মনে করেন ইকরাম কবীর।
.
.
তিনি বলেন: ফোর-জি বা এলটিই’র জন্য মূল উপকরণ
স্পেকট্রাম। তাই ফোর-জি চালুর আগে সব ব্যান্ড
স্পেকট্রাম সুলভ মূল্যে নিলাম এবং টেক নিউট্রালিটি
বাস্তবায়ন করা উচিৎ। ফোরজি হ্যান্ডসেট ছাড়া গ্রাহকরা এ
প্রযুক্তির সঠিক অভিজ্ঞতা নিতে পারবে না। এসব
নিশ্চিতের জন্য সরকারের নীতিই বলে দেবে
আমরা ফোর-জির জন্য প্রস্তুত কি না।’
.
ফোর-জি প্রযুক্তির জন্য বাংলালিংকও প্রস্তুত বলে
জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কর্পোরেট
কমিউনিকেশন্স আসিফ আহমেদ।
নিরপেক্ষভাবে স্পেকট্রাম বরাদ্দ নিশ্চিতের দাবি
জানিয়ে তিনি বলেন: বাংলালিংকের ডিজিটাল রূপান্তরের
অংশ হচ্ছে ফোর-জি। তবে এজন্য স্পেকট্রাম
নিউট্রালিটি থাকতে হবে। এজন্য আমরা আগে
স্পেকট্রাম বরাদ্দ চাই। বিটিআরসিকে আমাদের
বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ দিতে হবে।
.
.
‘এছাড়া আমাদের টাওয়ার বিক্রির সুযোগও দেয়া উচিৎ।
এরইধ্যে আমাদের প্রযুক্তি সহায়তা দেয়া প্রতিষ্ঠান
ফোর-জি নেটওয়ার্কের পরীক্ষামূলক প্রস্তুতিতে
সফলতা পেয়েছে।’
.
.
অপারেটরদের দাবির জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান
জানান: ‘আগে লাইসেন্স দেবো, এরপর
অপারেটদের সক্ষমতা অনুযায়ী স্পেকট্রাম বরাদ্দ
সার্ভিস একেকটা ব্যান্ডের স্পেকট্রামে দেয়।
ফোর-জি চালু হলে যেকোন সার্ভিস যেকোন
স্পেকট্রামে দেয়া যাবে।
.
.
‘এখন থ্রিজি সার্ভিস ২১০০ ব্যান্ডে এবং টু-জি ৯০০ ও
১৮০০ ব্যান্ডে আছে। ফোর-জি দেয়ার কথা ছিল ৭০০
ব্যান্ডে। কিন্তু এজন্য অনেক টাওয়ার লাগতো,
শেয়ারিং এবং বিনিয়োগেরও ব্যাপার ছিল। এখন
স্পেকট্রাম নিরপেক্ষতা দেয়া হলে আর ব্যান্ড
স্পেসিফিকেশন প্রয়োজন হবে না।’
.
.
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ
মন্ত্রণালয়ে এক সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
যেকোন মূল্যে ২০১৭ সালের মধ্যেই ফোর-জি
চালু করতে বলেন তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের
উপস্থিতিতে ওই সভাতেই স্পেকট্রাম নিরপেক্ষতা
নিশ্চিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।