আসসালামু আলাইকুম !
ট্রিকবিডির সকল সদস্যদের স্বাগতম ! ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন !
আমি সোহাগ আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !
পৃথিবী দিন দিন যতটা স্মার্ট হচ্ছে ঠিক ততটাই বেড়ে চলেছে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার। আর ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই বর্জ্য।
সাধারণ কথাই বলতে গেলে আমরা প্রতিদিন যে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স বা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করি সেগুলো নষ্ট হয়ে গেলে বা মেরামত করার ফলে যে উচ্ছিষ্টাংশ তৈরি হয় সেগুলোকেই মূলত বলা হচ্ছে ই বর্জ্য। আর এই বর্জ্য পদার্থের প্রধান উৎস হল মোবাইল ফোন।
ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইকুইপমেন্ট (ডব্লিউইইই) এর মতে ২০২২ সালে প্রায় ৫৩০ কোটি মোবাইল ফোন গার্বেজ করা হবে। এই বহুল সংখ্যক মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়ার কারণে ইলেকট্রনিক বর্জ্যের পরিমাণ পৃথিবীতে কি হারে বেড়ে যাবে তার ভয়াবহতা বর্ণনা করেই একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা যায় যে বর্তমানে মানুষ তাদের পুরাতন বা নষ্ট হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনগুলো রিসাইক্লিং করার পরিবর্তে তারা সেগুলো নিজের কাছে রেখে দিয়ে পুনরায় নতুন ডিভাইস কিনে ফেলে।
এর ফলে জমে থাকা মোবাইল ফোন গুলোর ভেতরের তারে যে কপার ও কোবাল্ট থাকে সেগুলো পুনরায় সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।
কিন্তু নতুন মোবাইলের মাত্রা অতিরিক্ত চাহিদার জন্য কোবাল্ট ও কপার সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আবারো পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় খনন করা হয়।
ডব্লিউইইই এর মহাপরিচালক প্যাসকল ইউরি বলেছেন যে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারেন না যে তাদের কাছে রেখে দেওয়া বা গুরুত্বহীন হয়ে পড়া ফোনগুলো কতটা মূল্যবান। এ সকল রেখে দেওয়া মোবাইল ফোনের কারণে পৃথিবীতে দিন দিন ই বর্জের স্তূপ জমে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ের এক হিসাব থেকে দেখা গেছে যে বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী প্রায় ১৬০০ কোটি মোবাইল ফোন রয়েছে। এরমধ্যে ইউরোপে থাকা মোট মোবাইল ফোনের এক তৃতীয়াংশই ব্যবহার করা হচ্ছে না বরং সেগুলো জমিয়ে রাখা হয়েছে।
ডব্লিউইইই এর তথ্য মতে মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ট্যাবলেট কম্পিউটার ওয়াশিং মেশিন ও জিপিএস এর মত ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস গুলোর স্তুপ যে হারে বাড়ছে তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ ইলেকট্রনিক বর্জ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৭ কোটি ৪০ লাখ টন।
২০২২ সালের শুরুর দিকে রয়েল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি এই বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ কমাতে এগুলো থেকে নতুন পণ্য উৎপাদনে সকলকে আগ্রহী করতে চ্যাম্পিয়ন শুরু করেছিলেন। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ তা বাধাগ্রস্ত করে।
ডব্লিউইইই এর ম্যাকডালেনা বলেছেন যে এ সকল পুরাতন বর্জ্য পদার্থ থেকে নতুন নতুন ইলেকট্রনিক ডিভাইস কিংবা পরিবেশবান্ধব যন্ত্রপাতি হিসেবে বায়োকল, ইলেকট্রিক গাড়ির সোলার প্যানেলের মতো যন্ত্র তৈরি করা হবে। যার ফলে এই বর্জ্যের পরিমাণ পৃথিবী ব্যাপী হইত একটু কমতে পারে।
তাছাড়া গবেষণায় আরো বলা হয়েছে যে এ সকল বর্ধনশীল বর্জ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে যা মানব দেহ এবং মানবজাতির জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ।
আরো পড়ুনঃ আপনি যদি নতুন বিষয়ে জানতে, নতুন কিছু শিখতে আগ্ৰহী হন তাহলে doctlab.com ঘুরে দেখতে পারেন।
এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ। ?
কোনো সমস্যা অথবা কোনো প্রয়োজন হলে আমার ↓
Facebook I’d