আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভালোই আছেন । গত পোস্টের কমেন্টে এবং ইমেইলে অনেকেই International Dual currency Card সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন ।
তো আজ এই নিয়েই ধারণা দিতে যাচ্ছি ।
এই পোস্ট এ জানাবো Dual currency কার্ড কি , কিভাবে পাবেন , কত খরচ হবে , এবং কি কি ডকুমেন্টস লাগবে । তো চলুন সরাসসি মূল টপিকে যাই ।
ফেসবুকে পোস্ট বা পেজ বুস্ট করার জন্য , প্লে স্টোর অ্যাপ কেনা , বিভিন্ন গ্লোবাল সাইট যেমন আলিবাবা, অ্যামাজন থেকে পণ্য কেনা , ডোমেইন হোস্টিং কেনা এছাড়া বিভিন্ন কাজে ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড চেয়ে থাকে । এসব ইন্টারন্যাশনাল সাইটে কেনাকাটা অথবা লেনদেন করার জন্য প্রয়োজন হয় ইন্টারন্যাশনাল ভিসা ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড অর্থাৎ ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক এই কার্ড দিয়ে থাকে ।. আপনার নিকটস্থ যেকোনো ব্যাঙ্ক থেকে এধরনের কার্ড পেতে পারেন । তবে তার আগে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন ।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কি –
ডুয়েল কারেন্সি মানে দুইটি কারেন্সি । যেমন বাংলাদেশে আমরা যে ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সি কার্ড গুলো পেয়ে থাকি
সেগুলো ( BDT & USD ) হয়ে থাকে । বিদেশি কোন ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এ পেমেন্ট করার জন্য কাটি অবশ্যই ডুয়েল কারেন্সি হতে হবে ।
বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাওয়া যায় । সে ক্ষেত্রে ব্যাংক ভেদে খরচ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে । তবে আজকে আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি সবথেকে জনপ্রিয় ইস্টার্ন ব্যাংকের লাইফ-স্টাইল প্রিপেইড কার্ড (VISA) , এবং একুয়া মাস্টারকার্ড (MasterCard) । চলুন তাহলে দেখে নেই কার্ডে কিভাবে পাবেন এবং এর খরচ কেমন এবং কি কি শর্ত রয়েছে :
শর্ত :
১. আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশি হতে হবে ।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :
১. ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
২. পাসপোর্ট সাইজের 2 কপি ছবি
৩. পাসপোর্ট – (ডলার এনডোর্সমেন্ট করার ক্ষেত্রে)
তারপর ব্যাংকে গিয়ে তারপর আপনাকে ফর্ম দেওয়া হবে সেগুলো পূরণ করতে হবে ।
কার্ডটি তে ডলার লোড করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট থাকতে হবে । তারপর আপনাকে ডলার এনডোর্সমেন্ট করতে হবে । (কার্ডে ডলার লোড দেওয়া হচ্ছে ডলার এনডোর্স )
কার্ডের চার্জ :
575 টাকা । মেয়াদ 3 বছর ।
এবং ডলার লোড দেওয়ার সময় কিছু ভ্যাট কাটবে
কার্ডের সুবিধা সমূহ :
এই কার্ডটি দিয়ে আপনি বিশ্বের যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লেনদেন করতে পারবেন । গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ কেনা থেকে শুরু করে আলিবাবা , অ্যামাজনের পণ্য কেনা , ওয়েব হোস্টিং ডোমেইন ইত্যাদি কেনাকাটা করতে পারবেন ।
এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনের চার্জ নেই ।
যেকোনো এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন ।
বেশিরভাগ লোকের কাছে টাকা আছে কিন্তু পাসপোর্ট নেই যার কারণে এই কার্ডটা নিতে পারছেন না । যথেষ্ট সাড়া পেলে পাসপোর্ট ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ভিসা বা মাস্টার কার্ড পাবার উপায়টি দেখাবো ।
তো আজ এই পর্যন্তই সবাইকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য । আমার কোন ভুল পেলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন সাথে সাথে ঠিক করে নিতে পারি । সবার মতামত আশা করছি । কোন বিষয়ের উপর পোস্ট চান অবশ্যই জানাবেন ।
Md Rahat
Email: mdrahat467@gmail.com
Facebook group : Link