Site icon Trickbd.com

[ব্যবসা-০৫] শাওমি কোম্পানির ইতিহাস | শাওমি ইন্ডিয়া না চায়না কম্পানি দেখুন আজ শাওমির মজার তথ্যগুলি

শাওমি করপোরেশন একটি চাইনিজ ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি, এটি লি জুন কর্তৃক ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ যার প্রধান অফিস চীনের বেইজিঙে অবস্থিত। 

শাওমি যেধরনের পন্য তৈরী করে, তা হলো: স্মার্টফোন, মোবাইল অ্যাপলিকেশন, ল্যাপটপ, ব্যাগ, ট্রিমার, ইয়ারফোন, মি টেলিভিশন, জুতো, স্বাস্থ্য ব্যান্ড এবং অন্য অনেক পণ্যে বিনিয়োগ করে।  ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় ৪৬৮তম অবস্থানে আসা সবচেয়ে কনিষ্ঠ কোম্পানি শাওমি।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: www.mi.com 

শাওমির অফিসিয়াল লগো: ??

শাওমি একটি পাবলিক কোম্পানি ৷ 

এর শিল্পের ভিতরে রয়েছে, ভোক্তা ইলেক্ট্রনিকস, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ৷

প্রতিষ্ঠাহয় ⇄১০ বছর আগে, ৬ এপ্রিল ২০১০ ৷

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বেরেই চলেছে,  শাওমির বানিজ্য এরিয়া বর্তমানে সারাবিশ্ব ৷

শাওমির ব্র্যান্ডসমূহ নাম: পোকোফোন (ভারতে পোকো), রেডমি, মি, ব্ল্যাক শার্ক ৷

আয়: ২০১৯ তালিকা অনুযায়ী শাওমির আয় CN ¥২০৫.৮৩৯ billion(BD ৳2,694.85 billion Bangladeshi Taka) 

সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

আমরা সবাই বলি শাওমি ভারতীয় কোম্পানি আসলে তা নয় বরং শাওমি চায়না কোম্পানি ৷

শাওমি ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল আটজন সহযোগীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছিলো।

শাওমি এর প্রথম স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে আগস্ট ২০১১ সালে এবং ২০১৪ এর মধ্যে অতিদ্রুত বাজার দখলের মাধ্যমে এটি চীনের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন কোম্পানিতে পরিণত হয়। এরপর ২০১৮ এর দ্বিতীয় অংশে শাওমি এর সবচেয়ে বড় দুটো বাজার চীন এবং ভারতে এর অবস্থানের জন্য হয়ে উঠে পৃথিবীর চতুর্থ সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক। পরবর্তীতে শাওমি আরও অনেক ভোক্তা ইলেকট্রনিকস পণ্য উন্নয়ন করে, যার মধ্যে রয়েছে স্মার্ট হোম যন্ত্র সহ বিভিন্ন ইন্টারনেট অব থিংস পণ্য।

২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু করে শাওমি ।

চীন, ভারত, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়-ফিলিপিন-দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে সব মিলিয়ে শাওমির প্রায় ১৬,০০০-এরও বেশি কর্মী রয়েছে। শাওমি পৃথিবীর চতুর্থ সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি উদ্যোগ, যা অ্যাপেল এর পরের স্থান দখল করে আছে ৷ যার মোট মূল্য রয়েছে $৪৬ বিলিয়নেরও বেশি।

এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ অনুসারে শাওমি ২০১৫ সালের ৫০টি অন্যতম স্মার্ট কোম্পানির তালিকায় ২য় স্থানে রয়েছে।

পলিসি:

শাওমি কমবেশি সবাই ব্যবহার করি কিন্তু ক’জন জানি এর পলিসি ৷ তাহলে জেনে নেওয়া যাক শাওমির পলিসি ৷

শাওমি স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে, শাওমি অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতা যেমন- স্যামসাং এবং অ্যাপল থেকে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। লেই জুন, শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উল্লেখ করেন যে, কোম্পানিটি ফোনের দাম প্রায় তৈরি খরচের সমানই রাখে, যদিও এ ক্ষেত্রে ফোনের গুণগত মান এবং কর্মক্ষমতা অন্যান্য প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। কোম্পানিটি এছাড়াও ফোন সংক্রান্ত অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস, স্মার্ট হোম পণ্য, অ্যাপস, অনলাইন ভিডিও এবং থিম ইত্যাদি বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করে থাকে।

 

   -#-পিরিশেষে-#-

উপরের আলোচনা থেকে আমরা এটা শিখতে পারলাম যে শাওমি অল্পদিনে মার্কেটে হলেও অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তারা সব থেকে স্যামসাং হুয়ায়ে আইফোন মোবাইল ফোনের পরেই নিজেদের জায়াগা করে নিয়েছে ৷ তারা অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতা যেমন- স্যামসাং এবং অ্যাপল থেকে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে ৷ 

অল্প লাভে অধিক সেল করেছে ৷ 

মোট কথা, তাদের ফোনের সার্ভিস ভালো দিওবার কারনে অল্প দিনেই মার্কেটে জায়গা দখল করেছে ৷

ধন্যবাদ ৷ 

তথ্য সুত্রঃ বাংলা উইকিপেডিয়া ডট কম