আপনি যদি ব্লগার হন বা এডসেন্স , মিডিয়া নেট , বা অন্য কোন এড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার সাইটকে মনেটোনাইজেশন করে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য । যারা এমাজন এফিলিয়েট করেন চাইলে ইনফো কন্টেন্টে এই এড নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে মনে টোনাইজেশন করতে পারেন ,
এডসেন্স বা অন্য এড নেটওয়ার্কে আয়ের প্রধান শর্ত হচ্ছে সঠিকভাবে এড প্লেসমেন্ট করা । আপনার যদি এডসেন্স একাউন্ট থাকে বা অন্য নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি আপনার সাইট মনেটোনাইজেশন করে থাকেন তাহলে প্রথম যে কয়েকটি বিষয়ের উপর আপনার মনোযোগী হতে হবে তা হচ্ছে
এড প্লেসমেন্ট
এড সাইজ এবং
সর্বশেষ এড টাইপ্স
এড প্লেসমেন্ট
সঠিকভাবে এড প্লেসমেন্ট করতে না পারলে আপনার এড ইউনিটে ইম্প্রেশন পরার সম্ভাবনা কমে যাবে সেই সাথে ক্লিক। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে কোন পজিশনে এড আসলে ভাল কাজ করে । প্রশ্নটা সহজ হলেও উত্তর টা সহজ নয় । এক এক ইউজার নিকট এক এক জায়গায় এড বসানো দরকার হয় । এড এর পজিশন মুলত নির্ভর করে ইউজারের উপর। আপনার আর্টিকেলের কোন অংশে ইউজার বেশিক্ষন অবস্থান করে সেটার উপর । আর বিষয়টা ম্যানুয়ালি সল্ভ করা কষ্টসাধ্য বিষয় ।
এছাড়াও, কোন পজিশনে এড ভাল করতেছে সেটা টেস্টিং এর দরকার হয় । যেটা আমরা এবি টেস্টিং এর মাধ্যমে করতে পারি । সেটা শুধু এড নয় পোষ্টে ইমেজের পজিশন থেকে শুরু করে সব কিছুতেই । আর আমাদের সব আর্টিকেলের সাইজ যেহেতু একই নয় তাই এড পজিশন সব জায়গায় একই স্টাইলে বসানো সম্ভব না ।
এড সাইজ
এডসেন্সে বর্তমানে রেস্পন্সিভ এড থাকলে সব সময় সেটা সঠিক অবস্থানে দেখায় না । এক এক সময় এক জায়গায় আমার ফুল উইডথ এডের পরিবর্তে ছোট রেক্টেঙ্গুলার , স্কয়ার এড দেখালেই বেশি ভাল মনে হয় । সেটা রেস্পন্সিভে সম্ভব না । আবার রেস্পন্সিভ এড ইউজ না করলে মোবাইল বা বিভিন্ন ডিভাইসে এড গুলা বিরক্তির কারন হয়ে যায় ।
এড টাইপসঃ ধরুন আজকে আমি একটা সাইটে ভিজিট করলাম সেখানে লিংক এ ক্লিক করার পর বুঝতে পারলাম সেটি মুলত বিজ্ঞাপন । পরের দিন একই সাইটে ভিজিট করলে আমি স্বভাবতই আগের এড এ বা লিংক এড এ ক্লিক করব না । কেন করব না এই প্রশ্নের এক বাক্যে উত্তর দিলে সেটা হচ্ছে সাইটের লে আউট মুখস্ত হয়ে গেছে কোনটা এড আর কোনটা মুল কন্টেন্ট সেটা আমরা সহজেই ধরতে পারি ।
এডসেন্স এ আর একটি কমন সমস্যা হচ্ছে এড লিমিট হয়ে যাওয়া , ফেক ক্লিক ইত্যাদি । ফলাফল আপনার ইনকাম নিয়ে সব সময় রিস্কে থাকতে হয় ।
এই সমস্যা গুলার অনেক ধরনের সলিউশনের মধ্যে একটি সলিউশন হতে পারে ইজয়িক ।
ইজয়িক রিভিউ
ইজয়িক এ আবেদন করার যোগ্যতা
ইজয়িকে আবেদন করতে হলে আপনাকে সর্বনিম্ন মাসিক ১০ হাজার অর্গানিক ভিজিটর দরকার হবে তাহলেই কেবল ইজয়িকে আবেদন করতে পারবেন । এছাড়া ইজয়িক যেহেতু গুগলের পাবলিশার পার্টনার তাই গুগল এডসেন্সের সব নিয়ম কানুন আপনাকে মানতে হবে । আপনার যদি মান্থলি ১০ হাজার এর অধিক অর্গানিক ভিজিটর থাকে তাহলে আপনি ইজয়িকে যুক্ত হতে পারেন । তবে ইজয়িকে যুক্ত হওয়ার আগে পপ আপ জাতীয় এড থাকলে সরিয়ে নিবেন
ইজয়িক এর ফিচার সমুহ
এড কোম্পানি হলেও ইজয়িকে অনেক গুলা দারুন ফিচার আছে । নিচে মুল ফিচার গুলার নিয়ে আলোচনা করছি ।
১. বিগ ডাটা এনালাইটিক্সঃ ইজয়িকে রয়েছে বিগডাটা এনালাইটিক্স । এর মাধ্যমে আপনি এনালাইটিক্সের ডাটার পাশাপাশি আরো অসংখ্য তথ্য জানতে পারবেন । যেমন কত হাজার ওয়ার্ডের কন্টেন্ট গুলা ভাল পারফর্ম করতেছে, কিংবা কতদিন বয়সী কন্টেন্ট ভাল পারফর্ম করতেছে , এসইও এর বিভিন্ন ফ্যাক্টর সহ আরো অনেক কিছু।
২. ফ্রি এসএসএল,সিডিএন ও ওয়ার্ডপ্রেস হোষ্টিংঃ ইজয়িক তার ব্যবহার কারীদের জন্য দিচ্ছে ফ্রি এস এস এল , সিডিএন ও ওয়ার্ডপ্রেস হোষ্টিং সুবিধা । আনলিমিটেড ব্যন্ড উইডথ ও স্পেসিং এর সুবিধা থাকছে ইজয়িকে ।
এছাড়া থাকছে
AD TESTER বিভিন্ন পজিশনে ইজয়িক নিজেই এড টেস্ট করবে আর ইউজারের কুকিস অনুসারে সে নিজেই এক একজনের জন্য এক পজিশনে এড দেখাবে । এ/বি টেসটিং এর মাধ্যমে সঠিক স্থানে ইউজারকে বিজ্ঞাপন দেখাবে ।
AD MEDIATION Header Bidding এর মাধ্যমে এডসেন্সের সর্বোচ্চ রেভিনিউ আয় কিভাবে করা যায় সেটা নিয়ে তাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টিম কাজ করে । এই ক্ষেত্রে ইজয়িককে অবশ্যই এডসেন্সের সাথে যুক্ত করতে হবে । যা সম্পুর্ন নিরাপদ ।
এছাড়াও আরো অনেক গুলা ফিচার আছে যেমন এ এম পি কনভার্টার, লে আউট টেস্টার , পি ডাব্লিউ এ কনভার্টার ইত্যাদি। নিচের চিত্রের মাধ্যমে দেখতে পাবেন..
কিভাবে ইজয়িকে যুক্ত হবেন
সাইন আপ করুন
সাইন আপ করার পর আপনার সাইটের নামও আনুসাংগিক বিষয় পুরন করতে হবে ।
এরমধ্যে একজন একাউন্ট ম্যানেজার আপনাকে মেইলে নক দিবেন ,। আপনার এনালাইটিক্সে রিড এক্সেস খুজবেন তাদের দেওয়া মেইলে । যদি একাউন্ট ম্যানেজার আপনাকে নক না দেয় তাহলে নিজেই কাজ দ্রুত করার জন্য support@ezoic.com এ মেইল করতে পারেন।
তিনি একাউন্ট এপ্রুভ করার আপনাকে মেইলে জানিয়ে দিবেন ।
এরপর আপনাকে গুগল ডাবল ক্লিকে আবেদন করতে হবে । সেটার জন্য তাদের সাইটেই নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করলেই হবে । এই বিষয়ে একাউন্ট ম্যানেজার আপনাকে সাহায্য করবেন ।
একাউন্ট সেট আপ হয়ে গেলে আপনার একাউন্ট ম্যানেজার এড প্লেস হোল্ডার নিজেই সেট করে দিবেন , চাইলে আপনি নিজেও গুগল এক্সটেনশন ব্যবহার করে সেট করতে পারেন ।
আর্নিং শুরু হবে
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
আমার বর্তমানে ৬ টা সাইট ইজয়িকে আছে । এডসেন্সের ইঙ্কামের চেয়ে কম্পারিজন করলে আমার ব্যক্তিগত ইঙ্কাম ইজয়িকের কারনে প্রায় তিন গুন হয়েছে । আমি ইজয়িক ব্যবহার করছি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ।
পেমেন্ট মেথডঃ আপনি ইজয়িক থেকে পেমেন্ট চাইলে পেওনিয়ার বা পেপালে আনতে পারবেন । প্রতিমাসের ২৬-২৮ তারিখের ভিতর পেমেন্ট করে । অনেকটা এডসেন্সের মতই । তবে নুন্যতম পেমেন্ট ২০ ডলার
ইজয়িকের বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে সরাসরি আমাদের ফেসবুক গ্রুপে করতে পারেন ।