অবশেষে চূড়ান্তভাবে রবি-
এয়ারটেল একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে।
একীভূকরণের শর্ত শিথিল করার কারণে
এয়ারটেলের ৯০০ ব্যান্ডের তরঙ্গ থেকে ১.৬
মেগাহার্জ তরঙ্গ পাচ্ছে রবি। আগের শর্ত
অনুযায়ী (১৫ নম্বর শর্ত) এয়ারটেলের ৫
মেগাহার্জ তরঙ্গ সমর্পন করতে বলা হয়েছিল।
এখন সমর্পন করবে ৩.৪ মেগাহার্জ।
ফলে সব মিলে রবির তরঙ্গ হচ্ছে ৩৬.১
মেগাহার্জ।
বর্তমান বকেয়া ১০৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় মূসক
হিসাব ধরে ঠিক হওয়া নতুন অংকের সঙ্গে ১.৬
মেগাহার্জ তরঙ্গের দাম যোগ করে রবিকে এখন
পরিশোধ করতে হবে ১০৯ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা
বিটিআরসির বিশেষ কমিশন সভায় এই শর্ত
শিথিল ও পাওনা পরিশোধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নেয়া হয়। বিষয়গুলো নিয়ে রবি আগেই
বিটিআরসির কাছে আবেদন করেছিল।
এখন নতুন সিদ্ধান্ত বিষয়ে রবিকে চিঠি দেবে
শেষে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হতে একীভূতকরণ চূড়ান্ত
হওয়ার অর্ডার অব মার্জার লাইসেন্স দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়গুলো নিশ্চিত
করেছে।
২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর মোট ২১টি শর্ত দিয়ে
রবি-এয়ারটেলের একীভূতকরণ অনুমোদন দেয়
বিটিআরসি। শর্তে রবিকে ১০০ কোটি টাকা
একীভূতকরণ ফি আর ৩০৭ কোটি টাকা
এয়ারটেলের তরঙ্গ সমন্বয় ফি হিসেবে মোট ৪০৭
কোটি টাকা যা ভ্যাট-ট্যাক্স মিলে ৪২৭ কোটি
৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
এর মধ্যে ওই বছরের ২০ নভেম্বর ৩১৮ কোটি ৫২
লাখ টাকা পরিশোধ করে রবি। বাকি ১০৮ কোটি
৮৩ লাখ টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধের কথা
থাকলেও তা দেয়নি রবি। শর্ত প্রতিপালন না
করায় অনুমোদনের পরও প্রায় ৬ মাস ধরে
একীভূতকরণ চূড়ান্তের বিষয়টি ঝুলে ছিল।
এই দীর্ঘ সময়ে একীভূতকরণের শর্ত পূরণ নিয়ে
রবিকে বেশ কয়েক দফা চিঠি-শোকজ দেয়
বিটিআরসি।
সর্বশেষ ১৫ মার্চ দেয়া শোকজে বাংলাদেশ
টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন অ্যাক্ট-২০০১ এর
অধীনে বেশ কড়া ভাষাতেই নির্দেশনা না
না তা ব্যাখ্যা করতে ৩০ দিনের সময় দেয়া
হয়েছছিল অপারেটরটিকে। অথবা পাওনা
অবশিষ্ট অর্থ জমা দিতে বলা হয় ওই নোটিশে।
শোকজে ররি-এয়ারটেল একীভূতকরণ সম্পর্কিত
বিটিআরসি-রবির পাঁচটি চিঠির রেফারেন্স
দেয়া হয়। এর মধ্যে একীভূতকরণ অনুমোদনের
চিঠির কথাও ছিল।
ওই শোকজ নোটিশে এই ‘অনুমোদননের চিঠি’ কেন
বাতিল করা হবে না তাও জানাতে বলা হয়। যার
অর্থ দাঁড়ায় একীভূতকরণ কেন বাতিল করা হবে
না তা জানাও।