‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে’ এই নেটওয়ার্ক চালু হলেও সকল মোবাইল ফোন অপারেটর সব জায়গায় সেবা দিতে পারবে না।
প্রাথমিকভাবে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ৫-জি মিলবে।
দেশে সবার আগে ৫-জি নেটওয়ার্ক চালু করার সুযোগ পাচ্ছে কেবল রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক।
ঢাকার কয়েকটি বিশেষ স্থাপনার পরে আগামী বছরে ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ সাইট বা টাওয়ারে এই সেবা চালু করবে অপারেটরটি।
তবে ২০২২ সাল নাগাদ বেসরকারি অন্য অপারেটরগুলোও ৫-ভজি চালু করতে পারবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রথমে জাতীয় গুরুত্পূর্ণ কিছু স্থাপনায় ৫-জি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে- বঙ্গভবন, গণভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয় ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর।
এ ছাড়া টুঙ্গিপাড়া ও ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এই সেবা চালুর কথা ভাবা হচ্ছে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি
বর্তমানে দেশে ১৪টি মোবাইল ফোন তৈরির কারখানা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে ৫-জি ফোন তৈরির সক্ষমতা রয়েছে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের।
সময় হলেই ৫-জি ফোন তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।
এ নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোন উৎপাদকদের সংগঠন, বিএমপিআইএর সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীদ বলছেন, দেশে ৫-জি সেবা চালু হলে মোবাইল ফোন নির্মাতারাও তেমন ফোনসেট তৈরি শুরু করবে।
এ ক্ষেত্রে সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, কয়েকটি কারখানায় আগামী বছর ৫-জি ফোনের উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
৪-জি আর ৫-জি সেটের বেলায় দামের খুব একটা পার্থক্য হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।