কীভাবে নিবেন ৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
১লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা। শেষ মুহূর্তে কি-কি প্রস্তুতি নিবেন সেটির কিছু টিপস দেওয়া রইলো এখানে।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে ২০,৩৯১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন। ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম সহ আরও ৪টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের সব পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন। যেহেতু লিখিত পরীক্ষার আর বেশিদিন বাকি নেই, এই অল্প সময়ের ভিতরে কিভাবে নিজের প্রস্তুতিকে আরও ভালো করা যায়, এই প্রচেষ্টাই থাকছে সবার।
পুরাতন প্রশ্নপত্র দেখুন-
বিগত বছরগুলোর যেগুলো প্রশ্নপত্র ছিল, সেগুলি সহজেই নীলক্ষেতের বইয়ের দোকানগুলিতে পাওয়া যাবে। হাতে সময় ধরে এই প্রশ্নগুলি দেখুন। আপনার যেই অংশে দুর্বলতা আছে সেই প্রশ্নগুলি বার বার দেখতে থাকুন। দেখলেও সেটির উত্তর মনে থেকে যেতে পারে।
ঘড়িতে সময় ধরে অনুশীলন করুন-
ধরে নেওয়া যায় যে আপনার প্রস্তুতির সিংহভাগই শেষ। তবে আপনি যদি সময় ধরে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে থাকেন, তবে পরীক্ষার হলে গিয়ে আপনি সব অংশ করার চেষ্টাও করার সুযোগ পাবেন না।
দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দিন-
এমন অনেক বিষয়ই থাকতে পারে যেগুলি নিয়ে আপনি খুব একটা কাজ করেননি। সেই বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তিত হয়ে সময় নষ্ট করবেন না। যেদিকে আপনার দক্ষতা বেশি, সেইদিকে দক্ষতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করুন। যদি আপনি ও ইংরেজি ও বাংলায় পারদর্শী হন, তবে এগুলির উপরে জোর দিতে থাকুন।
মাথা ঠাণ্ডা রাখুন-
যা-ই করেন না কেন, মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করবেন। কোন কিছু একবারে না বুঝতে পারলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া শেষ করুন। উঠে একটু ঘুরে আসুন। এতে করে আপনি আপনার কাজে আরও ভালো করে মনোযোগ বসাতে পারবেন। পরীক্ষার হলেও বসে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করবেন।
বারবার অনুশীলন- পরীক্ষার আগে একেবারেই নতুন জিনিসে হাত না দিয়ে পুরনো পড়া জিনিসগুলি বার বার অনুশীলন করতে থাকুন। এতে করে যা পড়ে এসেছেন সেটা ভালো করে মনে রাখতে পারবেন।
এই ছিল কিছু টিপস ৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে। যদিও হাতে আর বেশি সময় নেই, অল্প অল্প করে নিজের প্রস্তুতি আরও জোরদার করে তোলা এখনও আপনার হাতের নাগালে। তাই দেরি কিসের? পড়া নিয়ে বসে পরুন আজই ৷
Monir Hossain (Khokon)