১। অধ্যায়ঃ মনোভাবের গুরুত্ব
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করতে হবে, আমরা যদি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনা খারাপ জিনিসের দিকে তাকাই তা ও ভালো লাগবে।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করলে আমাদের কি লাভ হবে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এ অধ্যায়ে।
২। অধ্যায়ঃ সাফল্য
সাফল্য লাভের গোপন মন্ত্র এই অধ্যায়ে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাফল্য আপনাআপনি ধরা দেয়না, অনেক পরিশ্রমের ফলেই ছিনিয়ে আনতে হয়।
এ অধ্যায়টি পড়ে সাফল্য লাভের একটা চমৎকার গল্প পাবেন, এবং আপনার জীবন পরিবর্তন হতে পারে এই অধ্যায়টি পড়ে।
৩। অধ্যায়ঃ কর্মপ্রেরণানিজের প্রচেষ্টার গুরুত্ব অনেক, একটা কাজ করতে গেলে নিজের প্রচেষ্টা না থাকলে কখনোই সেই কাজটিতে সফলতা লাভ করা যাবেনা।
এবং অন্যকে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করলে নিজের কতোটুকু লাভ তা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
৪। অধ্যায়ঃ আত্মসম্মানবোধ
পৃথিবীতে এমন কোনো লোক নেই যে, সে চায়না নিজেকে অন্যরা সম্মান না করুক।
কিভাবে নিজের আত্মসম্মান গঠন করে নিতে হয়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন এ অধ্যায়ে।
৫। অধ্যায়ঃ ব্যাক্তি বিষয়ে দক্ষতা
আপনি যদি একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চান তাহলে আপনাকে হাসিখুশি থাকতে হবে।
মনকেও কিন্তু সুস্থ রাখতে হবে, মনের মধ্যে বিরহ ? বা কষ্ট ? কিন্তু আপনি সুস্থ থাকবেন না ।
তাই আপনাকে সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে।
এই অধ্যায়ে আনন্দময় ব্যাক্তিত্ব গঠনের গুরুত্ব ও পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
৬। অধ্যায়ঃ অবচেতন মন ও অভ্যাস
আমরা যে কাজই করিনা কেনো, আমাদের সকল কাজের পেছনেই কিন্তু অবচেতন মন কাজ করে।
তাই আমাদেরকে ইতিবাচক অভ্যাস ও চরিত্র গঠন দ্বারা অবচেতন মনের বিকাশ ঘটাতে হবে।
৭। অধ্যায়ঃ লক্ষ্য নির্ধারণ করা
ধরুন আমি ঢাকা যাবো তাই একটা স্টিল বোট ভাড়া করলাম, নদীতে গিয়ে হাল না ধরেই ইন্জিন চালাচ্ছি।
এখন কিছু সময় উত্তরে আবার দক্ষিনে অর্থাৎ চারদিকে ঘুরতেছে।
এখন আমি কি ঢাকা যেতে পারবো?
মোটেই না।
আমাকে হাল ধরে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে যে আমি কোন দিকে যাবো সেই দিকেই এগুতো হবে হাল ধরে।
আপনি যে কাজই করতে চাচ্ছেননা কেনো কেবল মাত্র লক্ষ্য নির্ধারণ করেই সে কাজে সফলতা লাভ করতে পারবেন ।
৮। অধ্যায়ঃ মূল্যবোধ এবং কল্পনাপ্রসূত পরিকল্পনা
প্রত্যেকটি কাজের আগেই আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, পরিকল্পনা ব্যাতিত কোন কাজ করেই কিন্তু সফল হওয়া যায়না।
পরিকল্পনা দ্বারা কাজ বাস্তবায়ন করা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বইটি সম্পর্কে আমার মতামতঃ
আমি মনে করি লেখক শিব খেরার যতোগুলো বই রয়েছে তার মধ্যে তুমিও জিতবে You Can Win এই বইটিই সবচেয়ে সেরা।
বহটির প্রতিটি কথা মিস্টি সিরাপের মতো, মিস্টি সিরাপ যেমন একসাথে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে তেমনি বইটিও একদিনেই পড়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে।
বইটি যেভাবে পড়বেনঃ
প্রতিটি অধ্যায় কমপক্ষে ২ দিন সময় নিয়ে অল্প অল্প করে পড়বেন।
১ পৃষ্ঠা পড়া শেষ হলে সেই এক পৃষ্ঠা নিয়ে ৩০ মিনিট ভাববেন, যে কথা গুলো কি সত্যি ছিলো? আমার এখন কি করা উচিত? আমি এতোদিন কি করেছি?
এবং যেসব কথাগুলো আপনার মাথায় ঠোক্কর খাবে সেসব কথাগুলো খাতায় লিখে রাখুন।
আপনি যদি অলস প্রকৃতির হন তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো টিকিটে লিখে আপনার পড়ার টেবিলে চোখের সামনে রাখুন।
বইয়ের লেখকঃ শিব খেরা (Shiv Khera)
অনুবাদকঃ শ্রী এ কে সামন্ত।
প্রকাশনাঃ অনুরাগ প্রকাশক।
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৭৭ টি।
বইয়ের ধরনঃ মোটিভেশনাল,আত্ম-উন্নয়ন ও মেডিটেশন।
পিডিএফ সাইজঃ ৯ মেগাবাইট প্রায়।
ডাউনলোডঃ Read Online / Download
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য।
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
আরো পড়ুনঃ ১। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে | ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে?
২। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নামগুলো অর্থসহ | জান্নাতি মহিলা সাহাবীদের নামগুলো