স্মার্টফোনের এই যুগে
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা কেন পিছিয়ে
থাকবে?
তাদের জন্যও এলো
স্মার্টফোন। এখানে সবচেয়ে বড়
চ্যালেঞ্জটি ছিল ডিসপ্লে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের
অধ্যাপকরা সেই অসাধ্য সাধন
করলেন। তারা এমন এক টাচস্ক্রিন
ট্যাবলেট আবিষ্কার করলেন যা
অন্ধরাও ব্যবহার করতে পারবে। শুধু
দৃষ্টি শক্তি না থাকায় এতোদিন
তাদের ফিচার ফোন ব্যবহার করতে
হতো।
উনিশ শতকের গোড়ার
দিকে ফ্রান্সে শত্রুর থেকে
বাঁচার জন্য সেনাদের মেসেজ
পাঠানোর জন্য এক ধরণের ডট
এই প্রযুক্তিতে গভীর অন্ধকারেও
আঙ্গুলের স্পর্শে মেসেজ পড়া
যেতো। এই প্রযুক্তির আবিষ্কার
করে ছিলেন লুইস ব্রেইল। ছয় ডটের
এই প্রযুক্তিতে বর্ণ, শব্দ এবং অক্ষর
লেখা ও পড়া যেতো।
পাশাপাশি দুটি সারিতে
তিনটি করে ডট থাকতো। এক একটি
ডটকে বলা হতো ‘সেল‘।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের
অধ্যাপক সিলি ও মডরেইন, সহযোগী
অধ্যাপক ব্রেন্ট গিলেস্পি এবং
পিএইচডি শিক্ষার্থী
আলেক্সান্ডার রুসোমান্নো এমন
একটি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন
যা দিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা
একটি ডিসপ্লের সম্পূর্ণ অংশ পড়তে
পারবেন। এখানে ব্যবহৃত হয়েছে
মাইক্রোফ্লুইডিকস। সাথে ব্যবহৃত
হয়েছে স্বল্প পরিমাণ তরল ও গ্যাস।
যদিও, আঙ্গুলের স্পর্শের মাধ্যমে
টাচস্ক্রিনে স্পর্শ করে
মাইক্রোফ্লুইডসের ওপর যে বাবলের
সৃষ্টি হয় তা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের
দেখার জন্য ভালো হাতিয়ার।
মিশিগানের গবেষক দল আশা
করছে কিছু দিনের মধ্যে এই
ডিভাইসটি বাজারে পাওয়া
যাবে।
ধন্যবাদ
তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।