ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির চেয়েও
দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা
‘লাই-ফাই’ নিয়ে পরীক্ষা
চালিয়ে সফল হওয়ার দাবি
করেছেন গবেষকেরা। লাই-ফাই
মূলত আলোর মাধ্যমে তথ্য
স্থানান্তরের একটি পদ্ধতি।
গবেষকেদের দাবি, এটি ওয়াই-
ফাই ইন্টারনেটের চেয়েও শতগুণ
দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তর
করতে সক্ষম। পরীক্ষায় লাই-ফাই
দিয়ে ১ জিবিপিএস
(গিগাবিট প্রতি সেকেন্ড)
পর্যন্ত তথ্য স্থানান্তর করতে সক্ষম
হয়েছেন এস্তোনিয়ার
গবেষকেরা।
এস্তোনিয়ার প্রযুক্তি
উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান
ভেলমেনি বিভিন্ন অফিস ও
শিল্প প্রতিষ্ঠানে লাই-ফাই
নিয়ে পরীক্ষা চালায়।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলেন,
‘ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কে
আলো ব্যবহার করে তথ্য
স্থানান্তরের পদ্ধতি ইতিমধ্যে
ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আলোক
বিম ব্যবহার করে বাতাসের
মধ্যে দিয়ে তথ্য স্থানান্তর
প্রক্রিয়াটি আরও কঠিন। কারণ, এ
ক্ষেত্রে
আলোর নির্দিষ্ট গন্তব্যে
যাওয়ার জন্য কোনো টানেল
বা পথ থাকে না।’
ভেলমেনির প্রধান নির্বাহী
দীপক সোলাঙ্কি যুক্তরাজ্যের
আইবিটাইমসকে বলেন, ‘আমরা
বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে
ভিজিবল লাইট
কমিউনিকেশনের (ভিএলসি)
প্রকল্প নিয়ে পরীক্ষা
চালিয়েছি। বর্তমানে আমরা
একটি আলো দিয়ে ইন্টারনেট
ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম
হয়েছি। এতে বৈদ্যুতিক বাতির
মাধ্যমে তথ্য স্থানান্তর করা
যায়।’
এর আগে ২০১১ সালে
স্কটল্যান্ডের এডিনবরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
হ্যারল্ড হাস লাই-ফাই প্রযুক্তি
উদ্ভাবনের ঘোষণা দেন।
ইতিমধ্যে বিমানে ও
গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপদ তথ্য
স্থানান্তরের জন্য এ পদ্ধতি
নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে।
২০১৩ সালে জার্মানির
গবেষকেরা ‘লাই-ফাই’ নামের
তথ্য স্থানান্তর পদ্ধতি
উদ্ভাবনের দাবি করেন।
বার্লিনের ফ্রানহফার
ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা
দাবি করেন, লাইট এমিটিং
ডায়োড বা এলইডি ব্যবহার করে
প্রতি সেকেন্ডে তাঁরা ৮০০
স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ পদ্ধতিতে এলইডি ব্যবহার করে
ডিজিটাল তথ্যের সংকেত
পাঠানো হয়। একটি লাইট
সেন্সর এলইডি থেকে পাঠানো
তথ্য শনাক্ত করতে পারে, যা
পরে কম্পিউটারে প্রসেসিং
করা সম্ভব হয়। গবেষকেরা এ
পদ্ধতিটির নাম দেন ‘লাই-ফাই’।
গবেষকেদের দাবি, লাই-ফাই
ব্যবহার করে হাই-ডেফিনেশন
মানের চলচ্চিত্রও এক মিনিটেই
ডাউনলোড করা সম্ভব। বাড়ির
প্রতিটি বৈদ্যুতিক বাতিকে
লাই-ফাই প্রযুক্তির রাউটার
হিসেবে ব্যবহার করা যেতে
পারে, যা স্মার্টফোন ও
ট্যাবলেটে তারহীন প্রযুক্তির
ইন্টারনেট হিসেবে কাজ করতে
পারে। তথ্যসূত্র: টেলিগ্রাফ।
আরও পড়ুন:
বৈদ্যুতিক বাতি থেকে ইন্টারনেট!