Site icon Trickbd.com

কত দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে কত দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

বাংলাদেশের সিম এর নাম্বার শুরু হয় ০১ দ্বারা। এই ০১ এর সাথে আরো নয়টি অংক যুক্ত করে ১১ অংকের একটি সংখ্যাকে মোবাইল নাম্বার হিসেবে প্রদান করা হয়। প্রতি অপারেটর এর জন্য আলাদা নাম্বার কোড বরাদ্দ করা আছে।

এর মধ্যে রবি ০১৮, গ্রামীণফোন ০১৭ ও ০১৩, বাংলালিংক ০১৯ ও ০১৪, এয়ারটেল ০১৬ এবং টেলিটক ০১৫ নাম্বার সিরিজ ব্যবহার করে থাকে। প্রথম দফায় প্রদত্ত ১০লক্ষ নাম্বার শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে বাংলালিংক ও গ্রামীণফোন সিমের একাধিক নাম্বার সিরিজ রয়েছে।

অপারেটর কতৃক বরাদ্দকৃত কোনো সিমকার্ড কেনার পর মোবাইলে ব্যবহার করলে উক্ত সিমকে সচল বা একটিভ সিমকার্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিম কেনার পর যদি ফোনে ব্যবহার করা না হয় বা ব্যবহার না করে খুলে ফেলে রাখা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত সিমকে বন্ধ সিম হিসেবে ধরা হয়।

আর একই সিম যদি একটানা নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন বন্ধ থাকে তবে উক্ত সিমকে পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরা হয়। সিম পরিত্যাক্ত ঘোষণার কিছু সময়ের মধ্যেই সিমের মালিকানা বাতিল হয়ে যায়। অর্থাৎ সিম নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অব্যবহৃত ফেলে রাখলে সেক্ষেত্রে তার মালিকানা খোয়া যাবে।

মোবাইল অপারেটর এর ক্ষেত্রে বিটিআরসি এর নিয়ম অনুসারে ৪৫০দিন বা ১৫ মাস (যদি ৩০ দিনে মাস ধরেন) পর অব্যবহৃত সিম পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যেও উক্ত সিম একটিভ করা না হলে তা পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরা হয়। এতে করে সিম অপারেটর চাইলে উক্ত নাম্বার অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সিমের মালিকানা চলে যাবে।

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন অপারেটর, অর্থাৎ রবি, গ্রামীণফোন, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক সিম কতদিন অব্যবহৃত থাকলে সিমের মালিকানা হারাতে পারেন। সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

অব‍্যবহৃত রবি বা এয়ারটেল সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?

রবি ও এয়ারটেল সিম একই কোম্পানির আওতাধীন থাকার ফলে উভয় সিমের ক্ষেত্রে বন্ধ সিমের নিয়ম একই। রবি বা এয়ারটেল সিম যদি ৪৫০দিন একটানা বন্ধ থাকে তবে উক্ত রবি বা এয়ারটেল সিম পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

কোনো সিম এর একাউন্ট একটিভ করার মাধ্যমে উক্ত সিম চালু করে সিমে রিচার্জ করাকে বুঝানো হচ্ছে। উল্লেখ্য যে সিমের মালিকানা চলে যাওয়ার বিষয়টি রবি বা এয়ারটেল গ্রাহককে জানাতে বাধ্যগত নয়, তাই এই বিষয়ে একজন গ্রাহকের নিজ থেকে হিসাব রাখতে হবে।

তবে প্রদত্ত সময়ের মধ্যে সিম একটিভ করতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে এনআইডি ও সিম কেনার সময় সাবমিট করা কাগজসমূহ সহিত রবি বা এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সিম পুনরায় সচল করার চেষ্টা করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ সকল সিমের নাম্বার দেখার নিয়ম ২০২২

অব‍্যবহৃত গ্রামীণফোন সিম কতদিন পর বন্ধ হয়ে যায়?

৪৫০দিন একটানা অব্যবহৃত গ্রামীণফোন সিম বন্ধ হয়ে যায় ও গ্রামীণফোন চাইলে উক্ত সিম পুনরায় বিক্রি করতে পারে অন্য কোনো গ্রাহকের কাছে। সিমের ইনেকটিভিটি এর মেয়াদ ৪৫০দিন পার হওয়া সময়ের মধ্যে জিপি সিম চালু করা না হলে উক্ত সিমের মালিকানা হারাতে হতে পারে।

অব‍্যবহৃত বাংলালিংক সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?
বিটিআরসি এর নিয়ম অনুসারে বাংলালিংক সিম একটানা ৪৫০দিন অব্যবহৃত থাকার পর তা পরিত্যক্ত হিসেবে বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর উক্ত সিম অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দিতে পারে বাংলালিংক।

অব‍্যবহৃত টেলিটক সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?

টেলিটক যেহেতু সরকার প্রদত্ত সেবা, তাই এটি নিঃসন্দেহে বিটিআরসি কতৃক প্রদত্ত নিয়ম অনুসরণ করে। কোনো সিম যদি একটানা ৪৫০ দিন বা গড় হিসেবে ১৫মাসের জন্য বন্ধ থাকে তবে উক্ত সিমটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় টেলিটক কতৃপক্ষ। এমনকি তারা সিমটি অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দিতে পারে।

মোট কথা হচ্ছে, বিটিআরসি এর নিয়ম অনুযায়ী একটানা ৪৫০দিন যদি কোনো সিম ব্যবহার করা না হয় তাহলে অপারেটর চাইলে ঐ সিম অন্যের কাছে বিক্রি করে দিতে পারবে। ৪৫০দিন কোনো সিম অব্যবহৃত থাকার পর উক্ত সিমের মালিকানা ধরে রাখতে আর বাড়তি সময় না ও পেতে পারেন।

প্রদত্ত সময়ের মধ্যে যদি সিমের মালিকানা ধরে রাখতে উক্ত সিম একটিভ করা না হয় তবে সিমের মালিকানা হারাতে পারেন সিমের মালিক। সিমের মালিকানা হারিয়ে ফেলার পর উক্ত সিম নতুন করে বিক্রি করতে পারবে সিম অপারেটর।

তো বন্ধুরা আশা করি পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের Shoptips24.CoM সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।