যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে তাই
মার্কেটারদের এর সাথে চলতে হলে অবশ্যই তাদের
দক্ষতা বাড়াতে হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী লিঙ্ক সার্চ
করে ব্যবহারকারীর ক্লিকের ৭০% আসে SEO থেকে!
আবার, inbound leads (SEO) এর খরচ outbound leads
(বিজ্ঞাপন) থেকে ৬১% কম। এখন আপনি বুঝতে
পারছেন SEO হলো সাফল্যের চাবি, এখানে ১১ টি
SEO কৌশল দেয়া হলো যা আপনাকে ২০১৫ তে অবশ্যই
জানতে হবে-
১। অবিশ্বাস্য কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যা লিঙ্ক
অর্জন করবেঃ
সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদমের সাথে সব কিছু
পরিবর্তনের পরও সার্চ ইঞ্জিনের সাথে
সব
চেয়ে বড় প্রভাব রয়েছে ইনবাউন্ড SEO
লিঙ্কে। অপরদিকে লিঙ্ক অর্জনের অন্য
পদ্ধতিগুলো পরিবর্তিত হয়েছে। কোন উঁচু
মানের প্রাসঙ্গিক ওয়েব সাইট থেকে
লিঙ্ক
পাওয়া শুধু আপনার SEO এর সাহায্যে
সম্ভব হবেনা।
এর সাথে দরকার হবে রেফারেল ট্রাফিক,
যা
আরো বেশি বিক্রি ও ব্র্যান্ড এর
পরিচিতি বাড়াবে।
অবিশ্বাস্য কন্টেন্ট তৈরি যা মানুষ
শেয়ার করতে
চাইবে তা এখনও লিঙ্ক আয়ের প্রধান
উপায়
আছে।
২। Co-Citation লিঙ্কঃ
প্রতিবার সার্চ ইঞ্জিন আপনার
ওয়েবসাইট কে
আপনার প্রতদ্ধন্ধির পরেই পায়। এটা
তাদের
বলে যে আপয়ান্র কোম্পানি একই কুলঙ্গি
বা
বিষয়ের উপর। Co-Citation লিঙ্ক পেতে
হলে
“best” অথবা “top 10” দিয়ে আপনার
সাইটের
বিষয়ের উপর সার্চ করুন।
যেমনঃ টপ টেন ব্লু উইজেড
আপনি যদি এই সার্চ করেন আর রিজাল্টে
আপনার
ব্যবসা না পান তাহলে পাবলিশারের
সাথে
যোগাযোগ করুন, এবং লিস্টে আপনার
কোনপানি কে যোগ করার জন্য বলুন, কেন
এবং কোথায় আপনার কোম্পানি এখানে
যোগ
হবে তার জন্য তৈরি হোন। কোন লিঙ্কের
সাথে যেতে হলে তাদেরকে সারমর্ম দিন।
৩। এডিটোরিয়াল লিঙ্কঃ
এডিটোরিয়াল লিঙ্ক গুলো আপনার SEO
এর জন্য
অনেক শক্তিশালি হয়ে আসে কারণ এগুলো
অন্য পাবলিকেশন থেকে আপনার
কোম্পানি
উল্লেখ করে আপনার সাইটের বিষয়ের
ভিত্তিতে আসে। তারা আবার
লীডারশিপ গেস্ট
টিউন থেকেও আসতে পারে, যা আপনি
লিখে কোন তৃতীয় পক্ষের সাইটে পাবলিশ
করেন।
এডিটোরিয়াল লিঙ্ক পাওয়ার সবচেয়ে
সহজ
পদ্ধতি হলো এমন সব উন্নতমানের কন্টেন্ট
তৈরি করা যা অন্যরা তাদের পাঠকের
সাথে শেয়ার
করবে। অন্য উপায় হলো উচুমানের আকারে
গেস্ট টিউন করা আপনার সাইটের
বিষয়ের
উপর। অবিশ্বাস্য কন্টেন্ট তৈরি করতে
প্রস্তুত
হোন যা কঠিণভাবে পাবলিশের পূর্বে
ভোট
পরীক্ষিত হবে।
ইন্টারভিউ হলো এডিটোরিয়াল লিঙ্ক
পাওয়ার
আরেকটি পদ্ধতি।
এখানে আরেকটি হোয়াইট হ্যাট লিঙ্ক
বিল্ডীং
পদ্ধতি যা অনেক কার্যকরি হয়। এখানে
আপনি
আসলে পাবলিশারকে সাহায্য করছেন
ব্রোকেন লিঙ্ক তৈরি করাতে, যা তাদের
পাঠকের জন্য সাহায্যকারী হবে। এখানে
তখনই
কাজ হবে যখন আপনার কন্টেন্ট হারিয়ে
যাওয়া
কন্টেন্ট থেকেও অনেক শক্তিশালি হবে।
এই কাজের জন্য কোন সাইটের এমন
ব্রোকেন লিঙ্ক খুজে বের করতে হবে যা
আপনার সাইটের বিষয়ের সাথে
সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এরপর আপনি ব্রোকেন লিঙ্ক নিয়ে
ওয়েবমাস্টারের সাথে যোগাযোগ করে
সুপারিশ করবেন যে আপনার সাইট বিকল্প
এই
ব্রোকেন লিঙ্ক এর। আরো জানতে মজ
ব্লগ থেকে broken link-building Bible পড়ুন।
৫। Link Reclamation
এটি আপনাকে ব্রোকেন লিঙ্ক খুজে বের
করে ফ্রেশ লিঙ্ক পেতে সাহায্য করবে
এবং
পাবলিশারকে দিয়ে এগুলো সমাধান
করাবে।
উদাহরণঃ
আপনার সাইট সম্পর্কে উল্লেখ করা
ব্র্যান্ড
খুজে বের করুন, এবং পাবলিশারকে লিঙ্ক
যোগ
করতে বলুন।
এমন জায়গা খুজে বের করুন যেখানে
আপনার
কন্টেন্ট এট্রিবিউশন ছাড়া ব্যবহার করা
হয়েছে,
এবং সেই ব্যক্তির নিকট লিঙ্ক
রিকুয়েস্ট করুন।
একে স্বয়ংক্রিয় করতে আপনি Google Alert
চালু
করতে পারেন, যখনই আপনার কোম্পানি
নাম
উল্লেখ করবে তা ইমেইল করে জানানোর
জন্য। এর পর আপনি চেক করে দেখতে
পারেন তারা আপনার সাইটের সাথে
লিঙ্ক
দিয়েছে কি না।
৬। লিঙ্ক আউটরিচঃ
এটি অনেকটা “old school” এর মত কিন্তু
এখনো অনেক শক্তিশালি। এটি করতে এমন
ওয়েবসাইট বের করুন যা আপনার
ওয়েবসাইটের
সাথে প্রাসঙ্গিক, এবং তাদের সাইট
থেকে
তাদের যোগাযোগ এর তথ্য সংগ্রহ করুন।
তাদেরকে কল করুন বা ইমেইল করে
ভদ্রভাবে লিঙ্ক এর জন্য বলুন। এটা ভালো
কাজ
করে যদি তাদের ব্যবসা আপনার ব্যবসা
থেকে
কিছুটা আলাদা হয় কিন্তু একই পাঠক
শেয়ার করা যায়।
৭। প্রতিদ্বন্ধি বিশ্লেষণ করাঃ
এটা নতুন কিছু নয়। কোম্পানিরা তাদের
প্রতিদ্বন্ধির
ওয়েবসাইট অনেক বছর থেকে গবেষণা
করে আসছে। অধিকন্তু প্রতিদ্বন্ধির
সাইটের
ব্যাকলিঙ্ক এবং ম্যানুয়ালি রিভিউ করা
যেসব লিঙ্ক রাখা
অনেক মূল্যবান। এরপর আপনি লিঙ্ক
আউটরিচ
করতে পারেন একই সাইট থেকে লিঙ্ক
পাওয়ার
চেষ্টা করতে পারেন।
৮। কী-ওয়ার্ড রেঙ্কিং এর পরিবর্তে ROI
এ
মনযোগ দেয়া
যদিও আমরা সবাই সার্চ রিজাল্ট
রেঙ্কিং এ কী-
ওয়ার্ড এর ফল উপভোগ করি এর দ্বারা
এটা প্রমাণ
হয়না যে আপনার SEO সফল হয়ে গেছে।
ROI না থাকা সত্ত্বেও নাম্বার এক এ
যাওয়া।
আপনাকে সেই মেট্রিক্স এ মনযোগ দিতে
হবে যা কনভার্সেষন আনে।
৯। একটি SEO কৌশল তৈরি করুন যা
শ্রোতাকে ম্যাপ
করবেঃ
গত কয়েক বছর ধরে আমরা গুগল এনালিটিক
ও
অন্যান্য টুল থেকে অধিকাংশ কীওয়ার্ড
হারিয়ে
ফেলেছি। এর জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে
SEO এর পুরণো সিস্টেম থেকে বেরিয়ে
এসে শ্রোতাকে আকর্ষিত করার নতুন
পদ্ধতি
বের করা।
এর জন্য আমাদের অবশ্যই নতুন কী-ওয়ার্ডে
মনযোগী হতে হবে। নতুন পদ্ধতিতে
মার্কেটারদের প্রতিবেশি করা, এবং বের
করা
কোথায় SEO দিয়ে আমাদের মার্কেটিং
সফল
হচ্ছে এবং কীভাবে একে আরো ভালো
করে তোলা যায়।
বাজে কন্টেন্টে কী-ওয়ার্ডের গাদাগাদি
করে
একে রেঙ্কে রাখার দিন অনেক আগেই
ফুরিয়েছে। এখন আপনার কন্টেন্ট এর জন্য
জরুরী এর টার্গেট করা ব্যক্তিরা,
কীওয়ার্ড
হতে হবে কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক।
এজন্যই বলা হয় কন্টেন্ট ও SEO একে
অন্যের সাথে বাঁধা।
১০। Yahoo, Bing ও অন্যান্যের জন্য
অপটিমাইজ
করা
Yahoo, Bing, এবং DuckDuckGo এর মত সার্চ
ইঞ্জিনরা কম কম করে গুগলের অনেক বড়
টুকরো ২০১৬ তে নিয়ে নিতে পারে। Yahoo
হলো ফায়ারফক্সের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন,
Safari
গুগলের সাথে ডিল করে যা মনে করা
হচ্ছে
২০১৬ তে শেষ হয়ে যাবে। এবং ইয়াহু ও
বিং
চাচ্ছে এখানে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন
হওয়ার জন্য।
যেহেতু অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুগলের
পরিবর্তে ডিফল্ট হয়ে যাচ্ছে তাই সেইসব
সার্চ
ইঞ্জিনের জন্যও অপটিমাইজ করা
বুদ্ধিমানের কাজ
হবে।
১১। মোবাইল SEO
মোবাইল প্রতি বছর আরো বেশি জনপ্রিয়
হয়ে
উঠছে, ২০১৬ বা এর পরে অবশ্যই প্রতিটি
ওয়েবসাইটের মোবাইলের জন্য আলাদা
কৌশল
থাকতে হবে।
মোবাইল হতে হবে ২০১৬ এর SEO
পরিকল্পনার
এর সিংহঅংশ। তবে আপনাকে সতর্ক হতে
হবে
যেহেতু কনফিগারেশন এরর এর জন্য ৬৮ ভাগ
ট্রাফিক লস হয়।
উপসংহারঃ
SEO কৌশল তৈরি আপনার কোম্পনি ও
ব্র্যান্ডকে সার্চ ইঞ্জিনে উন্নতি দিতে
পারে,
কেন আপনার ROI আজই উন্নত করছেন না?