চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাসে ভ্রমণ,
সবখানেই আমারা হেডফোন ব্যবহার করি ।
রাস্তায় বের হয়ে কানে হেডফোন গুঁজে
গান শোণা এখন একটি ফ্যাশাণ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। ফলশ্রুতিতে কি হচ্ছে? একটা
গাড়ি আমাদের সাবধান করার জন্য
বারবার হর্ন দিলেও আমরা সেটি শুনতে
পারছি না। ফলে গাড়িটি আমাদের
সজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায় আর আমরা
গিয়ে পরি হসপিটালের বেডে। একটু
সাবধান হলেই কিন্তু এই মারাত্মক দুর্ঘটনা
থেকে রক্ষা পাওয়া যেত। বেটার হয় এই
ধরনের মারাত্মক ফ্যাশান থেকে নিজেকে
বিরত রাখুন।তো সেটা যাইহোক অফ টপিকে না যেয়ে
কাজের কথা শুনি। আজকে আপনাদেরকে
জানাবো যে, আমরা প্রতিদিন ভুলে এমন
কোন কাজ গুলো করি যেগুলা আমাদের
কানের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হয়ে
দাড়ায়।
হয়তো আপনারা খেয়াল করেছেন
কানের মধ্যে থাকে অসংখ্য
রোম। যা বাইরের ধুলো-ময়লা
থেকে কানকে রক্ষা করে। মনে
পরে এগুলো কিন্তু আমরা
ছোট্টবেলায় বইয়েও পড়েছি।
বিজ্ঞানীরা বলে, আইপড বা
হেডফোন থেকে আসা
শব্দতরঙ্গের ফলে কানের মধ্যে
থাকা রোমগুলো অকালে ঝড়ে
যায়। পরবর্তীতে নতুন করে সেই
সূক্ষ্ম রোমগুলি আর গজায় না। শুধু
ফুল ভলিউমে গান শোনাই নয়, যে
অনেক বেশি বা মেশিনপত্রের
আওয়াজের মধ্যে যারা কাজ
করেন, এবং সঙ্গীত জগতে যুক্ত
ব্যক্তিদের কানের মধ্যেকার
লোমের সংখ্যা খুবই কম।
আমাদের একটি কমন সমস্যা হল
আমরা কানের সংক্রামক হলে
নিজে নিজে সেটির ডাক্তার
হয়ে যায়। খবরদার এটি ভুল করেও
করবেন না। সরাসরি চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন। আরেকটি কথা
মনে রাখবেন সংক্রমণ কিন্তু
সবসময় কানের ভেতরেই হয় না,
অনেক সময় কানের দুল থেকেও
সংক্রামক হতে পারে।
সেক্ষেত্রে স্বর্ণ ব্যতিত
এমিটিসন দুল পরার ক্ষেত্রে একটু
যত্নবান হবেন।
আমাদের অনেক বদ অভ্যাসের
অন্যতম হল কানের ভেতরকার
ময়লা বা নোংরা বের করার জন্য
হাতের কাছে যা পাই যেমন,
আঙুল, টুথপিক, সেপটিপিন,
গাড়ির চাবি, ম্যাচের কাঠী
ইত্যাদি ধুকিয়ে কান পরিস্কার
করার চেষ্টা করি। মনে রাখবেন
আমাদের কানের বাইরের
অংশটি খুব ছোট ও নরম হার
দিয়ে তৈরি। যেকোনো একটি
হার ভেঙে গেলে বা সেখানে
চোট লাগলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে
যেতে পারে। এই ধরনের কাজ
অনেক সময় আমাদের অজান্তেই
ঘটে যায়। আরামের খোঁচায়
ফেটে যায় কানের পর্দা, রক্ত
যাওয়া প্রভৃতি। চেষ্টা করুন যতদূর
সম্ভব সাবধান হতে।
ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে
কখনোই কোনো ইয়ারড্রপস
ব্যবহার করবেন না। অনেকেরই এই
ধরনের বাজে অভ্যাস আছে।
কানে ব্যাথা হলে বা সংক্রমণ
হলে নিজের বুদ্ধিতেই দোকানে
গিয়ে ইয়ারড্রপস কিনে ব্যবহার
করেন। খবরদার এতে কিন্তু হিতে
বিপরীত হতে পারে।
অনেক সময় আপনি পানির অনেক
গভিরে ডুব দিয়ে দেখবেন যে
কানের চারপাশে কেমন যেন এক
ধরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন তার
কারন শরীরের তুলনায় বেশি
চাপযুক্ত এলাকায় কান ঠিকমতো
ভারসাম্য রাখতে পারে না।
আবার দ্রুতগতিতে গাড়ি
চালিয়ে আসার ৩০ মিনিট পরও
আপনি শুনতে পাচ্ছেন হুসস হুসস
করে গাড়ি চলে যাচ্ছে কানের
পাশ দিয়ে। এমন অবস্থাকে
বারোট্রমো বলে থাকে।