আসছালামু-আলাইকুম !
Hi,I,m £xprogrammer
আসা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি!কারন
ট্রিকবিডির সাথে থাকলে সবাই ভালো থাকে!
আমি আমার প্রতি পোস্টে আপনাদের ভালো কিছু নিয়ে আসার
চেস্টা করব।
আজকে আমরা জানবো এসইও কী এবং কীভাবে কাজ করে। মূলত আমরা অন-পেজ এসইও (on page seo) এবং অফ-পেজ এসইও ( Of Page SEO) কি এবং কিভাবে করতে হয় এ সম্পর্কে জানবো। এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optamization)। শুধুমাত্র এসইও এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে র্যাংক করানো সম্ভব গুগলে বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে। অর্থাৎ এটির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুগল সার্চ রেজাল্ট (search result) এর প্রথম পেজে আসে। এটি এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট আপনি নির্দিষ্ট কোনো শব্দ বা কিওয়ার্ড (keyword) দিয়ে সার্চ করলে পাবেন।
এসইও কয় ধরনের এবং কি কি? এসইও প্রধানত দুই ধরনের ধরনের এগুলো হলো:
১. অন-পেজ এসইও (on page SEO)
২. অফ-পেজ এসইও (of page SEO)
অন-পেজ এসইও (on page seo) কী: অন পেজ এসইও হচ্ছে আপনি যে ওয়েবসাইট এর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ করবেন তার ভিতরে অভ্যান্তরীণ যে সকল কাজ করতে হয় সেগুলো। মূলত ব্লগের ক্ষেত্রে অনপেজ এসইও এর প্রধান কাজগুলো কনটেন্ট নিয়েই থাকে।
অন-পেজ এসইও নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন: মনে করুন আপনি একটা পোস্ট করতে চান। এক্ষেত্রে অনপেজ এসইও আপনার কনটেন্ট কে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করে তুলবে। ধরুন আপনার পোস্ট এর টাইটেল হবে: কীভাবে অ্যাডসেন্স পাবেন ওয়েবসাইট এ। তো এখন আর্টিকেলটির এসইও এর কাজ করতে হবে। এসইও এর প্রথম কাজ পোস্টটি লেখা। আপনি যেহেতু অ্যাডসেন্স নিয়ে একটা পোস্ট লিখলেন সে ক্ষেত্রে যদি এটি সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলে আপনি কাঙ্খিত ভিজিটর পাবেন না আপনার আর্টিকেল থেকে।
পোস্ট তো লিখে ফেললেন, এখন কাজ এসইও এর জন্য দ্বিতীয় কাজ। অনেপেজ এসইও করতে হলে আপনাকে যা যা করতে হবে:
১. একটা কিপ্রেস ওয়ার্ড বা কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। কিওয়ার্ড আপনার টাইটেল যেটা হবে সেইটার একটা ওয়ার্ড হতে হবে। যদি টাইটেল “ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায়” তাহলে এর মধ্যে থাকা কিছু ওয়ার্ড কে কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। ধরেন আপনি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করলেন “অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায়”। কারন ওয়েবসাইট কে র্যাংক করানোর জন্য কিওয়ার্ড এর সংমিশ্রণে টাইটেল তৈরি করা লাগবে। তবে সার্চ করলে আপনার আর্টিকেলটি গুগল দেখাবে।
২. দ্বিতীয়ত আপনি যে কী-ওয়ার্ডটি নিয়েছেন তা আপনার পোস্ট এ কয়েক বার ব্যবহার করুন। এছাড়াও প্রধান ওয়ার্ডের পাশাপাশি আরো কিছু কিওয়ার্ড আপনি আইডিতে ব্যাবহার করতে পারেন এটি আপনার আর্টিকেলে অধিক ভিজিটর এনে দিতে সক্ষম হবে। এবং আর্টিকেলটির প্রথম প্যারায় আপনার প্রধান কিওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করবেন।
৩. কিছু হেডিং ট্যাগ অ্যাড করুন এবং হেডিং ট্যাগ এ কিওয়ার্ড যুক্ত করুন।
৪. ওয়েবসাইট এর মেটা ডিস্ক্রিপশন (meta description) অ্যাড করুন এবং এবং মেটা ডিস্ক্রিপশন এ অবশ্যই আপনার প্রধান টার্গেট কিওয়ার্ড যুক্ত করুন।
৫. আর্টিকেলটি অবশ্যই 500 শব্দের বড় এর করুন। তবে এক্ষেত্রে আর্টিকেল যত বড় হবে আপনার জন্য ততই সুবিধাজনক হবে রেংক করানোর ক্ষেত্রে। তবে আর্টিকেল বড় করার জন্য অবশ্যই অহেতুক এবং অযথা কোনো কথা না লেখাই ভাল। কারণ অযৌক্তিক কথা বলে আর্টিকেল বড় করলে পাঠক বিরক্তির শিকার হতে হয়।
৬. ওয়েবসাইট এ ব্যাবহার করা ইমেজ এর অল্টার টেক্সট লিখুন এবং অল্টার টেক্সট এ কিওয়ার্ড ওয়ার্ড যুক্ত করুন।
৭. আপনার পোস্ট রিলেটেড কিছু বাইরের লিংক যুক্ত করুন। বাইরের লিংক বলতে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটিকে আউটবাউন্ড (outbound) লিংক বলে।
৮. আপনার পোস্ট এ আপনার ওয়েবসাইট এর কিছু লিংক অ্যাড করুন। অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ের উপর আর্টিকেলটি লিখছেন তার পাঠক অবশ্যই আগ্রহী হবে এমন কোনো আরটিকেল থাকলে আপনার ওয়েবসাইটের এই আর্টিকেলের লিংকগুলো যুক্ত করুন। এক্ষেত্রে লিংক যুক্ত করার সময় অবশ্যই ওপেন নিউ ট্যাব সিস্টেম করে দিবেন। তাহলে পাঠক চাইলে আপনার পিছনের পোস্টে এবং নতুন যে পোস্টটি সে ওপেন করেছে দুটি একই সাথে পড়তে পারবে এবং তার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে পেজ লোড করার দরকার হবে না। একইসাথে এর ফলে আপনার বাউন্স রেট (Bounce rate) বৃদ্ধি পাওয়া থেকে আপনি রক্ষা পাবেন।
৯. সর্বোপরি আপনার লেখা আর্টিকেলটি অবশ্যই সাজিয়ে গুছিয়ে লিখুন। এবং খেয়াল রাখুন একই কথা যেন বারবার লেখা আর না হয়। এবং অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহারের ফলে আপনার আর্টিকেলের সৌন্দর্য নষ্ট না হয়।
১০: লিংক অপটিমাইজেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এটি কে গুরুত্ব দিতে দেখা যায় না। ব্লগের ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা ব্লগারে ব্লক তৈরি করেছে তাদের বাংলা টাইটেলে ক্ষেত্রে লিংক এমন ভাবে তৈরি হয় (blog-post1) যার ফলে আর্টিকেল এর লিংক দেখে বোঝা যায়না আর্টিকেল কোন বিষয়ের উপরে লেখা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি লিংকটি কাস্টমাইজ করে টাইটেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে দিতে পারেন এবং ইংরেজি অথবা বাংলিশ ( ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে বাংলা লেখা) ভাষায় টাইটেল লিখতে পারেন।
ইত্যাদি উপরোক্ত সকল কাজের মাধ্যমে আপনার পোস্ট বা আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি ভাবে তৈরি করতে পারেন। এবং এর ফলে খুব দ্রুত আপনার আর্টিকেলটি গুগোল RANK করবে।
অফ-পেজজ এসইও হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট এর বাহিরে যে সকল কাজ থাকে সেগুলো। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক করার জন্য অন্য ওয়েবসাইটে যে সকল কাজ করতে হয় সেগুলো। এক্ষেত্রে অফ পৃথিবীর ভিতরে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ব্যাকলিংক তৈরি করা। ব্যাকলিংক হচ্ছে অন্য কোনো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হাই অথরিটি সাইট এ আপনার ওয়েবসাইটে এর কাঙ্খিত পোস্টের লিংক বা সাইটের লিংক অ্যাড করা বা লিংকিং করা। এটি করলে আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটের অথোরিটি ও বৃদ্ধি পাবে। এবং ওয়েবসাইট ব্যাংক করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের অথরিটি অর্থাৎ ডোমেইন অথরিটি (domain authority-DA) এবং পেইজ অথরিটি (page authority) খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অফ-পেজ এসইও নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন: অফ-পেজ এসইও করতে হলে আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক অন্য ওয়েবসাইট এ অ্যাড করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট করতে পারেন। কারণ কেউ আপনাকে এমনি এমনি লিংক দেবে না। গেস্ট পোস্ট (guest post) এর সাথে সাথে আপনি সোশ্যাল বুকমারকিং (social bookmarking), ডিরেক্টরি সাবমিশন (directory submission), ফোরাম (forum) ইত্যাদি করতে পারেন।
এর সুবিধা হচ্ছে অন্য ওয়েবসাইট এর ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারবে। এবং তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর হিসেবে যুক্ত হবে। আবার আপনার ওয়েবসাইট রাংক ও করবে। এটি মূলত ব্যাকলিংক (Backlink) নামে পরিচিত।
ব্যাকলিংক বানাতে হলে আপনার অন্যান্য ওয়েবসাইট এর সাথে কানেক্ট করতে হলে আপনার অন্যান্য ওয়েবসাইট এর মালিকদের সাথে কন্টাক্ট করতে হবে। তাদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে অথবা তাদের সাইটে আর্টকেল লেখার বিনিময়ে আপনি ব্যাকলিংক পেতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগ রয়েছে যেখানে আপনি একটি অথর একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আর্টিকেল সাবমিট করতে পারবেন।
ব্যাকলিংক নেয়ার সময় আপনাকে কিছু টিপস মেনে ব্যাকলিংক নিতে হবে। কারণ, যে সকল ওয়েবসাইট এর domain authority এবং page authority কম তাদের থেকে ব্যাকলিংক নিলে আপনার কোন লাভ হবে না। তাই যেসব ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বেশি তাদের থেকে ব্যাকলিংক নিতে হবে। অর্থাৎ যে সকল ওয়েবসাইট এর Da, Pa বেশি তাদের থেকে ব্যাকলিংক নিতে হবে।
তাহলে আসুন জানি, Da, Pa কী? Da হচ্ছে ডোমেইন অথরিটি (Domain Authority) এবং Pa হচ্ছে পেইজ অথরিটি (Page Authority). মূলত DA এবং PA নির্ভর করে ওয়েবসাইট এর উপর। ওয়েবসাইট এর মান যত বেশি সেই ওয়েবসাইট এর Da, Pa তত বাড়বে। Da, Pa কীভাবে চেক করবেন? Da, Pa চেক করার জন্য domain authority and page authority checker tool লিখে গুগলে সার্চ করলে আপনি অনেক টুল পেয়ে যাবেন যেগুলো আপনি ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেয়ার মাধ্যমে আপনি ডোমেইন অথরিটি এবং পেইজ অথোরিটি চেক করে নিতে পারবেন।
এই আরটিকেলটি সর্বপ্রথম Ggan BItan ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ধন্যবাদ সবাইকে সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ার জন্য।