দেশের ১৩ কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহকের
মধ্যে গত তিনমাসে মাত্র এক কোটি লোক সিম
নিবন্ধনের আবেদন করেছেন। আগামী
এপ্রিলে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে।
এরপর অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সোমবার
বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে এমপিদের সিম-রিম
নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় বিটিআরসি’র
পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে নিজের সিম
বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে নিবন্ধনের মাধ্যমে
এমপিদের সিম-রিম নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন
করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময়
তিনি জনগণকে নিবন্ধন কার্যক্রমে উৎসাহিত
করতে সকল এমপিকে নিজ নিজ এলাকায় সম্পৃক্ত
করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ
মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানান।
দশম জাতীয় সংসদের এমপিরা নবম অধিবেশন
পদ্ধতিতে নিজেদের সিম বা রিম নিবন্ধন করতে
পারবেন বলে জানানো হয়। এমপিদের সিম-
নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ
প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। ডেপুটি
স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, হুইপ মাহবুব আরা গিনি,
ডাক ও টেলিযোগ বিভাগের সচিব ফয়েজুর রহমান
চৌধুরী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ
প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগায়োগ মন্ত্রণালয়ের
পক্ষ থেকে জানানো হয়, বায়োমেট্রিক
পদ্ধতিতে জনগণের সিম-রিম নিবন্ধনের জন্য সারা
দেশে এক লাখ ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সিম-রিম নিবন্ধন কার্যক্রম
চলছে। যদি কেউ এই কাজের জন্য টাকা নিয়ে
থাকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে
টেলিটক থেকে ‘৯৮৭২’ নাম্বারের একটি কোড
চালু করা হয়েছে। যে কেউ এখানে অভিযোগ
করতে পারবেন। এছাড়া বিটিআরসি’র মাধ্যমে একটি
মোবাইল টিম অভিযোগ তদন্তে মাঠে কাজ
করছে।
বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১২
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ কোটি মানুষ
বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধনের
জন্য আবেদন করেছেন। এরমধ্যে মাত্র ৮৫
লাখ সিম-রিম পুন:নিবন্ধন হয়েছে। আগামী এপ্রিল
মাসে শেষ হবে সিম-রিম নিবন্ধনের কাজ। এরপর
অনিবন্ধিত সিম-রিম বন্ধ করে দেওয়ার জন্য
নির্দেশনা রয়েছে। দেশে মোবাইল ফোন
ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৩ কোটির বেশী।