অ্যাপলের নতুন আইফোন ৬এস কি পানি নিরোধী? এ প্রশ্নের নিশ্চিত জবাব পেতে পরীক্ষা চালিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। পাঁচ মিনিটি একটি পানি ভর্তি পাত্রে ডিভাইসটি চুবিয়ে রেখে এই পরীক্ষা করা হয়। তবে ‘আশানরূপ’ ফল মেলেনি ওই পরীক্ষা থেকে।
এক মিনিটের মাথায় পানি এর স্ক্রিনের নিচের অংশ বিকৃত করা শুরু করে। পানি থেকে বের করার ১০ মিনিট পর কয়েকবার পানি বের করার পর চলতে থাকে আইফোনটি। হেডফোন পোর্ট পানিতে পুরো ভেজা থাকায় হেডফোন লাগানো আছে বলে মনে করছিল ডিভাইসটি। কোনো গান বাজানো যাচ্ছিল না এতে।
এক সময় স্ক্রিনটি সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায় আর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সোজা কথায় একেবারেই বিকল হয়ে পরে ডিভাইসটি। এরপরও, পানিতে ভেজার পর স্মার্টফোনের এতক্ষণ টিকে থাকার বিষয়টি নিয়ে ‘মুগ্ধ’ সিএনএন।
সম্প্রতি গ্যাজেট ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠান প্রটেক্ট ইওর বাবল আইফোন ৫- এর জন্যও এমন এক পরীক্ষা চালায়। অ্যাকুয়ারিয়ামে চালানো পরীক্ষায় আইফোন ৫, ১০ সেকেন্ড পর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এরপর একটি আইফোন ৬এসও অ্যাকুয়ারিয়ামে চুবায় তারা, এবার আইফোনটি পানির নিচে ৪৫ মিনিট কাজ করে।
কিন্তু সিএনএন আর প্রটেক্ট ইওর বাবলের পরীক্ষায় আইফোন ৬এস আলাদা ফলাফল দেওয়ার কারণ কি? ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, এর মূল কারণ আইফোনটির পানির নিচে থাকার অবস্থা। তাদের বেলায় এটি অ্যাকুয়ারিয়ামের নিচে শোয়ানো অবস্থায় ছিল, আর সিএনএন-এর পরীক্ষায় এটি ছিল পাত্রের মধ্যে সোজা দাঁড় করানো।
আইফোন ৬এস বের করার আগে গুজব উঠে যে নতুন আইফোন পানি নিরোধী হবে। আর গুজবটিকে আরও উস্কে দেয় বছরের শুরুতে ‘কম্পিউটিং ডিভাইসে পানি নিরোধক ইলেক্ট্রনিক উপাদান’ বানাতে অ্যাপলের পেটেন্ট পাওয়ার ঘটনা।
এমনকি বিভিন্ন ডিভাইস মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান আইফিক্সইট-এর করা ‘টিয়ারডাউন’- এ আইফোন ৬স যে পানি নিরোধী তা নিশ্চিত করা হয়। টিয়ারডাউন বলতে কোনো ডিভাইসের সব যন্ত্রাংশ খুলে আলাদা করে শনাক্তকরণকে বুঝায়।
বলে রাখা ভাল, অ্যাপল কিন্তু কখনোই আইফোন ৬এস পানি নিরোধী বলে দাবি করেনি।
আইফোনটির স্ক্রিন স্ক্র্যাচ পরা আর ভাঙ্গা রোধ করার ক্ষমতা নিয়েও পরীক্ষা চালায় সিএনএন। দুই পরীক্ষাতেই ভালো ফলাফল দেয় এটি। চাবি দিয়ে অনেকক্ষণ ঘষার পরও ঠিক ছিল এর স্ক্রিন। কংক্রিটের সিড়িতে ফেলে দেওয়ার পরও ঠিক ছিল এটি, শুধু কিছু আঁচড় সৃষ্টি হয় এতে।