টেক জায়েন্ট কোম্পানিগুলো চিরাচরিত সাধারণ ডিভাইসের পাশাপাশি গেমিং ডিভাইস বানানোর দিকে একটু বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, এর কারণ যে কেবল গেমিং প্রতি আগ্রহ তা নয়, একটি উচ্চক্ষমতার গেমিং ডিভাইস সবাই ব্যবহার করতে পারে না এর কারন প্রধান কারন পর্যাপ্ত বাজেট না থাকা। তবে Acer Nitro 5 সম্পূর্ণ ভিন্ন। এফর্ডেবল দামে উচ্চক্ষমতার যে ডিভাইস রয়েছে তার মধ্যে এসার নাইট্রো ৫ সিরিজের সবগুলো ডিভাইস সেরা। প্রায় ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ২ লাখের মত দামে এই ডিভাইস আপনি পাবেন। উচ্চমানের প্রসেসর, উন্নতমানের গ্রাফিক্সকার্ড, ১৫ থেকে ১৭ ইঞ্চি ডিস্প্লে সহ নানা ধরনের সুবিধা পাবেন। র্যাম-রম, মেমরি সহ সব কিছু মিলে এত অসাধারণ ডিভাইসের দেখা কম মেলে। প্রায় ২.২ কেজি ওজনের এই ডিভাইস দেখতে যেমন সুন্দর কাজেও ব্যাতিক্রম নয়। এসার নাইট্রো সিরিজের এই ডিভাইসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, নিজের মনের মত ফিচারের ল্যাপটপ কিনতে পারবেন আর যেহেতু বাজেট ফ্রেন্ডলি তাই সবাই ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। কোন ডিভাইসই যেমন পারফেক্ট না, সেরকম এটার কিছু ত্রুটি আছে, সেটা হল ব্যাটারি ব্যাক আপ তুলনামূলক অনেক কম। যার কারনে অনেকে হয়তো পিছুপা হতে পারেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞের মতে এটা এমন কোন ত্রুটি না, যা অন্য সব সুবিধার সাথে তুলনা করা যেতে পারে এবার এসার নাইট্রো ৫ ক্রয়ের পূর্বে কোন বিষয়গুলো আপনার যাচাই করা দরকার তা জেনে নেওয়া যাক। এছাড়া Acer Nitro 5 সিরিজের ভেরিয়েন্টগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য জানতে ভিজিট করুন: https://mcsolution.com.bd/laptop/acer/nitro/
ডিস্প্লে
এসার নাইট্রো ৫ এর ১৫ থেকে ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত মডেল পাবেন। আপনি যে ধরনের স্ক্রিনে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সেটি বেছে নিবেন। এতে করে দামের সামান্য তারতম্য হতে পারে। Acer Nitro 5 এর দাম একটু বেশি হবে যদি ডিস্প্লে ১৭ ইঞ্চি হয়, আবার ১৫ ইঞ্চির ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম হবে।
বাজেট
আগেই বলেছি প্রায় ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ২ লক্ষাধিক দামের মধ্যে পাবেন এই ডিভাইস। এই সিরিজটির দাম নিয়ে একটু খোঁজ নিলেই দেখবেন, প্রস্তুত কারণ কোম্পানি সব বাজেটের আর সব মানুষের কথা মাথায় রেখে এটি তৈরি করেছেন। এতেই রয়েছে দামের ভিন্নতা।
প্রসেসর
ইন্টেল আই ৫ থেকে শুরু করে আই ৭, রাইজেন সিরিজের প্রসেসর এর সুবিধা পাবেন এসারের এই সিরিজের ভেরিয়েন্টগুলোতে, আপনি যদি রাইজেনে কম্ফোর্ট ফিল করেন, তাহলে রাইজেন এর যে কোন একটি এসার নিতে পারেন। আবার ইন্টেলের ক্ষেত্রেও একই। সেকারনেই মূল্য নির্ভর করবে প্রসেসরের ভিন্নতার উপর।
গ্রাফিক্স কার্ড
NVIDIA® GeForce RTX™ 30 সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে এসার নাইট্রো ৫ সিরিজের অন্যতম আকর্ষণ। এটিতে গেমিং এর ক্ষেত্রে রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স এর মত অনুভূতি হবে আপনার। এছারড়া অন্য আনুষঙ্গিক কাজ করতে পারবেন কোনো ল্যাগিং ছাড়াই। এসারের ভাষ্যমতে এই প্রাইস রেঞ্জে কোন ডিভাইসে এ ধরনের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করেনি। যা এটিকে এক ধাপ এগিয়ে রাখে।
মেমরি
এসার নাইট্রো ৫ এর মেমরি , র্যাম আর রমের ক্ষেত্রে আপনি প্রায় ৩২ জিবি আর ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়াতে পারবেন বলে দাবী প্রতিষ্ঠানটির। মেমরির কম বা বেশির উপরে মূল পারফরমেন্সে কোন ব্যত্যয় ঘটবে না সেটা বেশ জোর দিয়েই বলা যায়।
ব্যাটারি
গেমিং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ব্যাটারি পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ, যদিও অনেকের মতে এই ডিভাইসে ব্যাটারি দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ব্যাক আপ দিতে পারবে না, কিন্তু মাক্স অফ করে রাখলেই আপনি ডিভাইসের ব্যাটারির ব্যাক আপ বাড়াতে পারেন। অযাচিত সফটওয়্যার অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখলে কিন্তু ব্যাটারি সব ডিভাইসের ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর হবে।
কুলিং সিস্টেম
কুলিং সিস্টেম ভালো না হলে গেমিং ডিভাইসে নানা ধরনের অসুবিধা হতে পারে। এই কথা মাথায় রেখেই ২ টি কুলিং ফ্যান সহ ৪ টি এক্সস্ট রয়েছে এই ডিভাইসে। কেনার আগে অবশ্যই মাথায় রাখবেন, পর্যাপ্ত বাতাস বের হবার সুবিধা আপনার ডিভাইসে রয়েছে কিনা।
অডিও সিস্টেম
ডুয়েল অডিও স্পিকার, থ্রি ডি অডিও , জিরো নয়েজ থাকার কারনে, গেম খেলার ক্ষেত্রে অন্যরকম এক অনুভূতি হবে আপনার। আপনি যদি গেম খেলার ক্ষেত্রে সাউন্ড এর পাচ্ছেন অন্য রকম অভিজ্ঞতা। যেমন প্রতিযোগী বা অপনেন্ট এর প্রতি পদক্ষেপ শুনতে পারবেন। সাথে সাথে নিজে সতর্ক হতে পারবেন। এছাড়া মুভি দেখা বা গান শোনার ক্ষেত্রেও পাবেন দারুন এক অভিজ্ঞতা।
কানেকশন এবং পোর্ট
ওয়াইফাই পোর্ট, ব্লুটুথ সহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় পোর্ট রয়েছে এই ডিভাইসে। যেটা অন্য ডিভাইসে এখন পাওয়া মুশকিল। সব গুলো দূর্দান্ত কাজ করে। যদিও আলাদা এস ডি কার্ডের পোর্ট নেই। তবু এটা আপনার কাজের ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে আমি মনে করি।
অন্যান্য
ব্যাক লাইট এবং গেমিং কিবোর্ড, ক্যামেরা ফ্যাসিলিটি, আধুনিক ড্রাইভার সমুহ অন্য সকল গেমিং ল্যাপটপ থেকে এই ডিভাইস কে করেছে আলাদা। 165Hz refresh rate and 3ms2 response time এর জন্য ল্যাগিং এবং বাফারিং এবং হ্যাং করার হাত থেকে আপাকে মুক্তি দেয়। সে কাজের ক্ষেত্রে বা গেমিং এর ক্ষেত্রেই হোক না কেন। একই সাথে এই রিফ্রেস রেট আর রেস্পন্স রেট খুব কম ডিভাইসে পাওয়া যায় বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।
এই ডিভাইসের সবচাইতে বড় সুবিধা হল, নিজের প্রয়োজন আর বাজেট অনুসারে নিজের ডিভাইস কিনতে পারবেন। এর চাইতে বড় বিষয় হল বাজেট ফ্রেন্ডলি। Acer Nitro 5 এর দাম নির্ভর করবে প্রসেসর, ডিস্প্লে, গ্রাফিক্সকার্ডের উপরে। এরকম বাজেট ফ্রেন্ডলি ডিভাইস সবাই ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। এসারের ডিভাইসের সুনাম রয়েছে, দীর্ঘদিন ব্যবহারেও কোন ধরনের অসুবিধা হয় না । তবে যে কোনো ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই সে জিনিসটা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন কিংবা যাচাই করে নিবেন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য, আপনাদের মতামত গুলো কমেন্ট বক্স এ যুক্ত করুন।