পাবজি প্লেয়ারদের জন্য সুখবর…
১৯ তম এশিয়ান গেমসে সংযুক্ত করা হচ্ছে পাবজিসহ ৮ টি ই-স্পোর্টসকে অর্থাৎ পাবজি মোবাইল খেলেই বাংলাদেশ অর্জন করতে পারবে স্বর্ণপদক (Gold Medal) । সম্প্রতি The Olympic Council of Asia (OCA) তাদের এক ঘোষণা ভেতরে জানিয়েছেন, ৮ টি গেমসে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে সংযুক্ত করা হচ্ছে।
যেসব গেমস থাকছে এশিয়ান গেমসে
৮ টি ই-স্পোর্টস গেমের লিস্ট যেগুলো এশিয়ান গেমসে থাকবেঃ
1.PUBG Mobile
2.Dota 2
3.Dream Three Kingdom 2
4.FIFA
5.Hearthstone
6.League of Legends
7.Arena of Valor
8.Street Fighter V
কেন ই-স্পোর্টসকে এশিয়ান গেমসে যুক্ত করা হচ্ছে?
এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে এটিই প্রথমবার যেখানে মেডেল ইভেন্টের ভিতরে Esports কে সংযুক্ত করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালের ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়ান গেমসে পরিক্ষামূলকভাবে ই-স্পোর্টসকে সংযুক্ত করা হয়। তখন সফলতা পাওয়ায় এইবার মূল পর্বে ই-স্পোর্টসকে যুক্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ই-স্পোর্টস নিয়ে কিছু না বলা কথা…
বিভিন্ন দেশ যেখানে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, ই-স্পোর্টসে ভালো করে স্বর্ণপদক অর্জন করার কথা ভাবছে ঠিক সেই সময়টাতেই এসে বাংলাদেশে পাবজি, ফ্রিফায়ার সহ বাকি গেমগুলোকেও ব্যান করে দেওয়া হচ্ছে।
ই-স্পোর্টস মার্কেট বর্তমানে অনেক একটিভ এবং দিনকে দিনকে এর ইকোনমি রেট বেড়েই চলেছে। ধারণা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে ই-স্পোর্টসই হবে সবচেয়ে বড় ইকোনমি।
এবং সেই ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-স্পোর্টস নিয়ে লেখাপড়া অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। কষ্ট করে গুগলে Esports University লিখে সার্চ দিলেই দেখা মিলবে এসব ইউনিভার্সিটির লিস্ট
বাংলাদেশের ই-স্পোর্টস অনেকটাই সম্ভাবনাময় কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত…
এই গত বছর A1esports গত বছর বাংলাদেশ থেকে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে এসেছে। যেটিকে এখন পাবজি মোবাইলের বিশ্বকাপ বলা যেতে পারে।
সাউথ এশিয়ায় নেপাল,ভারত,শ্রীলঙ্কা, পাকিস্থান এই দেশগুলোর চাইতে বাংলাদেশ ভালো কিন্ত বেশ ভালো অবস্থানে আছে। কোন প্রকার সাপোর্ট ছাড়াই তারা এতদূর গিয়েছে।
এবার চিন্তা করুন যদি বাংলাদেশের ক্রীড়া সংস্থা থেকে একটা বার Esports কে সাপোর্ট করা হয়, এদের ট্রেনিং দেয়া হয় তাহলে এসব ছেলেপেলে কতটা ভালো করতে পারবে!
এই ই-স্পোর্টস ই কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পদক অর্জনের জায়গা হতে পারে।
বাচ্চা-কাচ্চাদের নিয়ে কিছু কথা…
প্রথমেই বুঝতে হবে ই-স্পোর্টস বাচ্চা-কাচ্চাদের জিনিস না, তারা যদি সারাদিন মোবাইলে গেম খেলে এটা তাদের বাবা-মার ব্যার্থতা তারা তাদের ছেলে-মেয়েকে গাইড করতে পারেনি, কন্ট্রোল করতে পারেনি। এজন্য সম্ভাবনায় ই-স্পোর্টস খাতের গেমগুলোকে ব্যান করে দেওয়ার কোন মানে হয়না।
যদি কিছু করতেই হয়, তাহলে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের মা-বাবা ডিজিটাল ওয়েতে তে Parenting শিখানো উচিত। কিভাবে বাচ্চাদেরকে কন্ট্রোল করতে হয়, কিভাবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মোবাইল দিয়ে রাখা যায়।
আর তাছাড়া এখন অনেক Parenting এপ পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে গেমে টাইম লিমিট সেট করে রাখা যায়। এপ ইউজ করা লাগেনা, চাইলে নিজেই ম্যানুয়ালি কন্ট্রোল করতে পারেন Parent রা ।
ব্যান কোন কিছুরই সমাধান না! এখন বাংলাদেশে পাবজি ব্যান কিন্তু এখন আগের থেকেও বেশি ডাটা খরচ হচ্ছে পাবজির পিছনে কারণ সবাই ভিপিএন ইউজ করে খেলেই চলেছে । এমনকি লাইভস্ট্রিমও করছে ফেসবুক, ইউটিউব সহ অন্যান্য প্লাটফর্মে। আর ভিপিএন ইউজের কারণে আরো এক্সট্রা ডাটা খরচ হচ্ছে।
★★আমার আগের পোষ্ট যারা মিস করেছেন তারা নিচের লিংক থেকে দেখে নিনঃ
★★NordVpn প্রিমিয়াম একদম ফ্রিতেই ইউজ করবেন যেভাবে(Only For Android Users?)
★★কম্পিউটারের জন্য প্রথম বাংলা ভয়েস টাইপিং কিবোর্ড তৈরি করলেন রক্তিম আশরাফুল