সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় ল্যাপটপ বেশ কাজের। তবে পারফরম্যান্স চাইলে ডেস্কটপের বিকল্প নেই। এমনকি একই কনফিগারেশনের ল্যাপটপের চেয়ে ডেস্কটপ কম্পিউটারের গতি বেশি হয়ে থাকে। সে কারণেই ২০২১ সালে এসেও ডেস্কটপেই নির্ভর করেন অনেকে।
ডেস্কটপের বাজারের হালচাল জানতে বৃহস্পতিবার গিয়েছিলাম রাজধানীর আগারগাঁওয়ের প্রযুক্তিপণ্যের বাজার বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে। মাস তিনেক আগেও একবার গিয়েছিলাম। সেবারের তুলনায় এখন যন্ত্রাংশের দাম কিছুটা চড়া বলে মনে হলো। মনিটর, গ্রাফিকস কার্ডসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি বেড়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
ডেস্কটপের বেলায় আলাদা যন্ত্রাংশ কিনে কম্পিউটার সেটআপ করে নেওয়া আমাদের দেশে বেশি জনপ্রিয়। দোকানে গিয়ে তা-ই চাইলাম। বললাম, দাম ৫০ হাজারের এক টাকাও বেশি হওয়া চলবে না। এর মধ্যে মনিটরসহ সেরা কনফিগারেশনের ডেস্কটপ কম্পিউটার দরকার।
তিনটি দোকানে গিয়েছিলাম। কম্পিউটার সোর্স মেশিনস, রায়ান্স আইটি ও গ্লোবাল ব্র্যান্ড। বললাম, লেখালেখি, ওয়েব ব্রাউজিং, হালকা গেমিং আর টুকটাক ফটোশপ-ইলাস্ট্রেটরের কাজের উপযোগী হতে হবে কম্পিউটারটিকে। কাছাকাছি কনফিগারেশনের তালিকা পাওয়া গেছে দোকানগুলো থেকে। দামও কাছাকাছি। কিছুটা হেরফের অবশ্য ছিল, আমরা পণ্যের সর্বনিম্ন দাম উল্লেখ করছি এখানে।
বর্তমান বাজারদরে ৫০ হাজার টাকার ভেতরে কম্পিউটার কিনতে চাইলে আলাদা গ্রাফিকস কার্ড যোগ করা বেশ কঠিন। বিক্রেতারাও তা জানালেন। ২ গিগাবাইটের জন্য কম করে হলেও হাজার ছয়েক টাকা যোগ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে উপায় হলো, সাড়ে ১৮ ইঞ্চির মনিটর এবং প্রসেসর ইনটেল কোর-আই৩ কেনা। অবশ্য কম্পিউটারে যে কাজের উল্লেখ করা হয়েছে, তার জন্য প্রসেসরের সঙ্গে যুক্ত সমন্বিত গ্রাফিকস মেমোরিই যথেষ্ট, আলাদা গ্রাফিকস কার্ডের প্রয়োজন নেই।
ডেস্কটপ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের বাজারদর সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। সে দর ওঠানামা করতেই পারে। আবার একই পণ্যের দামে দোকানভেদে তারতম্য থাকতে পারে। আশা করি পাঠক সে ব্যাপারটি মাথায় রাখবেন।