সুপ্রিয় ট্রিকবিডি কমিউনিটি,
সবাইকে আমার সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।আশা করছি সকলেই ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভালো আছি।আজকের আলোচনা টপোলজি নিয়ে তো চলুন শুরু করি।
টপোলজি
আমরা সবাই জানি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অনেকগুলো কম্পিউটার একসাথে জুড়ে দেওয়া হয়।যেন একটি কম্পিউটার অন্য একটি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে । খুব স্বাভাভিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে আসতে পারে কম্পিউটারগুলো কিভাবে একটার সাথে আরেকটা জুড়ে দেওয়া হয়??
আমরা কিন্তু এখন অনুমান করতে পারছি ,এই প্রশ্নের উত্তর শুধু একটি নয় কারন, অনেকভাবেই কম্পিটারগুলো জুড়ে দেওয়া যেতে পারে।কম্পিউটার জুড়ে দেওয়ার এই ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিকে বলা হয় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক পদ্ধতি ।এখন কয়েক ধরনের টপোলজি নিয়ে আলোচনা করা যাকঃ
বাস টপোলজিঃ
কাউকে যদি বলা হয় অনেকগুলো কম্পিউটার সহজভাবে জুড়ে দিতে, তাহলে সে যেভাবে জুড়ে দিবে সেটাই হচ্ছে বাস টপোলজি ।এই বাস টপোলজিতে একটা মূল ব্যাকবোন বা মূল লাইনের সাথে সবগুলো কম্পিউটারকে জুড়ে দেওয়া হয়।বাস টপোলজিতে কোন একটা কম্পিউটার যদি অন্য কোনো কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে চায়,তাহলে সব কম্পিউটারের কাছেই সেই তথ্যগুলো পৌঁছে যায় । শুধু সত্যি সত্যি যার সাথে যোগাযোগ করার কথা সেই কম্পিউটার তথ্যটা গ্রহন করে।অন্য সব কম্পিটার তথ্যগুলো উপেক্ষা করে।
রিং টপোলজিঃ
নাম শুনেই আমরা বুঝতে পারছি ,রিং টপোলজি হবে গোলাকার বৃত্তের মতো।রিং টপোলজিতে প্রত্যেকটা কম্পিউটার অন্য দুইটা কম্পিউটারের সাথে যুক্ত । এই টপোলজিতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য যায় একটা নির্দিষ্ট দিকে।রিং টপোলজিতে সত্যি সত্যি কম্পিউটারগুলোকে বৃত্তাকারে থাকার দরকার নেই;সেগুলো এলোমেলোভাবে থাকতে পারে। কিন্ত সম সময়েই কম্পিউটারগুলোড় মাঝে বৃত্তাকার সংযোগ থাকে ,তাহলেই সেটা রিং টপোলজি।
কোনো নেটওয়ার্কের সবগুলো কম্পিউটার যদি একটা কেন্দ্রীয় হাবের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে সেটাকে বলে স্টার টপোলজি । এটা তুলনামূলকভাবে একটা সহজ টপোলজি এবং অনুমান করা যায়, কেউ যদি খুব তাড়াতাড়ি সহজে একটা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরী করতে চায়, তাহলে সে সম্ভবত স্টার টপোলজি ব্যাবহার করবে ।এই টপোলজিতে একটা কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি নেটওয়ার্ক সচল থাকে । কিন্তু কোনোভাবে যদি কেন্দ্রীয় হাব নষ্ট হয়ে যায় তাহলে পুরো নেটওয়ার্কটাই অচল হয়ে পড়বে । স্টার টপোলজিতে কম্পিউটার গুলো কে স্টারের মতোই সাজাতে হবে তা কিন্তু সত্যি নয়।
ট্রি টপোলজিঃ
ট্রি মানে হচ্ছে গাছ । কাজেই এই টপোলজিটাকে গাছের মতো দেখানোর কথা। ছবিটা একটু ভালো করে দেখলেই আমরা বুঝতে পারব আসলে এটা গাছের মতো । গাছে যে রকম কান্ড থেকে ডাল,একটা ডাল থেকে অন্য ডাল এবং দেখান থেকে আরো ডাল বের হয় ,এখানেও তাই হচ্ছে । ভালো করে লক্ষ করলে আমরা এই টপোলজিতে আমরা একটা মজার বিষয় লক্ষ করব;সেটা হচ্ছে এখানে কিন্তু অনেকগুলো স্টার টপোলজিকে একত্র করা হয়েছে।
মেশ টপোলজি
এই টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো একটা আরেকটার সাথে যুক্ত থাকে এবং একাধিক পথে যুক্ত হতে পারে । এখানে কম্পিউটারগুলো শিধু যে অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্য নেয় তা নয় বরং সেটা সে নেটওয়ার্কের অন্ত কম্পিউটারের মাঝে বিতরণও করতে পারে।
আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন। টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি । সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।