Site icon Trickbd.com

আপনি কি জানেন ১৫ কোটি মানুষের তথ্য এখন ফেইসঅ্যাপের কাছে | এবং তারা চাইলে এই তথ্যগুলো যা খুশি তাই করতে পারে।

Unnamed


আসসালামু আলাইকুম,
আমার মত কে কে মহান সৃষ্টিকর্তার দান সুন্দর মুখটাকে বুড়ো করতে গিয়ে ফেসঅ্যাপ এর কাছে ধরা খেয়েছেন??
আপনি কি জানেন ১৫ কোটি মানুষের তথ্য এখন ফেসঅ্যাপ এর কাছে, এবং চাইলে সেটা ফেসঅ্যাপ যা খুশি তাই করতে পারে।
যদিও এখন এই ব্যবহারকারীদের তথ্য ফেইসঅ্যাপ তাদের নিজেদের সার্ভারে জমা করে রাখছে। এবং তারা বলছে এই তথ্যগুলো নাকি তারা কোন একটা। গবেষণার কাজে লাগাবে।
গবেষণা সাকসেসফুলি হওয়ার পরে তারা তথ্য গুলো মুছে ফেলবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা কিন্তু উল্টো।

গত সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ অন্যান্য মাধ্যমে ফেইসঅ্যাপ দিয়ে নিজেদের ছবি বুড়ো বানিয়ে দেবার একটা ট্রেন্ড দেখা গেছে। এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছে
বিশ্বের ১৫ কোটি মানুষ।

আপনি কি জানেন অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য আপনি কি কি অনুমতি দিয়েছেন?? জানি অনেকে না জেনেই দিয়েছেন কিন্তু এটা জানার পর আপনার মাথা ঠিক থাকবে তো?

আপনি প্রকাশ্যে তাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন আপনার নাম এবং ছবি নেবার। যেগুলো ফেইসঅ্যাপ চাইলে যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারে বলেও শর্তে বলা ছিল আপনি সেটার ও নিবন্ধন করে দিয়েছে।

অনেকেই মনে করছে অ্যাপটি মনে হয় এমনি এমনিই ব্যবহার করা যাচ্ছে?? কিন্তু এটি ব্যবহার করতে যে তার নাম, ছবিসহ তথ্য দিতে হচ্ছে সেদিকে কেউ নজরই দেয়নি।

আমাদের মনে হয় ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা থেকেও শিক্ষা হয়নিযদি তাই হতো তাহলে এভাবে নিজেদের তথ্য জেনে বুঝে তৃতীয় কোন পক্ষের হাতে তুলে দিতাম না।

অবশ্য ফেসঅ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলছে এটি খুব ভয়ংকর নাও হতে
পারে। কারণ তারা বলছে আরএনডি কাজ শেষের ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে তথ্যগুলো মুছে ফেলবে। কিন্তু যদি না মুছে তখন ব্যবহারকারীদের কিছুই করার থাকবে না। কারণ তারা বলেই দিচ্ছে, তথ্যগুলো যা খুশি তাই করতে পারে তারা।

ফেইসঅ্যাপের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব তথ্যের অপব্যবহার করা হবে না বলে
জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা তথ্যগুলো তাদের সার্ভারে জমা
রেখেছে ঠিকই। তবে সেগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহারের পর মুছে ফেলবে।

কিন্তু মনে আছে এরকম ধরনের কথা বলেছিল ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা?? প্রতিষ্ঠানটি ফেইসবুকে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ হিসেবে কাজ করে প্রায় আট কোটি মানুষের তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং পরে সেগুলো ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় কাজে লাগায়।

তাই এমনটা ফেইসঅ্যাপের প্রতিষ্ঠান ও করবেনা তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না।

তাই যারা অলরেডি নিজের তথ্য দিয়ে ফেলেছেন তারা বসে মুড়ি খান। আর যারা এখনও এই গর্তে পা দেন নাই তারা একটু বুঝেশুনে দিয়েন ভাই???

পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক করতে পারেন আর আপনি যদি এমনই আনকমন এবং ইন্টারেস্টিং পোস্ট ভালোবাসেন তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।
আজকের মত এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

Exit mobile version