হরর গল্প পড়ার নিয়ম জানেন?
হরর গল্প পড়তে হয় গভীর রাতে রুমের সকল বাতি নিভিয়ে। সম্ভব হলে গায়ে কম্বল দিয়ে নিতে হয়। আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হয় লেখক যা লিখছেন তা সত্য। শুধু মাত্র এই নিয়মগুলো মানলেই ভূতের গল্প পড়ার আসল মজা নেয়া সম্ভব।
বইপোকা হওয়ায় আমি প্রচুর হরর গল্প পড়েছি। বেশিরভাগই ছিল ফালতু লেখা। তবে মাষ্টার পিসের সংখ্যাও একেবারে নগণ্য নয়। আজ আমি তেমনি কিছু মাষ্টার পিস নিয়ে কথা বলতে এসেছি। যেগুলো পড়লে আপনি তো ভয় পাবেনই সাথে সাথে আপনার আশেপাশে থাকা মানুষগুলোর আত্নাও পানি পানি হয়ে যাবে। তাই নিজ দায়িত্বে পাঠ করিবেন। ? ? ?
শুরু করার আগে তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা গতরাতের আড্ডা পোস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আড্ডাটা অল্প সময়ের জন্য ছিল, তবে সময়টা সবারই ভাল কেটেছে। ? ?
তো চলুন এবার দেখা যাক কোন কোন বইগুলো আপনার কলিজা গলায় টেনে আনবে। ? ?
সেরা ৬টি হরর বই
৬. ব্লাড শো – গাই’এন স্মিথ
স্মিথের ব্লাড শো আপনাকে নিয়ে যাবে হাইল্যান্ডের শতাব্দী প্রাচীন একটি প্রাসাদে যেখানে পর্যটকদের ভয় দেখানোর জন্য আছে নানান উপকরন। আছে ভ্যাম্পায়ার, নরখাদক, নেকড়ে বা জল্লাদ। তবে প্রশ্ন হল সেগুলো স্রেফ ভয় দেখাতে মানুষের হাতে তৈরী নাকি সত্যিই কিছু লুকিয়ে আছে রহস্যময় প্রাসাদে? টানটান উত্তেজনায় ভরপুর গল্পটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন অনীশ দাস অপু।
৫. হাকিনী – অনীশ দাস অপু
হাকিনী বইটিতে কয়েকটি রহস্য-হরর গল্প একসাথে পাওয়া যাবে। সবগুলো গল্পই বেশ গরম, বিশেষ করে প্রথম গল্পটিকে আমি ফাইভ স্টার দিব। গল্পটির নামেই বইটির নাম করা হয়েছে। এছাড়াও ভয়, বহুরূপী, মরনবার্তা প্রভৃত গল্পগুলোও রক্ত পানি করে ছাড়বে।
৪. ড্রাকুলা সিরিজ – ব্রাম স্টোকার
বিখ্যাত ড্রাকুলাকে কে না চিনে? গভীররাতে রক্তের নেশায় যে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় সে-ই তো ড্রাকুলা। তবে এই ড্রাকুলার পেছনে অনেক রহস্য আছে। আছে ভয়, প্রেম, অহংকার আর অদ্ভুত কিছু গল্প। ড্রাকুলা সত্যিকারের ড্রাকুলা হয়ে ওঠার রহস্য জানতে হলে অবশ্যই ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলা সিরিজের বইগুলো পড়তেই হবে।
৩. দ্যা শাইনিং – স্টিফেন কি
দ্যা শাইনিং উপন্যাসটিতে পাওয়া যাবে এক হতাশায় জর্জরিত পরিবারকে। পরিবারের পাঁচ বছরের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ড্যানি এমন কিছু দেখতে পায়, শুনতে পায়, আর জানতে পারে যা সাধারণ কারওপক্ষে সম্ভব নয়। ছেলেটি স্পষ্ট বুঝতে পারে আরেক জগতের কোনো শক্তি তাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে এগিয়ে আসছে। সে কি তার পরিবারকে বাঁচাতে পারবে?
২. বেজী – জাফর ইকবাল
বেজী গল্পটিতে কোনো ভূত, শয়তান বা নেকড়েকে খুজে পাওয়া যাবে না। তবে পাওয়া যাবে নিরীহ কিছু প্রানী যাদের আমরা চিনি বেজী নামে। যাদের জেনেটিক এক্সপেরিমেন্ট করে ভয়ংকর দানবে পরিণত করা হয়েছে। আর কয়েকজন বন্ধু মিলে স্রেফ কৌতূহলবশত সেই বেজীদের দ্বীপে পাড়ি জমায়। তাদের বেঁচে ফেরার কথা নিয়েই সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের গল্পটি গড়ে উঠেছে।
১. দেবী – হূমায়ুন আহমেদ
দেবী উপন্যাসটি লিখেছেন হূমায়ুন আহমেদ – ব্যাস! উপন্যাসটি কেমন তা বোঝাতে এটুকু বাক্যই যথেষ্ট। দেবী মিসির আলী সিরিজের প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে নব-দম্পতিকে ঘিরে যারা এক অদ্ভুত আর রহস্যময় পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে মিসির আলীর সাহায্য চায়। মজার ব্যাপার হল মিসির আলী তার যুক্তি দিয়ে এই কেসটি সলভ করতে ব্যর্থ হন।
ডাউনলোড লিংক?
উপরের সবগুলো বইয়ের পিডিএফ লিংক গুগোল মামাকে জিজ্ঞেস করলেই পেয়ে যাবেন। না পেলে কমেন্টে জানাতে পারেন, আমি শেয়ার করব। আর কেউ নিজ দায়িত্বে লিংক শেয়ার করলে তাকে আমার তরফ থেকে গুনে গুনে দশটা ধন্যবাদ। ☺
এবার আসি
উপরের সবগুলো না পারলেও একটি বই অন্তত পড়ার অনুরোধ রইল। পড়ে কেমন লাগল তা জানাতে ভুলবেন না যেন! ভয়ে চিৎকার না দিলেও একা একা কিছুদিন টয়লেটে যেতে পারবেন না – এটা আমি নিশ্চিত। ? ? ?
নিজের প্রোমোশন নিজে করি!
কিছুদিন আগে আমি রহস্য বা হরর বা এই রকমের একটা গল্প লেখার চেষ্টা চালিয়েছিলাম। গল্পটির প্রথম অংশ আমার সামু ব্লগে পোস্ট করা হয়েছে। কষ্ট করে একটু পড়ে দুই একটা ফিডব্যাক যদি দিতেন তাহলে ধন্য হতাম আর কি। ? ? ?
© আহমেদ
বইয়ের কিভার: গুগোল, বাংলাপিডিএফ ডট নেট।
তথ্যসূত্র: গুডরিডস, উইকিপিডিয়া, আমার মস্তিস্ক।