আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আসেন সবাই আশা করি আপনারা ভালোই আসেন, কিন্তু আপনার আশপাশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কাছে সংসার চালানো বড়ই কস্টকর
।আপনারা সবাই জানেন বাংলাদেশে গত কিছু দিন ধরব আমরা লক্ষ করছি অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশ সরকার যে জালানী তেল এর ৫০% দাম বৃদ্ধি করলে এ-র প্রভাব কিন্তু সারা দেশের অর্থনিতিতে ব্যপক প্রভাব।
বাংলাদেশের তেল বিতরণকারি সংস্থার দাবি গত ৬মাসে তাদের ক্ষতি হয়েসে, সেই ক্ষতি পুসিয়ে নিতে ও-ই দাম বাড়ানো হয়েচে ডিজেল,পেট্রোল, কেরোসিন ইত্যাদি জালানি তেল ⛽ এ-র।
আমরা সবাই জানি এখন বাংলাদেশে আমন সিজন কৃষকদের জমি চাষের একটি অতিরিক্ত খরচ হয়ে জায়।প্রতি ১ বিঘা জমি চাষ করতে প্রায় ২০ লিটার তেল লাগে।এ-ই তেলের দাম বাড়িয়ে লাভটা কি হলো।এতে করে শুধুমাত্র ধনী এবং গরিবের মাঝের পার্থক্য বাড়সে।ধনী ব্যক্তি আরোও টাকার মালিক হয়ে যায়, গরিব মানুশ আরোও গরিব হয়।এতে দেশে চরম বিষ্শৃখলা তৈরি হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।তখন দেশেএ মোট জাতীয় আয়ের তুলনায় ব্যয়ের হার বেশি,রপ্তানির চেয়ে আমদানির হার বেশি হবে তখনই দেশের অর্থনিতিতে সংকট দেখাদিবে।এভাবে চলতে চলতে যখন দেখা যাবে দেখা যাবে দেশেএ-র মানুশের গড় আয় এর তুলনায় গড় ব্যয় বেশি হয়ে ঋণের জালে পড়ে দেউলিয়া হবে নাকি কি হবে?
* বিভিন্ন পণ্যর সংকট
* মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়া
অর্থাৎ দেশের মুদ্রার পরিমান বাড়া কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এ-র মান কিন্তু কমেই গেল।
*অতিরিক্ত ঋণ নেয়া।ইত্যাদি অনেক কারন।
তো আমরা বলছিলাম বাংলাদেশের কৃষক জনগোষ্ঠী এমনিতেই ধানের দাম পান না তার উপর জালানী তেল,বিদ্যুৎ নির্ভর কৃষিজ প্রযুক্তি , কৃষিজ পন্য পরিবহনে হিমশিম খেতে হতে পারে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে।শুধু তাই নয় এ-ই তেল কে অসিলা করে আরও অন্যান্য খরচ সহ যে দুরপাল্লার যানচলাচলের ভাড়া বাড়ানো হলো এর প্রভাব কিন্তু সারা দেশের অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর উপর পড়তে পারে।এমনিতেই আমরা দেখতে পাচ্ছি বাজারের অস্থিথিশীল অবস্থা। যে কোন জিনিস কিনতে হচ্ছে আগের চেয়ে ডবল দামে।এটা অনেক কারণে ঘটতে পারে যেমন,
১.হয়তোবা আমাদের গড় আয়ের চেয়ে ব্যয় টাই বেশি।
২.আমরা সম্পদের সঠিক প্রয়োগ জানি না।
৩.আমরা অনেক অপচয় করি।
৪. অথবা আমরা আমাদের সমাজে ধনি দ্ররিদ্রের মাঝে পার্থক্য বানাই।যাকাত আদাই করি না।তাই যারা নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক তারা দয়া করে আপনার যাকাত হিসাব করে আদায় করুন।
এখন আমাদের করণীয় কি দেশের দেউলিয়া পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধে আমরা যে যে পদক্ষেপ নিতে পারি,,
#আমাদের যাদের নিসাব পরিমান সম্পদ আছে তারা আমরা হিসাব করে যাকাত আদায় করি..
১.সমাজে ধনী দ্রারিদ্রের মাঝে পার্থক্য না করা।
২.সকলে স্ব স্ব স্থান থেকে দুরনীতিকে আশ্রয় দিব না।
৩.জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রুপান্তর করতে হবে।
৪.আমাদের দেশে যেহেতু জনসংখ্যার তূলনায় দেশের মোট আয়তন কম তাই দক্ষ শ্রমিক,ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য পেশার মানুষকে সারা বিশ্বের মধ্যে সারা বিশ্ব জয় করে আনতে হবে।
৫.কেননা দেশে দিন দিন কৃষিজ জমির উপর বাড়ি ঘর বানানো হচ্ছে, তা আমাদের জাতিয় আয়, খাদ্যের জোগান কমাচ্ছে।
এছাড়া আমাদের দেশ সবচেয়ে বড় সম্পদ কি জানেন?
সেটা বিদেশে থাকা প্রবাসীরা, তারাই আমাদের সম্পদ, কেননা একই কাজ এখানেও যা ওখানেও তা হলেও ,এখানে ২২ হাজার টাকা বেতন ওখানেও ২২টাকা বেতন তাহলে প্রবাসীরা বিদেশে কাজ করলে দেশের কি লাভ হতে পারে ???
কমেন্ট করে জানান।