আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..?
আশা করি সবাই ভালো আছেন ।
আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।
আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।
তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
অনেকদিন পর আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আশা করি আমার এই পোস্ট থেকে সবাই উপকৃত হবেন।
আমাদের আজকের টপিক হচ্ছে
তিনি বলেছেন, একটি কোচিং সেন্টার তাকে তাদের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে জোর করে নিতে চেয়েছিল, রাজি না হওয়ায় শারীরিক আঘাতও করে।
অভিযোগের মুখে থাকা কোচিং সেন্টারের কর্ণধার শারীরিক নির্যাতনের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে জাকারিয়াকে নিজেদের কোচিংয়ের শিক্ষার্থী দাবি করার বিষয়টি ভুলক্রমে হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশ করা হয়। এতে ১২০ নম্বরের মধ্যে ১০০ দশমিক ৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান পান ঢাকার ডেমরার দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ জাকারিয়া।
বিকালে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, তিনি যে কোচিং সেন্টারে কোচিং করেছিলেন, সেখানে গেলে অন্য একটি কোচিং সেন্টারের লোকজন তার উপর হামলে পড়ে।
জাকারিয়া বলেন, তিনি ফোকাস কোচিং সেন্টারের উত্তরা শাখায় কোচিং করেছিলেন। তিনিসহ উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল কোচিং সেন্টারটির ফার্মগেইট শাখায়।
সেখানেই অন্য একটি কোচিং সেন্টারের লোকজন ঢুকে তাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আমারেও বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করল কিন্তু যাইনি। এক পর্যায়ে টানাটানি। তাতেও না নড়ায় এক কালো পান্ডা মাথায় থাপ্পড় দিল।”
ফেইসবুক পোস্টে অন্য কোচিং সেন্টারটির নাম না বললেও পরে জাকারিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথায় ‘আইকন প্লাস’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
জাকারিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ফোকাসেই কোচিং করেছিলাম। তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা ও লাইভ অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া জানাতে আমি বিকেলে ফোকাসের অফিসে আসি। যেই মাত্র লাইভ শুরু করব,
তখন কিছু লোক জোর করে রুমে ঢুকে আমাকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। তারা আমাকে আইকন প্লাসে কোচিং করেছি স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে।
আমি অস্বীকার করলে তারা আমাকে হুমকি-ধমকি ও থাপ্পড় মেরে চলে যায়।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইকন প্লাস কোচিং সেন্টারের পরিচালক কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওখানে আমি ছিলাম।
বিষয়টা হল ফার্মগেইট বিটিআই ভবনের ছয় তলায় আমাদের অফিস, আর দুই তলায় ফোকাসের অফিস।
বিকালে আমরা অফিস থেকে নামার সময় দেখি ওখানে অনেক মানুষের ভিড়। পরে ওখানে গিয়ে দেখি তারা ভেতরে মিটিং করছে, আর স্থানীয় কিছু পোলাপান হৈ-হুল্লোড় করতেছে। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি।”
থাপ্পড়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “এধরনের অভিযোগ করতেই পারে। এর সত্যতা আমার জানা নেই।”
এদিকে ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশের পর আইকন প্লাস যাত্রাবাড়ী শাখার পরিচালক মোহাম্মদ লিমন এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেন, প্রথম স্থান অর্জন করা শিক্ষার্থী তাদের ওখানে কোচিং করেছে।
পরে জাকারিয়া তার ফেইসবুকে বিষয়টি শেয়ার করে লেখেন, “হুদাই। আমি একটা ফ্রি ক্লাস করছিলাম। তখন ওরা পরীক্ষা নিছিল। ওখানে ফার্স্ট হইছিলাম। ফ্রি ক্লাস করলেই কোচিং এর ছাত্র হয় এটা জানতাম না।”
এবিষয়ে আইকন প্লাসের কামাল বলেন, “ওটা আসলে খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের একজন পরিচালক এটা দাবি করেছিল। কিন্তু আমরা আইকন প্লাসের মূল পেইজ থেকে এটা দাবি করিনি।
“আমাদের ভর্তি কোচিং শুরুর আগে আমরা একটা সেশন করেছিলাম, সেখানে সে একদিন ফার্স্ট হয়েছিল এবং পুরস্কার পেয়েছিল। শাখা পরিচালকরা এটা শেয়ার করেছিল। আমরা বলেছি, ওই শিক্ষার্থী যদি স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে যেন ফেইসবুক পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়।”
One thought on "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর বিরূপ এক পরিস্থিতির মুখে পড়লেন মো. জাকারিয়া।"