গত নভেম্বরে মাইক্রোসফট স্বীকার করে যে, তারা তাদের সাম্প্রতিক অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর বিষয়ে সবচেয়ে সংবেদনশীল তথ্যটি গোপন করে। সে তথ্যটি হলো উইন্ডোজ ১০-এ নজরদারি বিষয়ে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস। সম্প্রতি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে মুখ খুলেছে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা সফটওয়্যারটির সাথে ইন্টিগ্রেটেড এজ ব্রাউজারে কত সময় ব্যয় করেন এবং ফটো অ্যাপের মাধ্যমে কত সংখ্যক ছবি দেখেন, এমন তথ্য নিয়ে পরিসংখ্যানভিত্তিক একটি তালিকা তৈরি করছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের দাবি গ্রাহকতথ্য সংগ্রহের বিষয়ে স্বচ্ছতা প্রদর্শনের লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটির এ উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ডিভাইস মিলে ২০ কোটির বেশি ডিভাইসে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার হচ্ছে। বহুল প্রত্যাশিত এ অপারেটিং সিস্টেম উন্মোচনের পর থেকেই ব্যবহারকারীরা সফটওয়্যারটি কিভাবে ব্যবহার করছেন, সে বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে মাইক্রোসফট। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের তথ্য সংগ্রহ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর অবশেষে কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে মুখ খুলল প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের কথা স্বীকার করলেও এতে তথ্যের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মাইক্রোসফটের দাবি, গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষায় মাইক্রোসফট শুরু থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজ ১০ ডিভাইসের এজ ব্রাউজারে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৫০ কোটি মিনিট ব্যয় করেছেন। অপারেটিং সিস্টেমটির সাথে ইন্টিগ্রেটেড ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট করটানায় ২৪০ কোটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে। উইন্ডোজ ১০ আসার পর প্রতিটি ডিভাইস থেকে বিং অনুসন্ধান ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ফটো অ্যাপের মাধ্যমে ৮ হাজার ২০০ কোটির বেশি ছবি দেখা হয়েছে। এ ছাড়া উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা ৪ হাজার ঘণ্টার বেশি পিসি গেম খেলে অতিবাহিত করেছেন। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য কিভাবে এবং কোথায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। মাইক্রোসফটের দাবি, তারা উইন্ডোজ ১০-এর তথ্য সংগ্রহ করলেও তাতে ব্যক্তিগতভাবে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে কোনো ব্যবহারকারী যদি চায় মাইক্রোসফটের এ নজরদারি বন্ধের ব্যবস্থা নিতে, তারা তা পারবে না।