একের পর এক ক্লোন বা নকল করে সফলতার সাথে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের সবার প্রিয় ফেসবুক।
স্ন্যাপচ্যাটকে অনুসরণ করে মেসেঞ্জার এন্ড ইন্সটাগ্রামে এড করলো মাইডে। এরপর এখন টিকটককে অনুসরণ করে তৈরি করেছে ল্যাসো নামের ভিডিও শেয়ারিং এপ্স।
আর করবেইনা কেন?আমরা যেভাবে টিকটক ব্যবহার শুরু করেছি তাতে আগামী ৫-১০ বছর পর ফেসবুক তার ব্যবহারকারী অর্ধেক হারিয়ে ফেলবে। মূলত ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করা এবং ধরে রাখার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এপ্সটি।
গত শুক্রবার (9 November) রিলিজ হওয়া ফেসবুকের নতুন এপ “ল্যাসো”র ব্যাপারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তেমন কিছু না বললেও একটি কোম্পানির প্রতিনিধি একটি ইমেল বিবৃতিতে বলেন “ল্যাসো” হলো বিনোদনমূলক ভিডিও শেয়ারের জন্য একটি নতুন একক এপ্লিকেশন।
প্রশ্ন হতে পারে- ল্যাসো আসলে কি?
ল্যাসো হলো ভিডিও শেয়ারিং এপ, যা তৈরি করা হয়েছে টিকটক-স্ন্যাপচ্যাটের মতো এপগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। যেখানে ব্যবহারকারীরা টিকটকের মতোই ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করতে পারবে। টিকটক এবং স্ন্যাপচ্যাটের সকল ফিচার পাওয়া যাবে এপটিতে।
ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট ব্যবহার করে ল্যাসোতে লগইন এবং ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে নতুন একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবে।
এছাড়াও একজন ব্যবহারকারী ল্যাসোতে বানানো তার ভিডিও ফেসবুক/মেসেঞ্জারের ‘মাইডে’ তে সরাসরি শেয়ার করতে পারবে। খুব শীগ্রই ইন্সট্রাগ্রামের ক্ষেত্রেও এই ফিচারটি এড করা হবে।
এপটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে এটা কেবল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এনড্রয়েড এন্ড আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত ?
তবে চিন্তার কিছু নেই! ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এপটি সবার জন্য উন্মুক্ত না করলেও আমি আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। এই লিংক থেকে এপটি ডাওনলোড করে নিন
কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে, বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি ল্যাসোতে ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রাম দিয়ে লগইন করার সময়।
তবে আপনারা অবশ্যই চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সফল নাকি ব্যর্থ হলেন, জানাতে ভুলবেন না কমেন্ট বক্সে।